সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

যেখানে থাকবেনা কোন তৈলাক্ত রাজনীতি

মাহমুদুর রহমান বাংলা:

ভাই পানি আর তেল কখনো এক হয়না । ঠিক তেমনি আদর্শ রাজনীতির সাথে তৈলাক্ত রাজনীতিও এক হওয়া সম্ভব নয় কিন্তু বর্তমানের যে অবস্থা আমাদের ভাবতেই বাধ্য করে তা হতে দেরি কই! বর্তমানের যে অবস্থা দেখলেই চোখে পড়বে অনেক আদর্শ নেতা আজ দলের বাইরে। আসলে ত্যাগীরা নিঃস্বার্থ হয়। কিন্তু ভাই মনে রাখবেন কয়লার খনি থেকেই কিন্তু “হীরা” উঠে আসে।

আর তা তো ঠিক সময়ে সব ভাঙ্গার পরই আসে। ঠিক তেমনি সুসময়ে দূরে থাকলেও দুঃসময়ে এরাই হয় প্রথম সারির মানুষ। তাইতো এদের নামের পাশে বলতে ইচ্ছে করে “ ভাই দেখেন এরাই তো নেতা সুসময়ে অভিমানে দূরে সরে যায় আর দুঃসময়ে এরাই সবার আগে কাছে চলে আসে”।

বর্তমানে যে রাজনীতি চলছে যত তেল মারবেন তত কাছে আসতে পারবেন। কিন্তু ত্যাগীরা তেল মারার মত এত বড় মহৎ কাজটি কখনো করতে পারে না। তাইতো তাদেরকে এখন সামনের সারিতে দেখা যায়না, দেখা যায় একদম পেছনে। বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক মাঠ এত তৈলাক্ত হয়ে পড়েছে যে, যে কেউ হোচট খেয়ে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশী । আগে কোন নেতার সাথে দেখা করতে হলে শরীরের লোম খাড়া হয়ে যেতো আবেগে । কাছে পেলে পায়ে ধরে সালাম করতে ইচ্ছে করতো আর না হলে বুকে বুক লাগিয়ে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করতো আর সেটাও ছিল খুব সহজ। কিন্তু এখন কোন বড় নেতার সাথে দেখা করতে হলে নেতার আসে পাশের মানুষকে তেল মারা লাগে, কয়েকদিন পেছনে পেছনে ঘুরে তেল মারা লাগে তারপর আবার অনেক রকম চাহিদা তো আছেই। আসলেই বর্তমান রাজনীতি এতটা তৈলাক্ত হয়ে পড়েছে যে সাধারন রাজনীতি একটু বেশীই অসাধারন হয়ে পরেছে। পরিশেষে শুধু একটি কথাই বলবো এই তৈলাক্ত রাজনীতির কারনেই অনেক আদর্শ নেতা-কর্মী দুরে সরে যাচ্ছে । দেশের কাছে এবং সাধারন মানুষের কাছে বর্তমান সময়ের রাজনীতি হয়ে দাড়াচ্ছে ঘৃনিত । তাইতো এই তৈলাক্ত রাজনীতি থেকে পুড়া তেল এর গন্ধ বের হচ্ছে। আর রাজনীতি হয়ে দাড়াচ্ছে পুড়া তেল এর মতো কালো।
ভাই আমি মুজিব অদর্শের রাজনীতি ভালোবাসি, যেখানে থাকবেনা কোন তৈলাক্ত রাজনীতি এবং তেলবাজি।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বাউল সাধক চান মিয়া এবং আমার কিছু উপলব্ধি

"রজনী হইসনা অবসান  আজ নিশিতে আসতে পারেবন্ধু কালাচাঁন।। কত নিশি পোহাইলোমনের আশা মনে রইলো রে কেন বন্ধু আসিলোনা জুড়ায়না পরান। আজ নিশিতে আসতে পারে বন্ধু কালাচাঁন।। বাসর সাজাই আসার আশেআসবে বন্ধু নিশি শেষে দারূন পিরিতের বিষে ধরিল উজান। আজ নিশিতে আসতে পারে বন্ধু কালাচাঁন।। মেঘে ঢাকা আঁধার রাতে কেমনে থাকি একা ঘরে সাধক চাঁনমিয়া কয় কানতে কানতে হইলাম পেরেশান আজ নিশিতে আসতে বন্দু কালাচাঁন।"    গভীর নিশিতে ধ্যান মগ্ন হয়ে কালাচাঁনের অপেক্ষা করছেন সাধক।  সাধক চান মিয়ার শিষ্য বাউল সিরাজউদ্দিনের মতে এটি একটি রাই বিচ্ছেদ। কৃষ্ণের অপেক্ষায় রাধা নিশি বা রাতকে অনুরোধ করছেন 'রাত' যেন না পোহায়  কারণ তার কালা চান যে কোন সময় আসতে পারে। শব্দগুচ্ছ গুলো থেকে সহজেই উপলব্ধি হয় সাধক নিজ দেহকে রাধা আর আত্মাকে কৃষ্ণের সাথে তুলনা করেছেন। দেহ আত্মার মিলন ঘটানোই ছিল সাধকের সাধনা।        বাউল সাধক চান মিয়া উপরোক্ত গানটি রচনা করেছেন। নেত্রকোনা জেলার খাটপুরা গ্রামে ১৩২৫ বঙ্গাব্দে সাধক চান মিয়ার জন্ম। পুরো নাম চান্দেজ্জামান আকন্দ হলেও বা...

বাউল, বাউলতত্ব এবং কিছু কথা

একজন ভদ্র বন্ধু বরের সাথে বাউল সম্প্রদায় নিয়ে বেশ তর্ক হলো রাতে। তর্কের সূত্রপাত ছিল বাউলরা ভাববাদী না বস্তুবাদী। ভাবলাম "বাউলতত্ত্ব"র আলোকে বাউলরা ভাববাদী নাকি বস্তুবাদী তা নিয়ে যৌক্তিক আলোচনা আবশ্যম্ভাবী। কয়েকটি ধারাবাহিক পর্ব লিখে নিজের মনোভাব বোঝানোর চেষ্টা করব।  শুরুতেই শক্তিনাথ ঝাঁ এর বস্তুবাদী বাউল বই থেকে কিছু কথা লিখতে চাই; বাস্তব জগত ও জীবনকে এরা কোন আনুমানিক যুক্তি বা আলৌকিক যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে নারাজ। জৈব রাসায়নিক ব্যাখায় এরা নারীর রজঃ এবং পুরুষের বিজে জীবন ও জগত সৃষ্টিকে ব্যাখা করে এবং চার ভূতকে প্রাকৃতিক সৃষ্টি মনে করে। এভাবে মানুষে, প্রকৃতিতে তৈরি করে প্রাণ, প্রাণী। অনুমান ভিত্তিক স্বর্গ, নরক, পরলোক, পুনর্জন্মাদি প্রত্যক্ষ প্রমাণাভাবে বাউল আগ্রাহ্য করে। মানুষ ব্যাতিরিক্ত ঈশ্বরও এরা মানে না। সৃষ্টির নিয়মকে জেনে যিনি নিজেকে পরিচালনা করতে শিখেছেন- তিনিই সাঁই। সুস্থ নিরোগ দীর্ঘজীবন এবং আনন্দকে অনুভব করার বাউল সাধনা এক আনন্দমার্গ।।  বাউলরা ভাববাদী না বস্তুবাদী এর অনেক সূক্ষ বিশ্লেষণ শক্তিনাথের বস্তুবাদী বাউল বইটির মধ্যে আলকপাত করা হয়েছে। সাধারণ সমাজে এ ধা...

ভাইবে রাধারমণ

তখন কলেজের ছাত্র। বাংলা বিভাগের প্রভাষক শ্রদ্ধেয় রেজা স্যারের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক। কলেজের প্রথম দিনই স্যারকে খুব পছন্দ। তারপর স্যারের সাথে গল্প, সমাজ, রাজনীতি, সাহিত্য নিয়ে আলোচনা। রীতিমত ফিজিক্স, বায়োলোজি ক্লাস ফাঁকি দিলেও বাংলা ক্লাস কখনই ফাঁকি দিতাম না। খুব উপভোগ করতাম স্যারের ক্লাস। হোস্টেল সুপার হিসেবে স্যার ( ওহী আলম রেজা) আমাদের সাথেই থাকতেন। আমরা আসার প্রায় নয় মাস পর স্যার এলেন সুপার হিসেবে। প্রতিদিন রাতে খাবার পরেই স্যারের রুমে গিয়ে আড্ডা হত, গানের আসর হত। স্যারের পিসিতে প্রায়ই গান শুনতাম আমরা। একদিন হঠাৎ করেই একটি গান স্যার প্লে করলেন 'আমার বন্ধু দয়াময় তোমারে দেখিবার মনে লয়। তোমারে না দেখলে রাধার জীবন কেমনে রয় বন্ধুরে।। কদম ডালে বইসারে বন্ধু ভাঙ্গ কদম্বের আগা। শিশুকালে প্রেম শিখাইয়া যৌবনকালে দাগা রে।। তমাল ডালে বইসারে বন্ধু বাজাও রঙের বাশি। সুর শুনিয়া রাধার মন হইলো যে উদাসি রে।। ভাইবে রাধা রমন বলে মনেতে ভাবিয়া। নিভা ছিল মনের আগুন কে দিলাই জ্বালাইয়া রে।' গানের কথাগুলো বেশ ভালো লেগে গেলো। পুর গানটি শুনে বুঝলাম গানটি সাধক রাধারম...