সেই দিনের বিভীষিকাময় ঘটনা আজও ভুলিনি। ঘামে ভেজা আমার বাবা ফিরেছিলেন বাসায়। সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল দফায় দফায়। ভুলে যাইনি সেইসব দিন। সেই ঘটনার বিচার দাবী করে হরতালের সময় বাবা চাচা বড় ভাইদের সাপের মত পিটিয়েছিল রাস্তায় ফেলে। আজ দিন ঘুরেছে। আজ বাংলাদেশ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। নতুন প্রজন্ম এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। রাজাকারের নাতী নাতনী আর কিছু আল্ট্রামর্ডান নব্য রাজাকারের পুত্র কন্যারা ফেসবুক পেইজে শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নিয়ে ট্রল। তাদের গঠনমূলক সমালোচনা নেই। রাজাকারের বাচ্চা বললে তারে লাফও দেয়। তারা ২১ আগস্টের বিচার চাবেনা। কারণ আওয়ামীলীগ ট্যাগ লেগে যাবে তাদের গায়ে। সংসদের বক্তব্য ক্রপ করে বাচ্চাদের ভিডিও কোলেজ করে তারা ট্রল বানাবে। অথচ বাংলাদেশ গোল্লায় গেলেও তাদের আসে যায়না।
আজ বিএনপির নেতাকর্মীরা বারবার আইন আদালত নিয়ে কথা বলেন। এই যেমন রিজভী আহমেদ প্রায়ি বলেন, দেশের আইনের শাসন নেই। উনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন কোথায় সেই আইনের শাসন ছিল ? একদল বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর দফায় দফায় আত্মঘাতী হামলা তারা রুখতে পেরেছিলেন কি ? একদম নয়। কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে খোশ গল্প করেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। দেশ পরিচালনায় এখনো অনেক ব্যাপারে সরকারের সমালোচনা থেকে যায়। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এমন থাকবেই। এটা স্বাভাবিক। ক্লিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে খালেদা জিয়া এবং উনার মিত্র গোলাম আজম, নিজামীরা কিভাবে দেশকে পাকিস্তানের মত করে তুলেছিল তাঁর একটি উদাহরণ ছিল সেই ২১ আগস্টের হামলা। পরিষ্কার একটা কথা অন্তত আমার কাছে ক্লিয়ার, বর্তামান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং উনার মন্ত্রীসভা অন্তত এ রকম নোংরা হত্যার রাজনীতি করেন নি। শুধু ২১ আগস্ট কেন, তৎকালীন সময়ে আওয়ামীলীগ, বামপন্থী, উদীচি সহ বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক এবং সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপর দফায় দফায় হামলা হয়েছিল। আমরা এখনো ভুলিনি, যশোরের সাংবাদিক মানিক সাহা, চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ গোলাপ কৃষ্ণ মুহুরি, কথাসাহিত্যিক লেখক হুমায়ুন আজাদ স্যারের উপর হামলার কথা।
২১ আগস্ট, এই দুঈ শব্দ শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে তৎকালীন মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী আইভি রহমানের পা হারানো ক্ষত বিক্ষত ছবি এবং প্রয়াত বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এবং ঢাকার প্রথম মেয়র হানিফের রক্তে ভেজা ছবিগুলো। গা শিউরে উঠে এসব ছবি দেখলে। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সেদিন ছিলেন বিমুর্ষ, কথা বাক্যহীন একজন মানুষ। এটিএন এর ক্যামেরা সামনে, তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। স্পষ্ট মনে আছে, তিনি শুধু একটি কথাই বলে যাচ্ছেন-" এভাবে বাংলাদেশকে আপনারা মৌলবাদীদের হাতে দিয়েন না, দিয়েন না। জিল্লুর রহমানের সেই কথার সাথে আমি পুরোপুরি একমত, আমি এক শব্দে আমি একমত, রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত এই বাংলাদেশকে মৌলবাদীদের হাতে ছেড়ে দেব না, আমরা দিতে পারিনা। আদালতের এজলাস থেকে বের হয়ে ঐ দিন কান্না করছিলেন আইভি রহমানে ছেলে, বর্তমান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। একমাত্র তিনি জানেন উনার মা হারানর জ্বালা, ব্যাথা। খেতে, শুইতে, গল্প করতে, সুখ, দুঃখ, কষ্টে, আনন্দে একমাত্র তিনিই জানেন আইভি রহমান উনার মা, উনার জীবনে কতখানি কিভাবে ফিল করছেন। এসব আমি বা আপনি কেউ বুঝব না, অন্তত পাপন বা পাপনের দুই বোনের মত করে মোটেও নয়। কারণ উনাদের যে মা।
সারা পৃথিবীর চোখ সেদিন বাংলাদেশে। কি হচ্ছে বাংলাদেশে ! কোন দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ! পুরোবিশ্ব সেদিন ছিল তাকিয়ে। ঢাকা মেডিক্যালে সেদিন এটিএন এর ক্যামেরা রিপোর্টার। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাজার মানুষ ঢাকা মেডিক্যালের সামনে। আহাজারি , হাহাকার। এক একজন রিপোর্টারের মুখের দিকেও তাকানো যাচ্ছেনা। আহত ফটো সাংবাদিক, ক্যামেরা পার্সনরা কোন মতে বলে যাচ্ছেন সেই ঘটনার কথা।
আরেকটু বলি, ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল, দেশের ভয়ানক অবস্থা।দেশের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে বাচ্চারা কোথাও খেলার জন্য প্র্যাকটিস করতে গেলে তাদের ব্যাগ, অথবা ব্যাডমিন্টন খেলার র্যাকেট প্যাকেট খুলে চেক করা হত। মানুষের মনে এতটাই আতঙ্ক ছিল যে পাবলিক বাসে বা ট্রেনে কোন দাড়িওয়ালা ভদ্রলোকের ব্যাগ বা ব্রিফকেস সাথে থাকলেই মানুষজন আতঙ্কে চোখ বাঁকা করে তাকাতো। গোটা বাংলাদেশ ছিল বোমায় প্রকম্পিত। বিএনপি জামায়াতের দুঃশাসন। জামাতুল মুজাহিদীন, হরকাতুল জিহাদ, আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানি, মুফতি হান্নানের মত দুর্ধর্ষ জঙ্গীদের উত্থান। কিন্তু তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাবর, খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, মোসাদ্দেক ফালু, আরাফাত রহমান কোকরা তখন হাওয়া ভবনে এসির ঠান্ডা হাওয়া খাওয়া গিলাতে সদা ব্যস্ত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াত শিবিরকে কোলে বগলে নেয়া বিএনপি যখন দেশের অবস্থা নিয়ে কথা তুলে তখন আমার হাসি পায়। বেগম খালেদা জিয়া আর তার তারেক কোকো ফালু বাবর দুলু সেদিন কি করেছিল তা কি ভুলে গিয়েছেন! প্রতিহিংসার রাজনীতির কথা যারা তুলেন তারা কি ভুলে গেছেন সেদিনের নৃশংসতার কথা। এক রিপোর্টে তাদের সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী বলেছিলেন, কিছুতেই তৎকালীন সরকার এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের দলের, তাদের আমলের মন্ত্রীর কথা থেকেই বলি, এই দায় কার ? সেই প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নয়কি? আপনারা কি বলবেন জানিনা! আমি বলছি সেই দায় নয়, সেই ছক নৃশংস ছক একেছিল খালেদা জিয়ার তৎকালীন মন্ত্রীসভা।
সেইদিনের সেই ঘটনা, সময় তখন বিকাল ৫টা ২২ মিনিট। 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' বলে বক্তৃতা শেষ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাঁর হাতে থাকা একটি কাগজ ভাঁজ করতে করতে এগুচ্ছিলেন ট্রাক থেকে নামার সিঁড়ির কাছে। মুহূর্তেই শুরু হলো নারকীয় গ্রেনেড হামলা। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে লাগল একের পর এক গ্রেনেড। মুহূর্তেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হলো জীবন্ত বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে একের পর এক গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় ঘাতকরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১৩টি গ্রেনেড বিস্ফোরণের বীভৎসতায় মুহূর্তেই রক্ত-মাংসের স্তূপে পরিণত হয় সমাবেশস্থল। রক্তগঙ্গা বয়ে যায় এলাকাজুড়ে।
ঘাতকদের প্রধান লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনা। বিষয়টি বুঝতে পেরে ট্রাকে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতারা ও শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক মানবঢাল রচনা করে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে। নেতা ও দেহরক্ষীদের আত্মত্যাগে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান শেখ হাসিনা।
গ্রেনেডের আঘাতে প্রাণ কেড়ে নিতে না পেরে ওদিন শেখ হাসিনার গাড়িতে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়েছিল ঘাতকরা। পরিকল্পিত ও টার্গেট করা ঘাতকদের নিক্ষিপ্ত গুলি ভেদ করতে পারেনি শেখ হাসিনাকে বহনকারী বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাঁচ। শেখ হাসিনাকে আড়াল করে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে জীবন বিলিয়ে দেন তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রহমান। নারকীয় এই হামলায় প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দের কারণে বাম কান মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শেষ পর্যন্ত বাম কানে শ্রবণশক্তি হারান শেখ হাসিনা। দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার এতদিন পরও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারনেনি তিনি।
২১ আগস্টের সেই রক্তাক্ত ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৬ জন। আর এ হামলায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও দলের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আইভি রহমান ৫৮ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ২৪ আগস্ট মারা যান। আহত হওয়ার পর প্রায় দেড় বছর মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে যান আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা ও প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ।
রক্তাক্ত-বীভৎস ওই ভয়াল গ্রেনেড হামলায় নিহত অন্যরা হলেন মোসতাক আহম্মদ সেন্টু, শেখ হাসিনার দেহরক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), হাসিনা মমতাজ রীনা, রিজিয়া বেগম, রতন শিকদার, মোহাম্মদ হানিফ ওরফে মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, লিটন মুন্সী, আবদুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী, বিল্লাল হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন শিকদার, আতিক সরকার, মামুন মৃধা, নাসির উদ্দিন সর্দার, আবুল কাসেম, আবুল কালাম আজাদ, আবদুর রহিম, আমিনুল ইসলাম, জাহেদ আলী, মোতালেব ও সুফিয়া বেগম।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি (তৎকালীন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য) জিল্লুর রহমান, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, আমির হোসেন আমু, প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, কাজী জাফর উল্লাহ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নজরুল ইসলাম বাবু, আওলাদ হোসেন, সাঈদ খোকন, মাহবুবা আখতার, অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, নাসিমা ফেরদৌস, শাহিদা তারেক দীপ্তি, রাশেদা আখতার রুমা, হামিদা খানম মনি, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম, রুমা ইসলাম, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেইন, মামুন মলি্লকসহ আহত হোন ৫ শতাধিক আওয়ামী লীগ।
ফাইল মতে জানা যায়,গত ১২ জুন মামলাটিতে জামিনে ও কারাগারে থাকা ৩১ আসামির আত্মপক্ষ শুনানি শেষ হয়। শুনানিতে উপস্থিত আসামিরা সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জন পলাতক আসামি আত্মপক্ষ শুনানির সুযোগ পাননি। হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলা দুটিতে রাষ্ট্রপক্ষে ৪৯১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এই আদালতের বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিন পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে মামলাটির শুনানি নিচ্ছেন। ২২ আগস্ট মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে এই মামলাটির তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠে, যা পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে। থানা পুলিশ, ডিবির হাত ঘুরে সিআইডি এই মামলার তদন্তভার পায়। ঘটনার চার বছর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের ১১ জুন মোট ২২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটির অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে। সিআইডির বিশেষ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩ জুলাই আসামির তালিকায় আরও ৩০ জনকে যোগ করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। ২০১২ সালের ১৮ মার্চ তারিখে সম্পূরক অভিযোগপত্রের ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। খালেদা জিয়ার ছেলে লন্ডনে থাকা তারেককে পলাতক দেখিয়ে তখন অভিযোগ গঠন হয়েছিল। খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউকও এই মামলার আসামি। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরীর সঙ্গে আসামির তালিকায় রয়েছেন জোট সরকার আমলের তিন তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন, মুন্সি আতিকুর রহমান ও আব্দুর রশীদ। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, ঢাকার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলামও এই মামলার আসামি। আসামিদের মধ্যে জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। বাবর, পিন্টুসহ ২৩ আসামি রয়েছেন কারাগারে; জামিনে আছেন সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফ ও সাবেক ৩ আইজিপিসহ আটজন। তারেক, কায়কোবাদসহ পলাতক আসামি ১৯ জন।
আগামীকাল রায় হবে। একটি সুষ্ঠু বিচার হোক। এমন নেক্কারজনক হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
লিখেছেন- মারূফ অমিত, সাংবাদিক এবং আলোকচিত্রী
আজ বিএনপির নেতাকর্মীরা বারবার আইন আদালত নিয়ে কথা বলেন। এই যেমন রিজভী আহমেদ প্রায়ি বলেন, দেশের আইনের শাসন নেই। উনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন কোথায় সেই আইনের শাসন ছিল ? একদল বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর দফায় দফায় আত্মঘাতী হামলা তারা রুখতে পেরেছিলেন কি ? একদম নয়। কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে খোশ গল্প করেছেন, হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। দেশ পরিচালনায় এখনো অনেক ব্যাপারে সরকারের সমালোচনা থেকে যায়। একটি গণতান্ত্রিক দেশে এমন থাকবেই। এটা স্বাভাবিক। ক্লিন্তু আমার প্রশ্ন হচ্ছে খালেদা জিয়া এবং উনার মিত্র গোলাম আজম, নিজামীরা কিভাবে দেশকে পাকিস্তানের মত করে তুলেছিল তাঁর একটি উদাহরণ ছিল সেই ২১ আগস্টের হামলা। পরিষ্কার একটা কথা অন্তত আমার কাছে ক্লিয়ার, বর্তামান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং উনার মন্ত্রীসভা অন্তত এ রকম নোংরা হত্যার রাজনীতি করেন নি। শুধু ২১ আগস্ট কেন, তৎকালীন সময়ে আওয়ামীলীগ, বামপন্থী, উদীচি সহ বিভিন্ন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনৈতিক এবং সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনের উপর দফায় দফায় হামলা হয়েছিল। আমরা এখনো ভুলিনি, যশোরের সাংবাদিক মানিক সাহা, চট্টগ্রামের অধ্যক্ষ গোলাপ কৃষ্ণ মুহুরি, কথাসাহিত্যিক লেখক হুমায়ুন আজাদ স্যারের উপর হামলার কথা।
২১ আগস্ট, এই দুঈ শব্দ শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে তৎকালীন মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী আইভি রহমানের পা হারানো ক্ষত বিক্ষত ছবি এবং প্রয়াত বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত এবং ঢাকার প্রথম মেয়র হানিফের রক্তে ভেজা ছবিগুলো। গা শিউরে উঠে এসব ছবি দেখলে। বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান সেদিন ছিলেন বিমুর্ষ, কথা বাক্যহীন একজন মানুষ। এটিএন এর ক্যামেরা সামনে, তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। স্পষ্ট মনে আছে, তিনি শুধু একটি কথাই বলে যাচ্ছেন-" এভাবে বাংলাদেশকে আপনারা মৌলবাদীদের হাতে দিয়েন না, দিয়েন না। জিল্লুর রহমানের সেই কথার সাথে আমি পুরোপুরি একমত, আমি এক শব্দে আমি একমত, রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত এই বাংলাদেশকে মৌলবাদীদের হাতে ছেড়ে দেব না, আমরা দিতে পারিনা। আদালতের এজলাস থেকে বের হয়ে ঐ দিন কান্না করছিলেন আইভি রহমানে ছেলে, বর্তমান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। একমাত্র তিনি জানেন উনার মা হারানর জ্বালা, ব্যাথা। খেতে, শুইতে, গল্প করতে, সুখ, দুঃখ, কষ্টে, আনন্দে একমাত্র তিনিই জানেন আইভি রহমান উনার মা, উনার জীবনে কতখানি কিভাবে ফিল করছেন। এসব আমি বা আপনি কেউ বুঝব না, অন্তত পাপন বা পাপনের দুই বোনের মত করে মোটেও নয়। কারণ উনাদের যে মা।
সারা পৃথিবীর চোখ সেদিন বাংলাদেশে। কি হচ্ছে বাংলাদেশে ! কোন দিকে যাচ্ছে বাংলাদেশ! পুরোবিশ্ব সেদিন ছিল তাকিয়ে। ঢাকা মেডিক্যালে সেদিন এটিএন এর ক্যামেরা রিপোর্টার। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হাজার মানুষ ঢাকা মেডিক্যালের সামনে। আহাজারি , হাহাকার। এক একজন রিপোর্টারের মুখের দিকেও তাকানো যাচ্ছেনা। আহত ফটো সাংবাদিক, ক্যামেরা পার্সনরা কোন মতে বলে যাচ্ছেন সেই ঘটনার কথা।
আরেকটু বলি, ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল, দেশের ভয়ানক অবস্থা।দেশের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে বাচ্চারা কোথাও খেলার জন্য প্র্যাকটিস করতে গেলে তাদের ব্যাগ, অথবা ব্যাডমিন্টন খেলার র্যাকেট প্যাকেট খুলে চেক করা হত। মানুষের মনে এতটাই আতঙ্ক ছিল যে পাবলিক বাসে বা ট্রেনে কোন দাড়িওয়ালা ভদ্রলোকের ব্যাগ বা ব্রিফকেস সাথে থাকলেই মানুষজন আতঙ্কে চোখ বাঁকা করে তাকাতো। গোটা বাংলাদেশ ছিল বোমায় প্রকম্পিত। বিএনপি জামায়াতের দুঃশাসন। জামাতুল মুজাহিদীন, হরকাতুল জিহাদ, আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, আতাউর রহমান সানি, মুফতি হান্নানের মত দুর্ধর্ষ জঙ্গীদের উত্থান। কিন্তু তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাবর, খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান, মোসাদ্দেক ফালু, আরাফাত রহমান কোকরা তখন হাওয়া ভবনে এসির ঠান্ডা হাওয়া খাওয়া গিলাতে সদা ব্যস্ত। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াত শিবিরকে কোলে বগলে নেয়া বিএনপি যখন দেশের অবস্থা নিয়ে কথা তুলে তখন আমার হাসি পায়। বেগম খালেদা জিয়া আর তার তারেক কোকো ফালু বাবর দুলু সেদিন কি করেছিল তা কি ভুলে গিয়েছেন! প্রতিহিংসার রাজনীতির কথা যারা তুলেন তারা কি ভুলে গেছেন সেদিনের নৃশংসতার কথা। এক রিপোর্টে তাদের সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী বলেছিলেন, কিছুতেই তৎকালীন সরকার এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের দলের, তাদের আমলের মন্ত্রীর কথা থেকেই বলি, এই দায় কার ? সেই প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নয়কি? আপনারা কি বলবেন জানিনা! আমি বলছি সেই দায় নয়, সেই ছক নৃশংস ছক একেছিল খালেদা জিয়ার তৎকালীন মন্ত্রীসভা।
সেইদিনের সেই ঘটনা, সময় তখন বিকাল ৫টা ২২ মিনিট। 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' বলে বক্তৃতা শেষ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা তাঁর হাতে থাকা একটি কাগজ ভাঁজ করতে করতে এগুচ্ছিলেন ট্রাক থেকে নামার সিঁড়ির কাছে। মুহূর্তেই শুরু হলো নারকীয় গ্রেনেড হামলা। বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হতে লাগল একের পর এক গ্রেনেড। মুহূর্তেই মৃত্যুপুরীতে পরিণত হলো জীবন্ত বঙ্গবন্ধু এভিনিউ। শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে একের পর এক গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় ঘাতকরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ১৩টি গ্রেনেড বিস্ফোরণের বীভৎসতায় মুহূর্তেই রক্ত-মাংসের স্তূপে পরিণত হয় সমাবেশস্থল। রক্তগঙ্গা বয়ে যায় এলাকাজুড়ে।
ঘাতকদের প্রধান লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনা। বিষয়টি বুঝতে পেরে ট্রাকে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ নেতারা ও শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিক মানবঢাল রচনা করে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করেন বঙ্গবন্ধু কন্যাকে। নেতা ও দেহরক্ষীদের আত্মত্যাগে অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান শেখ হাসিনা।
গ্রেনেডের আঘাতে প্রাণ কেড়ে নিতে না পেরে ওদিন শেখ হাসিনার গাড়িতে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়েছিল ঘাতকরা। পরিকল্পিত ও টার্গেট করা ঘাতকদের নিক্ষিপ্ত গুলি ভেদ করতে পারেনি শেখ হাসিনাকে বহনকারী বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাঁচ। শেখ হাসিনাকে আড়াল করে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়ে জীবন বিলিয়ে দেন তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকর্মী ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রহমান। নারকীয় এই হামলায় প্রাণে বেঁচে গেলেও গ্রেনেডের প্রচণ্ড শব্দের কারণে বাম কান মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শেষ পর্যন্ত বাম কানে শ্রবণশক্তি হারান শেখ হাসিনা। দেশে-বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার এতদিন পরও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠতে পারনেনি তিনি।
২১ আগস্টের সেই রক্তাক্ত ঘটনায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন ১৬ জন। আর এ হামলায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী ও দলের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আইভি রহমান ৫৮ ঘণ্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ২৪ আগস্ট মারা যান। আহত হওয়ার পর প্রায় দেড় বছর মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে হেরে যান আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা ও প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ।
রক্তাক্ত-বীভৎস ওই ভয়াল গ্রেনেড হামলায় নিহত অন্যরা হলেন মোসতাক আহম্মদ সেন্টু, শেখ হাসিনার দেহরক্ষী ল্যান্স করপোরাল (অব.) মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম (আদা চাচা), হাসিনা মমতাজ রীনা, রিজিয়া বেগম, রতন শিকদার, মোহাম্মদ হানিফ ওরফে মুক্তিযোদ্ধা হানিফ, লিটন মুন্সী, আবদুল কুদ্দুছ পাটোয়ারী, বিল্লাল হোসেন, আব্বাছ উদ্দিন শিকদার, আতিক সরকার, মামুন মৃধা, নাসির উদ্দিন সর্দার, আবুল কাসেম, আবুল কালাম আজাদ, আবদুর রহিম, আমিনুল ইসলাম, জাহেদ আলী, মোতালেব ও সুফিয়া বেগম।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি (তৎকালীন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য) জিল্লুর রহমান, প্রয়াত আবদুর রাজ্জাক, আমির হোসেন আমু, প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, ওবায়দুল কাদের, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, কাজী জাফর উল্লাহ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, নজরুল ইসলাম বাবু, আওলাদ হোসেন, সাঈদ খোকন, মাহবুবা আখতার, অ্যাডভোকেট উম্মে রাজিয়া কাজল, নাসিমা ফেরদৌস, শাহিদা তারেক দীপ্তি, রাশেদা আখতার রুমা, হামিদা খানম মনি, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম, রুমা ইসলাম, কাজী মোয়াজ্জেম হোসেইন, মামুন মলি্লকসহ আহত হোন ৫ শতাধিক আওয়ামী লীগ।
ফাইল মতে জানা যায়,গত ১২ জুন মামলাটিতে জামিনে ও কারাগারে থাকা ৩১ আসামির আত্মপক্ষ শুনানি শেষ হয়। শুনানিতে উপস্থিত আসামিরা সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জন পলাতক আসামি আত্মপক্ষ শুনানির সুযোগ পাননি। হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের মামলা দুটিতে রাষ্ট্রপক্ষে ৪৯১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নিয়েছে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এই আদালতের বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিন পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের মাঠে স্থাপিত বিশেষ এজলাসে মামলাটির শুনানি নিচ্ছেন। ২২ আগস্ট মতিঝিল থানার তৎকালীন এসআই ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে এই মামলাটির তদন্ত ভিন্ন খাতে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠে, যা পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে। থানা পুলিশ, ডিবির হাত ঘুরে সিআইডি এই মামলার তদন্তভার পায়। ঘটনার চার বছর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে ২০০৮ সালের ১১ জুন মোট ২২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটির অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করে। সিআইডির বিশেষ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ অধিকতর তদন্ত শেষে ২০১১ সালের ৩ জুলাই আসামির তালিকায় আরও ৩০ জনকে যোগ করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেন। ২০১২ সালের ১৮ মার্চ তারিখে সম্পূরক অভিযোগপত্রের ৩০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। খালেদা জিয়ার ছেলে লন্ডনে থাকা তারেককে পলাতক দেখিয়ে তখন অভিযোগ গঠন হয়েছিল। খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউকও এই মামলার আসামি। পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরীর সঙ্গে আসামির তালিকায় রয়েছেন জোট সরকার আমলের তিন তদন্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন, মুন্সি আতিকুর রহমান ও আব্দুর রশীদ। সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, সাবেক সংসদ সদস্য শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, ঢাকার সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলামও এই মামলার আসামি। আসামিদের মধ্যে জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মো. মুজাহিদের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। বাবর, পিন্টুসহ ২৩ আসামি রয়েছেন কারাগারে; জামিনে আছেন সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফ ও সাবেক ৩ আইজিপিসহ আটজন। তারেক, কায়কোবাদসহ পলাতক আসামি ১৯ জন।
আগামীকাল রায় হবে। একটি সুষ্ঠু বিচার হোক। এমন নেক্কারজনক হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
লিখেছেন- মারূফ অমিত, সাংবাদিক এবং আলোকচিত্রী
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন