সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নির্যাতিত পুরুষ

অফিস পৌঁছতে পৌঁছতে ঘড়ির কাঁটা নয়টা ছুঁই-ছুঁই। অফিস পৌঁছেই তার চোখ টেবিলের ডান কোণায়। এক গাদা ফাইল হাজির ডাটা তৈরির জন্য। কোনও কথা না বলে টেবিলে বসে শার্টের হাতা গুটিয়েই কাজ শুরু। মিরপুর ১০ নম্বরে বসবাস করেন একজন গো-বেচারা, নাম মুকিত খান,সরকারি চাকুরীজীবী। সাভার তার কর্মস্থল। যৌথ পরিবার নিয়ে ছয় তলা বিল্লিং এর চার তলায় তার বসবাস। বিয়ে করেছেন আট বছর হলো। ছেলে পুলে নেই। অন্যদের মধ্যে মা, দুই বোন এবং ছোট ভাইয়ের বউ। ছোট ভাই কানাডায় থাকে। এক বোনের বিয়ে হয়েছে তিন মাস। খুব সাদামাঠা জীবন যাপন করেন। আধো ময়লা সাদা ফুলহাতা শার্ট, রং জ্বলা কালো প্যান্ট, পুরনো বাটা জুতা পরে লাল চা আর বিস্কিট খেয়ে প্রতিদিন সকাল সাতটা বিশে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েন। এদিকে মিসেস মুকিত, শিল্পীর ঘুম ভাঙ্গতেই ঘড়ির দিকে তাকালো , দশটা একত্রিশ। ওড়নাটা বুকে দিয়ে আস্তে আস্তে মাথার চুল ঠিক করলেন। তারপর হাঁক ছাড়লেন ননাশ নিদুর উদ্দেশ্যে। শিল্পীঃ নিদু, এক কাপ চা নিয়ে আয় তো । নিদুঃ ভাবী রেডি হচ্ছি। ভার্সিটিতে যাবো। তুমি কষ্ট করে করে খেয়ে নাও। এই বলেই কড়া পারফিউম ব্যবহার করে ওড়নাটা বুকের একপাশে ফেলে নিদু বেরিয়ে পড়লো। মিসেস মুকিত...

এ জার্নি বাই ট্রেন: ঢাকা টু সিলেট

সকাল ১১টা। রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ২নং প্লাটফর্মে দাড়িয়ে আছে ঢাকা থেকে সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন। ট্রেন ছাড়ার নির্ধারিত সময় বেলা সোয়া ১১টা। নতুন ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী ট্রেনটি সিলেটে পৌঁছানোর নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ৭টা। কিন্তু, নির্ধারিত সময়ের ৩৫ মিনিট বিলম্বে কমলাপুর রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে ছাড়ে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস। স্টেশনের কাউন্টারে বিক্রিত টিকেটের সাথে ট্রেনের একটি কামরার বরাদ্দকৃত সিটের অসামঞ্জস্যতার কারণে ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হয়েছে বলে জানান 'ক' কামরার নিরাপত্তায় থাকা রেলওয়ের পুলিশের সদস্য শান্তি রঞ্জন। ষ্টেশনে ট্রেন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা একাধিক ব্যক্তি জানান, বিক্রিত টিকেটের সাথে অসামঞ্জস্যতার বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে। ট্রেনে সংযুক্ত ছোট কামরাটি বিচ্ছিন্ন করে টিকেটের সাথে মিল রেখে বড় কামরা সংযুক্তির পর ট্রেন ছাড়ে। কমলাপুরগামী একটি ট্রেনের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে ক্রসিংয়ের জন্য জয়ন্তিকাকে আরও ১০মিনিট অনির্ধারিত বিরতি করতে হলো ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট ষ্টেশনে। দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে উঠে হিজড়া। নানা ছলাকলা ও কখনোবা হুমকি দিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতে...

হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন- ডা.জোবায়ের আহমেদ মাতুয়াইল শিশুমাতৃ ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মত স্থাপিত হলো হিউম্যান মিল্ক ব্যাংক। যে মায়েদের সন্তান জন্মের পরই মারা গেছে বা যে মায়েদের নিজ সন্তানকে খাওয়ানো পরেও অতিরিক্ত দুধ আছে, সেসব মায়েরা হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকে দুধ সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।যে নবজাতকের মা জন্মের পরপরই মারা গেছেন বা যেই মা অসুস্থতা জনিত কারণে দুধ খাওয়াতে পারছেন না, সেই নবজাতকরা এই দুধ খেতে পারবে।প্রিম্যাচিউর লো বার্থ ওয়েট ও এনআইসিইউ এর বাচ্চাদের এই দুধ খাওয়ানোর ফলে শিশুমৃত্যু রোধ হবে।দত্তক নেওয়া সন্তানকে এই ব্যাংক থেকে দুধ নিয়ে খাওয়ানো যাবে। যেসব মায়েরা জন্মের পর নবজাতককে রাস্তায় ডাস্টবিনে ফেলে যান, তাদের এই দুধ খাওয়ানো যাবে।হিউম্যান মিল্ক ব্যাংকে রাখা দুধ তিন মাস থেকে ১৮ মাস পর্যন্ত ভালো থাকবে। ব্যাংক থেকে বাড়িতে নেওয়া দুধ ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকবে।কর্মজীবী নারীরা যারা দীর্ঘক্ষণ বাসার বাইরে থাকেন তারা এই ব্যাংকে দুধ জমা রাখতে পারবেন। পরে বাড়ি ফিরে সেই দুধ সন্তানকে খাওয়াতে পারবেন। মিল্ক ভ্যান চালু হলে কর্মীরা বাড়ি থেকে দুধ সংগ্রহ করবেন এবং বাড়িতে দুধ পৌঁছে দিবেন।এতে অনাকাঙ্ক্...