সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শাল্লায় সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গে

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ আমলে সাম্প্রদায়িক অশান্তি? কথাটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। তথাপি রামুসহ বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু, বৌদ্ধ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ঘটছে। এজন্যে সরকারি প্রশাসনের গাফলতিকে দোষ দেওয়া যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষকে দোষ দেওয়া যায় না। ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি। শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্মম অত্যাচার চলেছে, তাতে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্ররোচনা ছিল। অভিযোগ দেখে মনে হয়, এর সঙ্গে প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দল এবং তার যুব সংস্থারও হয়তো যোগসাজস ছিল। এই সংখ্যালঘু নির্যাতনের কারণে যুবলীগের এক কর্মী অথবা নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফলে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলামের পক্ষে এ কথা বলা সহজ হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বাড়ে।’ শাল্লার ঘটনাটি হেফাজতি নেতাদের উসকানিতে হয়েছে, এ কথা সত্য হওয়া সত্ত্বেও কথাটা লেখার সময় একটু ভাবতে হয়। বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার সময় হেফাজতিদের দায়ী করে লিখতে বসেছিলাম, তারপর দেখা গেল এই ভাস্কর্য ভেঙেছে যুবলীগের স্থানীয় নেতারা। শাল্লার হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হেফাজতিদের উ...

প্রসঙ্গঃ উদীয়মান দেশের নারী কর্মজীবী (দ্বিতীয় পর্ব)

 আমার একজন সম্মানিত সহকর্মী আমার পাশে বসে পূর্ববর্তী পর্ব পড়ার এক পর্যায়ে বললেন, চোখে জল এসে গেল- এতটাই চরম বাস্তবতা!! বাস্তবিকই বাড়ি ফিরে কাপড় না ছেড়ে গৃহকর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদাহরণ প্রচুর।  বাড়ি ফিরে ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম প্রয়োজন। সন্তান ছোট হলে বদলানোর কাপড় এগিয়ে দিক, বড় হলে এর পাশাপাশি ঠান্ডা বা গরম সতেজ পানীয় মাকে দিক। সন্তানকে বুঝতে দিন আপনি ক্লান্ত।  চাকরির সুবাদে বাইরে থাকার কারণে এক মূহুর্ত নিজের শিথিলতার জন্য দিতে কর্মজীবী নারীর চরম অনীহা। আমার কর্মজীবী মা সম্বন্ধে একটা কথা প্রচলিত ছিল,  তিনি কেউ অসুস্থ হলে দেখতে যান নয়তো তাকে কর্মক্ষেত্রের বাইরে বেড়াতে দেখা যায় না।  মানসিক প্রশান্তির বড় সহায়ক প্রকৃতির কাছাকাছি বা নিজের পছন্দসই কিছু সময় ব্যয় করা।  ফিজিওথেরাপি সেন্টার বা হাড়ের ডাক্তারের কাছে হাড় ক্ষয়  আর বাতের ব্যাথার প্রায় সমস্ত রোগীই নারী। মনে রাখা দরকার,  নিয়মিত ব্যায়াম  ও সময়মতো খাদ্যাভ্যাস সুস্থ জীবনযাপনের পূর্বশর্ত। কর্মজীবী নারীর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ধাক্কা আসে সন্তান লালন-পালনে। এদেশে ডে-কেয়ার সেন্টার নেই বললেই চলে।সরকারি ও বেসরকারি...

উদীয়মান দেশের নারী কর্মজীবী (প্রথম পর্ব)

 যে কর্মের বিনিময়ে রমনীর অর্থ প্রাপ্তি ঘটে কর্মজীবী রমনী তার সাথে সম্পর্কযুক্ত,  না ভিন্নার্থে এর ব্যবহার -এটাই আমার কাছে এখনো এক বিরাট প্রশ্নবোধক চিহ্ন!! কর্মের বিনিময়ে বাস্তবিকই কী অর্থ প্রাপ্তি ঘটে ; না এই অর্থের দায় বাড়ে।  জীবনের রঙ্গমঞ্চে  সবচে' বড় অভিনয় শিল্পী মহিলা; এঁরা আবার অভিনয় করেন নিজের জন্য নয়, কেবল অন্যের তুষ্টির জন্য -- এটা আরও দুঃখজনক। আর কর্মজীবী হলে অভিনয় শিল্পীর পাশাপাশি আরেক কাঠি সত্ত্বায় যোগ হয় যা হলো হীনমন্যতা।  হীনমন্যতার বিষয়টা পরিষ্কার করি। কর্মজীবী নারীরা এমন ভান করেন বাড়িতে ফিরে যেন সারাদিন বাইরে  ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অন্যায়টা করার জন্যে। তাই নিজের ক্লান্ত তনুর দিকে দৃকপাত না করে ঝাঁপিয়ে পড়েন তার অনুপস্থিতিতে ঘর-গেরস্থালির যা ক্ষতি হলো তা পূরণে। পাশাপাশি ঘরের সবার মন রক্ষা করে হুড়মুড় করে যখন অফিসে ঢুকেন তখনও অপরাধীর দৃষ্টি নিয়ে সবার দিকে তাকান। অথচ এই পরিস্থিতির জন্যে মহিলাটি নিজে কিন্তু দায়ী নন্ যা তিনি ভুলে যান। এই হীনমন্যতা থেকে বেরুনো জরুরি। এখন অবশ্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিস্থিতির পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়, যা যথেষ্ট নয়। আমাদের ...

কালো সুন্দর ধলো সুন্দরঃ সুন্দর পৃথিবীর রঙ

 প্রসঙ্গ হচ্ছে কালো না সফেদ, নারীর গায়ের রঙ না পুরুষের গায়ের রঙ, সুন্দর নাকি অসুন্দর? আমি যদি আমাকে এই প্রশ্ন করি তবে উত্তর আমি নিজেই দেবো পৃথিবীর রঙটাই সুন্দর।  মানুষের গায়ের চামড়া বা রঙ নিয়ে বৈষম্য সেই আদিকাল থেকেই। এখানে কে লম্বা কে বেটে, কার রঙ কেমন, কে কোন জাতের ইত্যাদি প্রথা বিভিন্ন সময়, যুগ এবং কালে মানুষের মধ্যে ছিল৷ যুগে যুগে কাঠামো উন্নত হয়েছে সমাজের কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সেই দেড় হাজার বা তার আগের যুগের মতই রয়ে গেছে৷ উইকিপিডিয়া থেকে সরাসরি যদি প্রাচীন ভারতের বর্ণপ্রথার ইতিহাস তুলে ধরি, তবে বলতে হবে,  ভারতে বর্ণপ্রথা হলো জাতি এর উপমূর্তিগত উদাহরণ। প্রাচীন ভারতে এর উৎস রয়েছে এবং মধ্যযুগীয়, আদি-আধুনিক, এবং আধুনিক ভারতে বিশেষত মোগল সাম্রাজ্য এবং ব্রিটিশ রাজের বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠী দ্বারা এটি রূপান্তরিত হয়েছিল। এটি আজ ভারতে শিক্ষাগত এবং চাকরি সংরক্ষণ এর একটি ভিত্তি হিসেবে রয়ে গেছে। বর্ণপ্রথা দুটি পৃথক ধারণা নিয়ে গঠিত, এগুলি হলোবর্ণ এবং জাতি যা এই পদ্ধতির বিশ্লেষণের বিভিন্ন স্তরের দিক হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। গান্ধী ১৯৩৩ সালে দলিত (তিনি হরিজনকে ব্যব...