সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

সিলেট-৩, কে আসছেন, কেন আসবেন?

 সিলেট ৩ আসন। আমার সংসদীয় আসন, এই আসনের একজন ভোটার আমি। ফেঞ্চুগঞ্জ -বালাগঞ্জ-দক্ষিণ সুরমা এই তিন উপজেলা নিয়ে ৩ লক্ষ ২২ হাজার ২৯৩ জন ভোটারের এই আসন নিয়ে আগামীতে হবে উপ নির্বাচন।  প্র‍য়াত সাংসদ মাহমুদ সামাদের মৃত্যুর পর আগামী জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে উপ নির্বাচন। মাহমুদ সামাদের মৃত্যুর পর পরই প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ শুরু নির্বাচন নিয়ে। বিএনপি জামায়াত সমর্থিত বিরোধী দলীয় জোট এ নির্বাঁচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে মূলত আলোচনায় সরকার দলীয় জোটের নেতারা এবং তাদের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও।  সিলেট ৩ আসনকে বলা হয় রিভেঞ্জেবল আসন। এখানে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি, বামপন্থি (ন্যাপ) সব দল থেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। সুতরাং এখানে বলা মুশকিল কে বা কোন দল বা জোট পাশ করবে৷ আবার এখানে জোট মহাজোট মেনেও অনেক সময় নির্বাচন হয়নি৷ এই আসনে মহাজোটে শরিক থাকা সত্ত্বেও জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামীলীগের দুই দলেরই প্রার্থী ছিলেন ২০০৮ সালের নির্বাচনে।  মাহমুদ উস সামাদের মৃত্যুর পর এখানে রাজনীতির ঘোল পাল্টেছে বেশ জোরেসোরেই। এখানে যেমন অনেকে দীর্ঘদিন থেকে লেগে থাকার পর একটি সুযোগ পেয়েছেন ...

নারী সাংবাদিক এবং স্যালুট

 সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয় এটি একটি আমার মুক্ত আকাশ। পেশাগত, দায়িত্বগত, বন্ধুত্বগত কারণে সাংবাদিক বন্ধু বান্ধবী আমার বেশি। আমার খুব কাছের বন্ধুরা অনেকেই সাংবাদিক। ২০১৫ সালের ঘটনা, ব্লগিং এর পাশাপাশি যখন প্রোফেশনাল সাংবাদিকতা শুরু করি তখন একটি এসাইনমেন্টের কাজে একজন বান্ধবী সাংবাদিকের সাথে যাচ্ছিলাম সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায়। বাসে করেই যাবও আমাদের সিধান্ত। যেতে যেতে অনেক গল্প হলো, পেশাগত কথাও হলো। আমার বান্ধবী বলেছিলো পেশাগত দায়িত্ব পালনে কতটুকু নাজেহাল হতে হয় নারী সাংবাদিকের। যেমন, ফুটেজ নেওতার জন্য ভীড়ে যেতে হয়, সেখানে ইচ্ছাকৃত ভাবে অনেকেই শারিরিক ভাবে তাদের লাঞ্চিত করেন। আমার কোন কারণে কোন নিউজ বিটের সংশ্লিষ্ট বক্তব্য দিতে গিয়ে যদি মহিলা কণ্ঠ শুনেন,  তখন দেখা যায় হাস্যরস করে বিনোদন পাতার রিপোর্টার বলে রম্য করেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে বিনোদন বিট কি নিউজ বিটের বাহিরে, নাকি কোন নারী অন্য বিটের প্রতিবেদক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না? নাকি বিনোদন বিট মানেই নারী সাংবাদিক?  এই প্রশ্ন গুলো আমাকে অনেক ভাবায়! যাই হোক যা বলেছিলাম, ঐ বান্ধবীর কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছিলেন, হবিগঞ্জের দৈনিক পত্র...

ঈদের একাল সেকাল

 মধ্য পরিবারের ঈদ আমাদের অন্যরকম কিন্তু গতানুগতিক।  অন্যরকম এই কারণেই বললাম আমাদের যারা বাঙ্গালি মুসলমান পরিবারে জন্ম,  বেড়ে ওঠা আমরা সারাজীবন'ই দেখেছি পুরো রোজা মাস আমাদের পরিবারগুলোতে একরকম উৎসবের আমেজ থাকে যার মূল কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে ঈদ। সাধ্যমত আনন্দ ভাগাভাগি করাটা একধরনের সুখ৷ এই কারণেই সেটা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অন্যরকম। আবার গতানুগতিক এই কারণেই বললাম আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোতে আয় সীমিত,  সারা বছর যা আয় হয় সেটা রোজা মাসেও হয়, সুতরাং সেই আয় থেকে উৎসবের যোগান দিতে হয়।   মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম বেড়ে উঠা হলেও কখনো অভাব দেখিনি। এটা হয়ত প্রকৃতির দয়া, দোয়া বা আশীর্বাদ।  আবার পূর্বপুরুষের কর্মফসল হতে পারে। বাবা মা দুজন চাকরির সুবাদে বেশ ভালো ভাবেই বড় হয়েছে। দুজনের একজনও কখনো আমাদের দুইভাইকে অভাব দেখতে দেন নি। আয় ইনকামে বেশ ভালো ভাবেই চলেছে। বাবা সত্তর দশক থেকেই ছাত্র রাজনীতি মা আশির দশকে টুকটাক করেছেন। দাদা বা নানাও সরকারী চাকুরীজীবী ছিলেন, যুদ্ধ করেছেন অনেকেই ভাবেন যে হয়তো রাজনীতির কারণে অনেক ব্যবসা আছে,  তা মোটেও নয়। পারিবারিক সূত্রে মুটা...