শাট ডাউন লক ডাউন মানবেন কিনা আপনার ব্যাপার। কিন্তু মনে রাখবেন, এই জীবন একবার। দ্বিতীয় কোন সুযোগ নেই। ধর্মের বিশ্বাসে নেই, বৈজ্ঞানের বিশ্বাসে ত নেই'ই, এমনিতেও নাই। সুতরাং বাঁচুন, বাঁচার চেষ্টা করুন।
শাট ডাউন। ২০০৩ সাল থেকে তখনকার মডেলের পেন্টিয়াম ফোর কম্পিউটারের সাথে সখ্যতা থাকার কারণে এই সাট ডাউন শব্দটা যেনে আসছি। এতোদিন আমরা যন্ত্রের সাথে এসব যান্ত্রিক শব্দ শুনে এসেছি এখন বাস্তব জীবনে প্রয়োগ দেখা হচ্ছে৷ ইউরোপের দেশ গুলো যেখানে করোনা মোকাবেলায় মুটামুটি সক্ষম, এশিয়া এমনকি সাউথ এশিয়ার আমাদের প্রতিবেশি দেশ নেপাল এবং ভুটান মুটামুটি করোনা প্রভাব কাটিয়ে উঠেছে সেখানে আমাদের বারবার করোনার থাবা সহ্য করতে হচ্ছে।
কথা হচ্ছে, রাষ্ট্র যদি মহা কোন প্রজ্ঞাপন দিয়ে থাকে আর আমরা যদি সেটা না মানি তবে কখনোই আমরা মহামারি থেকে রক্ষা পাবো না। জীবন আমাদের, সুতরাং অনুধাবন করতে হবে আমাদের। আমরা কেন বাসায় থাকব, জনসমাগম এভৈড করব সেটা আমাদের জন্য, আমাদের জীবনের জন্য। সামাজিক দূরত্ব সহ সবগুলো নিয়ম আমাদের মেনে চলে চলতে হবে। জীবন আমাদের, একটা জীবন বেঁচে থাকার রাস্তা আমাদের বের করতে হবে। বের হয়েই আছে শুধু মানতে হবে।
দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, সরকারের শক্ত অবস্থানের বিকল্প নেই। পিটাতে হলে পিটিয়ে ঘরে রাখতে হবে। উগ্রতা মনে হচ্ছে কথায়। না সেটা নয়, আমি বা আমরা কোন তত্ত্ব মানিনা। সুতরাং গ্রামীণ ভাষায় বলতে হয় 'মাইরের উপর ওষুধ নাই'।
আমাদের আসলে সরকারের চৌদ্দ পুরুষ উদ্ধারের মুখ থাকার কথা না। কারণ আমরা গত ঈদে দেখেছি। কিভাবে বাড়ি ফেরার পালা। ঝুলে, ঝুঁকিতে, নেচে দৌড়িয়ে কিভাবে ফেরিঘাট গুলোর অবস্থা ছিল। এখানে সরকার ডাকছে আসেন? না ডাকে নাই। আমরাই করেছি। আমরা এমন'ই।
আসি সরকারের বেলায়৷ সরকার মানে আমাদের যারা ব্যবস্থাপক। লেইম নির্লজ্জ কিছু লোকজন দিয়ে আমরা জমি চাষ করাই। আমরাই করাই। নাম ধরে বললে দেশের হাজার হাজার ব্যবস্থাপকের কথা বলতে হবে। দায়, উদসীন কতিপয় লোকদের দ্বারা চলছে। যারা ভালো আছেন তারা নষ্টের গন্ধে নিজেরাই কিংকর্তব্যবিমূঢ়। আপনি জানেন, আমরা ত শুধু উন্নয়নশীল দেশে পদার্পনের কথা বলি। ইউরোপের দেশ রোমানিয়া, লিথুনিয়া টিকা নিয়ে হিমশিম। ল্যাতিন আমেরিকায় ত অবস্থা আরো খারাপ। আর আমরা চস্র আনায় সাড়ে তিন আণায় লুটে নেই। সেখানে বোঝেন কি অবস্থা হতে পারে।
ভাই এবং আপারা, আপনি না বাঁচেন, বাচ্চাটার জন্য বেঁচে থাকেন। পরিবারের জন্য বাঁচেন। বাজার হাঁট নির্বাচন প্রমোদ হানিমুন সব হবে। কিন্তু মরে গেলে শেষ। সুতরাং ঘরে থাকুন। নিজে বাঁচুন। নিজেই বাঁচুন, তবে দেশ বেঁচে যাবে।
সুস্থতা কাম্য।
লিখেছেন : চৌধুরী মারূফ, সাংবাদিক
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন