সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2014 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঘুরে এলাম কুমিল্লার ধর্মসাগর

হঠাৎ করেই কুমিল্লা যাবার প্লান হলো। ছোট ভাইরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিবে। উত্তমের বায়না তার সাথে আমাকে যেতেই হবে। রাজী হয়ে গেলাম। ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করে বন্ধু, সহযোদ্ধাদের সাথে আড্ডা না দিয়েই বাসায় ফিরে এলাম। রাতে খুব নিবিড় ঘুম না হলেও শুয়ে ছিলাম বিছানায়। ভোরের দিকে কয়েক ঘণ্টা ঘুম হলেও সকাল সাত টায় সাকিবের মোবাইল কলে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। উঠি উঠি করেও আধা ঘণ্টা শুয়ে ছিলাম। এর মধ্যে সাকিব এসে হাজির, উত্তম ও রেডি হয়ে গেছে। ন'টার মধ্যেই আমরা বেরিয়ে পড়লাম।  পাহাড়িকায় করে কুমিল্লা পৌছাতে প্রায় সাড়ে চারটা বেজে গেলো। কুমিল্লার সিরাজ নানার সাথে আগে থেকেই কথা ছিলো উনার বাসায় উঠবো।  বেশ মিশুক, প্রগতিশীল মানুষ উনি,গান বাজনায় বেশ পারদর্শী। শহরের ও মাথায় উনার বাসা, মূল শহরের একটু বাহিরেই বলা যায়। বাসায় পৌছে ঐ দিন আর বের হই নি। খুব ক্লান্ত ছিলাম। শুয়ে শুয়ে নেট ব্রাউজিং করছিলাম আর বিবির বাজার স্থল বন্দর থেকে বের হয়ে যাওয়া মাল বোঝাই ট্রাকের শাঁ শাঁ শব্দ শুনছিলাম। কখন যে চোখ লেগে গেলো তা টের'ই পাইনি। ভোর...

ভ্রমণ হাকালুকি

ছুটি পেলেই এখন ঘুরতে বেরোচ্ছে মানুষ। ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে তো কথাই নেই। এবার ঈদেও তার ব্যতিক্রম হবে না। ইতোমধ্যে ঘুরাঘুরির পরিকল্পনা করে ফেলেছেন ভ্রমণপিয়াসীরা। এবার ঈদ বর্ষা মৌসুমে। বর্ষায় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ হতে পারে সিলেটের হাওরগুলো। দেশের বৃহত্তম হাওর হাকালুকি হতে পারে এই ছুটিতে পর্যটকদের পছন্দের স্থান। বর্ষায় ভরা যৌবনা হাকালুকি তার রূপ নিয়ে অপেক্ষায় আছে পর্যটকদের। হাকালুকি হাওর, সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলায় অবস্থিত। হাওরটি ৫টি উপজেলা ও ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে বিস্তৃত। হাওরের ৪০% বড়লেখা, ৩০% কুলাউড়া, ১৫% ফেঞ্চুগঞ্জ, ১০% গোলাপগঞ্জ এবং ৫% বিয়ানীবাজার উপজেলার অন্তর্গত। এই হাওরের আয়তন ২০,৪০০ হেক্টর। ২৩৬টি বিল নিয়ে এই হাকালুকি হাওর। বিলগুলোতে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। বর্ষাকালে এই হাওর এক অনন্য রূপ ধারণ করে। চারদিকে শুধু পানি আর পানির খেলা। সে এক অপরুপ দৃশ্য। হাওরের বিলগুলোতে র‌য়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। তার মধ্যে রয়েছে, আইড়, চিতল, বাউশ, পাবদা, মাগুর, শিং, কৈসহ আরও নানা প্রজাতির। হাকালুকি হাওরের নামকরণ নিয়ে নানা জনশ্রুতি রয়েছে। কথিত আছে, বহু বছর পূর্বে ত্রিপুরার মহারাজা অমর মা...

সাহিত্য রাজনীতির মিল বন্ধন

রাজনীতি এবং সাহিত্য দু’টি ভিন্ন শব্দ। কিন্তু শব্দ দুটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের মধ্যে আন্তঃ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। রাজনীতির সম্পর্ক দেশ-মটি-মানুষের সাথে সাহিত্যও তেমনি। সাহিত্য মানুষের দুঃখ-দুর্দশা-অভাব-অভিযোগ, সংগ্রাম-সাহসের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে। সার্থক সাহিত্যে সমসাময়িক সমাজ জীবনের চালচিত্র শ্রেনী-বৈষম্য, আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থার ধারনা থাকে। সাহিত্য মানুষের সমস্যা চিহ্নিত করে তুলে ধরে আর রাজনীতি সে সমস্যা সমাধানের জন্য লড়াই করে। রাজনীতি এবং সাহিত্য উভয়েরি লক্ষ্য দেশ-মাটি মানুষের কল্যান সাাধন। এ অর্থে রাজনীতি এবং সাহিত্যের নিবীড় সর্ম্পকের যথার্থতার প্রমান পাওয়া যায়। সাহিত্য রাজনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করতে পারে। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় রাজনীতির প্রসংগ উঠে আসতে পারে। গল্প কবিতা উপন্যাস নাটক সিনেমায় রাজনীতির প্রেক্ষাপটকে তুলে ধরা যায়। সাহিত্যিকরা সাহিত্য রচনার মাধ্যমে সমাজের চিত্র তুলে ধরে যা চলমান রাজনীতিতে গতি সঞ্চার করতে সক্ষম হয়। বিশ্ব সাহিত্যাংগনের অনেক সাহিত্য রাজনীতিকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছে। আমাদের বাংলা সাহিত্যের অনেক ল...

ছেলেবেলা

কোথায় আমার হাওর-বাওড় কোথায় সবুজ বীথি, কোথায় আমার নবান্নের মাঠ শুকনো মাঠের সিঁথি। সবখানে আজ বসত বাড়ি বাগান বাড়ি কই! কোথায় আমার ছেলেবেলার কোলাহল হইচই।  কোথায় আমার জবা বকুল হাসনাহেনা  জুঁই, স্মৃতির পাতা উল্টে এখন বিঁধছে বুকে সুই। কোথায় আমার ডাহুক ডাকা শিশিরভেজা ভোর, জলছিটানো সকাল বেলার কপাট খোলা দোর। পাই না খুঁজে আগের কিছু সেসব দিনের খেলা, ক্যালেন্ডারের পাতা ঝরে হারাই ছেলেবেলা। কবিিতা- লিটন কুমার চৌধুরী

মাঝি নৌকা ভিড়াও

মাঝি নৌকা ভিড়াও- আবদুস সামাদ আজাদ। শিরোনামটি কবি, সাংবাদিক আবু হাসান শাহরিয়ারের কাছ থেকে ধার করা। আবদুস সামাদ আজাদকে নিয়ে অনেক গল্প প্রখ্যাত সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমানের কাছে শোনা। এ অঞ্চলে জননেতা বললে এই নামটিই ভেসে উঠে। ৬৫ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ৫১ বছরই তিনি ছিলেন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। জন মানুষের সুখ-দুঃখের সারথি ছিলেন আবদুস সামাদ আজাদ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনীতিতে পাঠ নেয়া আবদুস সামাদ আজাদ ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সকল আন্দোলনে অগ্রপথিক। সিলেটে আওয়ামী লীগের এক সমাবেশে মরহুম দেওয়ান ফরিদ গাজী বক্তব্য দিচ্ছিলেন-সিলেটে এক সাইকেলে করে ঘুরে ঘুরে দলকে সংগঠিত করেছেন। তিনি যখন সাইকেল চালাতেন তখন পেছনে বসতেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দেওয়ান ফরিদ গাজী যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন মঞ্চে ঘুমাচ্ছিলেন বর্ষিয়াণ রাজনীতিবিদ আবদুস সামাদ আজাদ। মঞ্চে তাঁর ডাক পড়তেই তিনি সোজা দাড়িয়ে বললেন- একখান না, সাইকেল ছিল দুইটা। একটা বঙ্গবন্ধু চালাতেন একটা তিনি নিজে। তাঁর কলাবাগনের বাসভবনে গভীর রাত পর্যন্ত কর্মীদের নিয়ে রাজনৈতিক আড্ডায় মেতে ঊঠতেন তিনি। রাতজাগা রাজনীতি নিয়ে তোফায়েল আহমদ একবা...

আমরা কি পারিনা রোকনকে বাঁচাতে!

আমরা কি পারিনা রোকনকে বাঁচাতে! হয়তো পারি, পারব। এমনটাই ইচ্ছা রোকনের বন্ধুদের। তাদের আবেদন সকলে পাশে এসে দাঁড়াবেন রোকনের। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত মো. আবুল হাসান রোকন ওরফে এম. এ. রোকনের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন তাঁর বন্ধুরা। সাহায্য চেয়ে ইতোমধ্যে তাঁরা ফেসবুকে একটি ইভেন্টও খুলেছেন। এই ইভেন্টে জানানো হয়- রোকন সৈয়দ আহম্মেদ কলেজে মার্কেটিং বিষয়ে অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি থ্যালাসেমিয়া নামক জটিল রোগের সাথে লড়াই করছেন। তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন। রোকনের পরিবারের এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা ব্যয় বহন করা আর সম্ভব হচ্ছে না। তাই তরুণ কবি এম এ রোকনের চিকিৎসায় সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। রোকন বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক এ কে এম কামরুজ্জামানের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। রোকনের নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট বা বিকাশ একাউন্ট ছাড়া অন্য কারো একাউন্টে বা মাধ্যমে সাহায্য না পাঠানোরও অনুরোধ করা হয়। রোকনের নিজস্ব বিকাশ নাম্বার : 01740386540 01745366258 রোকনের নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট : Md. Abu...

লাল খাতার ঐতিহ্য

বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হবে নতুন বছর। বাংলা বর্ষ গণনায় ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন বছরের শুরুটা হয় লাল রঙের হাল খাতার পাতায় হিসাব তোলার মধ্য দিয়ে। তাই তারা ব্যস্ত হালখাতা কিনতে। বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে সিলেট নগরীর বন্দর বাজার, লালদিঘীর পাড় এলাকার ষ্টেশনারী দোকান গুলোতে গিয়ে দেখা গেল ব্যবসায়ীদের হালখাতা কিনতে। ২০০ থেকে ২০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে লাল রঙ্গের এইসব হালখাতা গুলো। অনেকে ইতোমধ্যে বিলি করা শেষ করেছেন হালখাতার চিঠি। চিঠি পাওয়া ক্রেতারা দেনা মেটাতে হাজির হবেন 'শুভ হালখাতা' অনুষ্ঠানে। নগরীর ছোট বড় দোকানী, আড়ৎদাররা নতুন বছরে অনেকটা ঘটা করেই পালন করে থাকেন হালখাতা অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে তারা নিমন্ত্রণ করে থাকেন ক্রেতাদের। ক্রেতারা উপস্থিত হয়ে দেনা মেটান। এই দিনে মিষ্টি মুখ করানো হয় ক্রেতাদেরকে।নগরীর লালদিঘীর পার এলাকার শারমিন পেপার এন্ড ষ্টেশনারীতে গিয়ে দেখা গেল বেশ কয়েকজন ক্রেতা এখানে এসেছেন হালখাতা কিনতে। দোকানের বিক্রয়কর্মী দুলাল আহমদ জানান, নতুন বছর উপলক্ষে আজ হালখাতা বিক্রি হচ্ছে খুব বেশি। লালদিঘীর পাড় এলাকার আল হাবিব পেপার এন্ড ষ্টেশনারীর বিক্রয়কর্মী হাবিবুর রহমান জান...

রাজনীতিতে অস্থিরতা নেই, স্বস্তি আছে কি?

দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি গত কয়েক বছর ধরেই আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে। দেশে অসংখ্য রাজনৈতিক দল থাকলেও কারও তেমন সাংগঠনিক তৎপরতা নেই। বিএনপি নেতৃত্বহীন এবং একেবারেই কোণঠাসা। সরকার বিএনপিকে চাপে রাখার নীতি নিয়েছে। সরকারকে চাপে রাখার কোনো কৌশল বিএনপি নিতে পারছে না। দেশে কার্যত একদলীয় শাসন চলছে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। তবে যেভাবেই হোক দেশে বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই। এই স্বাভাবিক অবস্থা কতদিন থাকবে, কারো কারো মনে সে প্রশ্ন আছে। হঠাৎ কিছু ঘটে কিনা তা নিয়েও বাজারি জল্পনাকল্পনাও আছে। বিএনপি অবশ্য মাঝেমধ্যে গণঅভ্যুত্থান জাতীয় কিছুর স্বপ্ন দেখে থাকে। কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের কাছ থেকে তেমন কোনো আশঙ্কা কিংবা সম্ভাবনার কথা শোনা যাচ্ছে না। শেখ হাসিনার সরকার অজনপ্রিয়, জনবিচ্ছিন্ন, সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই – এসব গৎবাঁধা কথা বছরের পর বছর ধরে বিএনপি বলে আসছে। দেশে যে গণঅভ্যুত্থানের পরিবেশ-পরিস্থিতি নেই, সেটা বোঝার মতো রাজনৈতিক বিবেচনাবোধও বিএনপির নেই। স্বেচ্ছাচারী, ক্ষমতা দখলকারী, অনির্বাচিত স্বৈর সরকারের বিরুদ্ধে ছাড়া সাধারণত গণঅভ্যুত্থান ঘটে না। নির্বাচিত সরকার জনপ্রিয়তা হ...

নির্বাচন: কৌতূহল

নির্বাচন কারো কারো কাছে এখন কৌতুক। বেশির ভাগের কাছে অবশ্য কৌতূহল। কী হবে! ভোট দিনে হবে নাকি রাতে হবে? বিরোধী দল মাঝপথে বর্জন করবে? সরকারি সমর্থকরা বলছেন, খুবই উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতিতে...যা তাঁরা সব সময় বলে থাকেন। এক এলাকায় ভোটে খুবই খারাপ অবস্থা। কেউ ভোট দিতে পারছেন না। কেন্দ্র দখল করে রেখেছে গুণ্ডারা। প্রিসাইডিং অফিসার মহোদয় ওদের যথাসাধ্য সাহায্য-সহযোগিতা করছেন। স্বভাবতই ভোটার তমিজউদ্দিন ভোট দিতে পারলেন না। হতাশ হয়ে তিনি ভায়রাভাইকে ফোন করে নিজের দুঃখের কথা বলেন। ভায়রা শুনে বললেন, ‘বলো কী! তোমাদের এলাকায় এ রকম ভোট হচ্ছে?’ ‘কেন, তোমাদের এলাকায় কি তোমরা নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারছ?’ ‘পারছি মানে...একেকজন ১০-১২টা করে ভোট দিচ্ছে। আমিই তো কয়েকটা দিয়ে খেতে এসেছি। খেয়ে গিয়ে আবার দেব। তুমি বরং চলে আসো। তোমাদের এলাকায় আরো যারা ভোট দিতে পারেনি ওদেরও নিয়ে আসো। এখানে ভোট দেওয়ার কোনো সমস্যা নেই।’ এ রকম নির্বিঘ্ন এবং ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার ভোট হলে অবশ্য আমাদের কোনো কথা নেই। বিরোধী সমর্থকদের দাবি, সাজানো নির্বাচন হবে। ভোট হয়ে যাবে আগের রাতে। ভোটের দিন যা হবে তা হলো প্রহসন। ...