সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

ছবিয়ালদের উৎসবের দিন আজ

ছবিয়াল বা ফটোগ্রাফার, এক অতি পরিচিত নাম। কেউ শখ করে ছবি তোলে কেউবা পেশা হিসেবেই বেছে নিয়েছে এই কাজকে। মোবাইল থেকে শুরু করে দামী ডিএসএলআর ক্যামেরা, মাধ্যম যেটাই হোক কম বেশি ছবি সবাই ই তোলে।


আজ বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস। ১৮৩৯ সাল থেকে আগস্ট মাসের উনিশ তারিখ কে আলোকচিত্রের দিন হিসেবে উদযাপন করে আসছে পুরো পৃথিবী।

মুহূর্তগুলো কে ফ্রেমে বন্দি করে রাখার চিন্তা কিন্তু মানুষের মাথায় বেশ অনেক আগেই এসেছিলো। আঠারো শতকের প্রথম দিক থেকেই বিজ্ঞানীরা তাই ব্যাস্ত হয়ে পড়েন এমন কিছু আবিষ্কার করার জন্য যা মানুষের বা প্রকৃতির যে কোন মুহূর্তকে ধরে রাখতে পারবে। 

১৮৩৯ সালের জানুয়ারীর ৯ তারিখে ফ্রেন্স একাডেমি অব সাইন্সেস আলোকচিত্রের এক উপায় আবিস্কারের ঘোষণা দেন। এই উপায়ের নাম হল ড্যাগুইররিয়ো টাইপ। নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তারা এই প্রক্রিয়াকে কয়েক মাস পর ১৯শে আগস্ট, ১৮৩৯ সালে সর্বসাধারনের সম্মুখে আনে। 

বিজ্ঞানী লুইস ড্যাগুইর সর্বপ্রথম ছবি তোলার ব্যাবহারিক এ উপায় আবিষ্কার করেন। তার নাম অনুসারেই ছবি তোলার এই উপায়ের নাম দেয়া হয় ড্যাগুইররিয়ো টাইপ ফটোগ্রাফি। 

১৮৩৯ সালের ১৯ শে আগস্ট ফ্রেন্স একাডেমি অব সাইন্সেস, প্যারিসে একটি জনসভা ডাকে এবং সেখানে এই উপায়ে ছবি কিভাবে তোলা হয় তা সবাইকে দেখানো হয়। মাত্র কয়েকদিনের মাঝে ড্যাগুইররিয়ো টাইপ ফটোগ্রাফির জনপ্রিয়তা পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।  

ড্যাগুইররিয়ো টাইপ ফটোগ্রাফি মুক্তি লাভের সেই দিনটিকে স্মরণ করার উদ্দেশ্যে প্রতি বছরের এই দিন বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস হিসেবে উদযাপিত হয়ে থাকে। 

আপনি যদি শখের বা পেশার ছবিয়াল হয়ে থাকেন তবে আজকের দিনটিকে একটু বিশেষভাবে উদযাপন করতে পারেন! 

ছবিস্বত্ত্ব- মারূফ অমিত, সাংবাদিক এবং আলোকচিত্রী 
লিখা- নিশীথা মিতু, চারপাশ ব্লগ 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বাউল সাধক চান মিয়া এবং আমার কিছু উপলব্ধি

"রজনী হইসনা অবসান  আজ নিশিতে আসতে পারেবন্ধু কালাচাঁন।। কত নিশি পোহাইলোমনের আশা মনে রইলো রে কেন বন্ধু আসিলোনা জুড়ায়না পরান। আজ নিশিতে আসতে পারে বন্ধু কালাচাঁন।। বাসর সাজাই আসার আশেআসবে বন্ধু নিশি শেষে দারূন পিরিতের বিষে ধরিল উজান। আজ নিশিতে আসতে পারে বন্ধু কালাচাঁন।। মেঘে ঢাকা আঁধার রাতে কেমনে থাকি একা ঘরে সাধক চাঁনমিয়া কয় কানতে কানতে হইলাম পেরেশান আজ নিশিতে আসতে বন্দু কালাচাঁন।"    গভীর নিশিতে ধ্যান মগ্ন হয়ে কালাচাঁনের অপেক্ষা করছেন সাধক।  সাধক চান মিয়ার শিষ্য বাউল সিরাজউদ্দিনের মতে এটি একটি রাই বিচ্ছেদ। কৃষ্ণের অপেক্ষায় রাধা নিশি বা রাতকে অনুরোধ করছেন 'রাত' যেন না পোহায়  কারণ তার কালা চান যে কোন সময় আসতে পারে। শব্দগুচ্ছ গুলো থেকে সহজেই উপলব্ধি হয় সাধক নিজ দেহকে রাধা আর আত্মাকে কৃষ্ণের সাথে তুলনা করেছেন। দেহ আত্মার মিলন ঘটানোই ছিল সাধকের সাধনা।        বাউল সাধক চান মিয়া উপরোক্ত গানটি রচনা করেছেন। নেত্রকোনা জেলার খাটপুরা গ্রামে ১৩২৫ বঙ্গাব্দে সাধক চান মিয়ার জন্ম। পুরো নাম চান্দেজ্জামান আকন্দ হলেও বা...

বাউল, বাউলতত্ব এবং কিছু কথা

একজন ভদ্র বন্ধু বরের সাথে বাউল সম্প্রদায় নিয়ে বেশ তর্ক হলো রাতে। তর্কের সূত্রপাত ছিল বাউলরা ভাববাদী না বস্তুবাদী। ভাবলাম "বাউলতত্ত্ব"র আলোকে বাউলরা ভাববাদী নাকি বস্তুবাদী তা নিয়ে যৌক্তিক আলোচনা আবশ্যম্ভাবী। কয়েকটি ধারাবাহিক পর্ব লিখে নিজের মনোভাব বোঝানোর চেষ্টা করব।  শুরুতেই শক্তিনাথ ঝাঁ এর বস্তুবাদী বাউল বই থেকে কিছু কথা লিখতে চাই; বাস্তব জগত ও জীবনকে এরা কোন আনুমানিক যুক্তি বা আলৌকিক যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে নারাজ। জৈব রাসায়নিক ব্যাখায় এরা নারীর রজঃ এবং পুরুষের বিজে জীবন ও জগত সৃষ্টিকে ব্যাখা করে এবং চার ভূতকে প্রাকৃতিক সৃষ্টি মনে করে। এভাবে মানুষে, প্রকৃতিতে তৈরি করে প্রাণ, প্রাণী। অনুমান ভিত্তিক স্বর্গ, নরক, পরলোক, পুনর্জন্মাদি প্রত্যক্ষ প্রমাণাভাবে বাউল আগ্রাহ্য করে। মানুষ ব্যাতিরিক্ত ঈশ্বরও এরা মানে না। সৃষ্টির নিয়মকে জেনে যিনি নিজেকে পরিচালনা করতে শিখেছেন- তিনিই সাঁই। সুস্থ নিরোগ দীর্ঘজীবন এবং আনন্দকে অনুভব করার বাউল সাধনা এক আনন্দমার্গ।।  বাউলরা ভাববাদী না বস্তুবাদী এর অনেক সূক্ষ বিশ্লেষণ শক্তিনাথের বস্তুবাদী বাউল বইটির মধ্যে আলকপাত করা হয়েছে। সাধারণ সমাজে এ ধা...

ভাইবে রাধারমণ

তখন কলেজের ছাত্র। বাংলা বিভাগের প্রভাষক শ্রদ্ধেয় রেজা স্যারের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক। কলেজের প্রথম দিনই স্যারকে খুব পছন্দ। তারপর স্যারের সাথে গল্প, সমাজ, রাজনীতি, সাহিত্য নিয়ে আলোচনা। রীতিমত ফিজিক্স, বায়োলোজি ক্লাস ফাঁকি দিলেও বাংলা ক্লাস কখনই ফাঁকি দিতাম না। খুব উপভোগ করতাম স্যারের ক্লাস। হোস্টেল সুপার হিসেবে স্যার ( ওহী আলম রেজা) আমাদের সাথেই থাকতেন। আমরা আসার প্রায় নয় মাস পর স্যার এলেন সুপার হিসেবে। প্রতিদিন রাতে খাবার পরেই স্যারের রুমে গিয়ে আড্ডা হত, গানের আসর হত। স্যারের পিসিতে প্রায়ই গান শুনতাম আমরা। একদিন হঠাৎ করেই একটি গান স্যার প্লে করলেন 'আমার বন্ধু দয়াময় তোমারে দেখিবার মনে লয়। তোমারে না দেখলে রাধার জীবন কেমনে রয় বন্ধুরে।। কদম ডালে বইসারে বন্ধু ভাঙ্গ কদম্বের আগা। শিশুকালে প্রেম শিখাইয়া যৌবনকালে দাগা রে।। তমাল ডালে বইসারে বন্ধু বাজাও রঙের বাশি। সুর শুনিয়া রাধার মন হইলো যে উদাসি রে।। ভাইবে রাধা রমন বলে মনেতে ভাবিয়া। নিভা ছিল মনের আগুন কে দিলাই জ্বালাইয়া রে।' গানের কথাগুলো বেশ ভালো লেগে গেলো। পুর গানটি শুনে বুঝলাম গানটি সাধক রাধারম...