সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বিজয়ের দিন ১৬ ডিসেম্বরঃ বাংলাদেশের জন্মদিন ২৬ মার্চ

আজ মহান বিজয় দিবস।  পাকিস্তানী হানাদারদের পরাজিত করে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিল প্রিয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সবাইকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। যে কারণে আমি নিচের কথাগুলো লিখছি সেটার মূল কারণ হলো অনেকেই দেখলাম 'শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ' বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিচ্ছেন। এটি একটি ভুল ইতিহাস চর্চা। বাংলাদেশের জন্মদিন হচ্ছে ২৬ মার্চ। যেদিন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। সেদিন থেকেই বাংলাদেশ স্বাধীন অর্থাৎ বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্র পৃথিবী ঘোষিত হয়েছিল। ২৫ মার্চ রাতেই আমাদের স্বাধীনতার ঘোষনা অর্থ্যাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহর থেকেই স্বাধীন বাংলাদেশ-এই বাংলাদেশের প্রতি সিংহভাগ মানুষ আনুগত্য প্রকাশ করেছে, এর সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রান দিয়েছে, শুধু দালালরা এই রাষ্ট্রের বিরোধীতা করেছে। যদি ২৫ মার্চ রাত থেকে এ আমার দেশ না হয় তাহলে পাকিস্তানী সেনাদের হানাদার বলবো কোন যুক্তিতে? ২৫ মার্চের তিন সপ্তাহের মধ্যেই অর্থাৎ এপ্রিলেই তো আমাদের নিজেদের সরকার, নিজেদের বাহিনী ঘোষিত হয়েছে। ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার শপথ গ্রহণ ও করেছিলেন৷ সুতরাং ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের জন্মদ...

ফেঞ্চুগঞ্জ মুক্ত দিবসঃ কাইয়ার গুদামের গণকবরের স্বীকৃতি

ফেঞ্চুগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালে আজকের এই দিনে স্বাধীন হয়েছিল আমার প্রিয় ফেঞ্চুগঞ্জ। ১৯৭১ সালের ৪ মে পাক সেনারা ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় প্রবেশ করেই প্রথমে তৎকালীন আওয়ামীলীগ নেতা উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মরহুম আছকর আলীর বাড়িতে হানা দিয়ে তার পুত্র শহীদ আসাদুজ্জামান বাচ্চুকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। এ সময় বাড়ির অন্য সদস্যদের খুঁজতে থাকে। তারা পূর্ব থেকেই বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। তথ্যমতে ফেঞ্চুগঞ্জের পাক সেনাদের হাতে প্রথম শহীদ আসাদুজ্জামান বাচ্চু। পাক সেনা ফেঞ্চুগঞ্জে প্রবেশের পর প্রথমেই ফেঞ্চুগঞ্জ বাজারে ‘‘কাইয়ার গুদামে’’ ক্যাম্প স্থাপন করে এবং এই ক্যাম্প ছিল পাক সেনাদের নির্যাতন এবং নিরীহ বাঙ্গালিদের হত্যাকান্ডের কেন্দ্রবিন্দু। অনেক জানা অজানা নিরীহ বাঙ্গালিকে ধরে নিয়ে এই ক্যাম্পে নির্যাতন করা হতো। অনেককে হত্যা করে ভাসিয়ে দেয়া হতো কুশিয়ারা নদীতে। তাই কাইয়ার গুদামটি কালের সাক্ষী হয়ে এখনও দাঁড়িয়ে আছে। দাঁড়িয়ে আছে কাইয়ার গুদামের পাশের বিশাল শিমূল গাছটি। এই গাছের উপরে পাক সেনাদের পাহারা বসানো হতো। যুদ্ধ চলাকালে উপজেলার মাইজগাঁও এলাকার নজরুল ইসলাম পংকীকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। যুদ্ধ শুরুর পূর্ব এবং প...

একজন মুক্তিযোদ্ধার সাথে আমার কথপোকথন

চৌধুরী মারূফ, সাংবাদিক এবং অনলাইন এক্টিভিস্ট কথোপকথনের সময়- ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ -------- "আজকে আমাদের ইতিহাস বিকৃত। যে যার ভাবে ইতিহাস তৈরি করে নিচ্ছে।  আমাদের নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানতেই দেওয়া হচ্ছে না। আমরা কোন দলের রাজনীতি করি না। কিন্তু খুব দুঃখ লাগে আজ ৪৬ বছর পরও বিভিন্ন অদ্ভুত কথাবার্তা শুনতে"। এভাবেই আক্ষেপ করছিলেন মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান। ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় কথা হচ্ছিল ৯ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করা মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের সাথে। মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান জানান, ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসে তাদের ১৩ জনের একটি দল বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। প্রবেশ করতেই পড়েন পাকিস্তানি মেলেটারির বাঁধার মুখে। সম্মুখ যুদ্ধ হয় পাক মেলেটারির সাথে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের অক্টোবর মাসের প্রথমদিকে যশোর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করলে যশোরের বড়দিয়া এলাকায় একটি ছোট নদী পার হওয়ার সময় পাক মেলেটারীরা আমাদের ঘিরে ফেলে। কোন মতে আমরা নদীটা পার হই পাক মেলেটারির গুলি বর্ষণের মধ্যে। পাড়ে পৌছে সেখানে থেকেই আমরা গুলি চালাই পাক মেলেটারির উপরে। আমি তখন স্টেনগান দিয়ে ফায়ার করছিলাম পাগ...

বাল্যবিবাহের বেড়াজালে চা শ্রমিক

২০১২ সালে মাত্র ১০ বছর বয়সে বিয়ে হয় সিলেটের দলদলি চা বাগানের চানমারি লাইনের মণি দাসের (১৭)। বিয়ের পরের বছরই মণি জন্ম দেন যমজ সন্তান। মণি তার কৈশোর কাটান নিজের সন্তানদের সাথে খেলা করে। বর্তমানে ৭ বছরের ২টি যমজ মেয়ে ও ৩ বছরের ১টি ছেলে সন্তানের মা তিনি। অল্প বয়সে বিয়ে ও মা হওয়ার বিরূপ প্রভাব পরে মণি ও তার বাচ্চাদের উপর। শরীর রোগা হয়ে পড়ে তার। সারা বছর অসুস্থ থাকেন। নিজে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় সন্তানরাও অপুষ্ট হয়ে জন্ম নেয়।মণির মতই বাল্যবিবাহ হয় দলদলি চা বাগানের শ্রমিক সন্ধ্যা দাশের (২৯)। ১৬ বছর বয়সে বিয়ে হয় তার। সন্ধ্যার স্বামীর বয়স তার বয়সের দ্বিগুণ। বিয়ের ১ বছর পর প্রথম সন্তান জন্ম দেন সন্ধ্যা। বর্তমানে ১১ বছরের ও ৬ বছর বয়সের ২টি ছেলে আছে তার। বাগানের কাজ, বাড়ির কাজ, সন্তান লালন পালন করে দিন কাটে তার। এতসবের চাপে শারীরিক অসুস্থতায় অনেকটা বুড়িয়ে গেছেন সন্ধ্যা।কেবল মণি আর সন্ধ্যাই নন, সিলেটের যে কোনো চা বাগানে গেলেই দেখা মিলবে এমন অসংখ্য মণি-সন্ধ্যাদের। সিলেট বিভাগের চা বাগানগুলোর ৪৬ শতাংশ কিশোরীই বাল্য বিয়ের শিকার হচ্ছে। ১৮ বছরের আগেই বিয়ে হয়ে যাচ্ছে তাদের।সিলেট বিভাগের চা বাগানের উপর...