সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জুন, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

করোনায় আমরা আমজনতা

নভেল করোনাভাইরাস। চীনের উহানে প্রথমে শনাক্ত হওয়া এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের প্রায় সব দেশ ও অঞ্চলে। এতে প্রতিনিয়ত মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এখানেও বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। সারাবিশ্বে মহামারী আকার ধারণ করেছে কোভিড-১৯। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ও সচেতনতার অভাবে বাংলাদেশ ও মরণব্যাধি করোনায় চরম মূ্ল্য দিচ্ছে।অথচ বাংলাদেশ সরকার এই মহামারী থেকে দেশের মানুষকে বাচানোর জন্য আপ্রাণ প্রয়াস কোন অংশেই কম ছিলনা।কিন্তু আমরা নিজেরাই নিজেদের করুণ অবস্থার জন্য দ্বায়ী। চিং উহাং করোনা আমাদেরকে অক্টোপাসের মতো চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে, ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলছে, একেবারে নাকের ডগায়, পালাবার আর পথ নেই, এখন লড়াই করেই বাঁচতে হবে!পাড়া মহল্লায়, অফিস আদালতে, পরিচিত বন্ধু বান্ধব ও সহকর্মীদের মাঝে ক্রমশ আক্রান্তের খবর পাচ্ছি। মৃত্যুর খবর শোনার জন্য টিভির পর্দায় ও র্স্মাট ফোনের নিউজ ফিডে চোখ রেখে গা শিউরে উঠলে ও সতর্কতা নেই বললেই চলে। আবার, মফস্বলে করোনায় পজিটিভরা সামাজিক ও  মানুষিকভাবে হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন বলে ও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।এত ...

বীভৎসতার চাষবাস: মুক্তি কত দূর?

কার্টুনিস্ট আহম্মেদ কবির কিশোরের একটা কার্টুন আছে এরকম- মা বিড়াল তার বাচ্চাকে 'আমি বৃদ্ধ হলে তুই কি আমায় বনে ফেলে আসবে?' জিজ্ঞেস করলে বাচ্চা বিড়ালের উত্তর: আমি কি মানুষের বাচ্চা?'মানুষ তো এক সময় বন-জঙ্গলে থাকতো। জীবজন্তু যেমন থাকে। পুরো পলীয় যুগে বা পুরাতন পাথরের যুগ পর্যন্ত তারা ফলমূল আহরণ করে খেতো। জীবজন্তু শিকার করে খেতো। কারণ ততদিন পর্যন্ত মানুষ কৃষি কাজ করতে শেখেনি। পাথরকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতো। গাছের ডালপালাও। নিজেদের বুদ্ধিবৃত্তিক কৌশল কাজে লাগিয়ে তারা সবার চেয়ে এগিয়ে যায়। চিন্তার শক্তি দিয়ে একে একে ধরাশায়ী করে সব জীবজন্তুকে। নতুন সৃষ্টির সক্ষমতায় গড়ে তুলে বসতি। কাপড় চোপড় পরে শাসন করতে থাকে পৃথিবী। ইচ্ছে মতো প্রকৃতি আর প্রাণিকে খতম করে করে নিজেদের হিংস্রতার ইতিহাস জানান দেয়।প্রকৃতিতে এক প্রাণি অন্য প্রাণিকে খায়। এটা চলে আসছে প্রাণির সৃষ্টি থেকে। মানুষও খাচ্ছে প্রায় সব প্রাণিকে। বিজ্ঞান যাকে খাদ্যশৃঙ্খল বলে। তাহলে প্রাণি হত্যায় হৈচৈ কেন?  আমরা যারা গ্রামাঞ্চলে বেড়ে ওঠেছি তাদের অনেকেরই বিভিন্ন ধরনের সাপের সামনে পরার অভিজ্ঞতা আছে। একেবারে সাপের উপর পরে গেলে হয়...

করোনা পজিটিভ ও করোনার পজিটিভ

পৃথিবী চুপচাপ! নীরব আতঙ্কে চুপ হয়ে গেছে শক্তি প্রদর্শনের জায়গা এ পৃথিবী! করোনা নামক অতি ক্ষুদ্র একটা ভাইরাস সুবিশাল পৃথিবীর শক্তিশালী অস্ত্রগুলোতে জং ধরিয়ে দিয়েছে। পারমানবিক শব্দটাও কাগজের পাতায় ঠাই পায়না বহু দিন। বিশ্বের মত বাংলাদেশেও অপরাধ প্রবণতা কমে এসেছে বহুলাংশে। এসব করোনার পজিটিভ। কিন্তু করোনা পজিটিভ হয়ে মহা বিপদেই পড়ছেন মানুষজন। আজ শুধু বাংলাদেশ নিয়েই বলি। বাস্তবিক ভাবেই আমরা গরীব দেশের নাগরিক। আমাদের সীমাবদ্ধতা খুব বেশি। মানুষ মৌলিক অধিকার পাওয়ার অধিকারই হয়ে গেছে উচ্চশ্রেণীর। উচ্চশ্রেণীর লোকজন যখন সাধারণ চেকআপ করাতেই বিদেশে উড়াল দেন তখন আমাদের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থার অবস্থার উপর আস্থা রেখে নাস্তানাবুদ হয়ে রাস্তা হারানোর মত দুরবস্থা হয়। এবার এই করোনা প্রকাশ করে দিল আমাদের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার কত চিত্র। চিত্র বিচিত্র স্বপ্ন দেখা আমরা জানলাম দায়িত্বশীল বড় বড় অধিদপ্তরের দাপ্তরিক কত সমন্বয়হীনতা! করোনা ঠেকাবার প্রস্তুতির বাক্য-ঝুরি শুনে আশ্বস্ত হওয়া আমরা পরাস্ত হলাম অব্যবস্থাপনার খেয়ালি-পনায়! করোনা দরজায় ঠুকা দেওয়ার পর, আক্রমণ করার পর আমরা জানলাম করোনা যুদ্ধের অ...

নারীর ভয় শুধু করোনাতেই নয়

সারা বিশ্ব এখন টালমাটাল। লড়ছে সবাই। মৃত্যু, খাদ্যসংকট ও চিকিৎসার মতো অতি জরুরি বিষয়ে সামাল দিতেই পুরো দুনিয়া কাঁপছে। বেঁচে থাকার জন্য এত বড় হাহাকার এই জমানা কখনো দেখেনি। জীবন রক্ষার প্রাথমিক অস্ত্র হিসেবে সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। এই ঘরে থাকার অর্থ আসলে কী দাঁড়াচ্ছে? নিজে নিরাপদে থাকুন, পরিবার বা ভালোবাসার মানুষদেরও নিরাপদে রাখুন। কয়েক দিন আগে আমার এক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কেন ছেলেরা লকডাউনে বাইরে বের হচ্ছে? শুধু বাংলাদেশেই নয়, পৃথিবীজুড়েই লকডাউন মানাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারপ্রধানদের। শুধু তা-ই নয়, দুনিয়াজুড়েই এই লকডাউনে বেড়ে চলছে নারী নিপীড়ন। বিশ্বে এই করোনার সময় লকডাউনে নারী নির্যাতন ২০ ভাগ বেড়েছে ৷ বাংলাদেশও তার বাইরে নয় ৷ আর এখানে স্বাভাবিক অবস্থায়ও নারীর প্রতি সহিংসতা বেশি ৷ করোনার সময় এখন পুরুষেরা ঘরে থাকছেন ৷ পরিবারের সব সদস্য ঘরে থাকছেন ৷ আর তাতেই নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে। এর আসল কারণ কী? জীবনে বেঁচে থাকাটাই যখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তখন এই নিপীড়ন/নির্যাতনের কারণ কী? এই বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশের ব্...

বর্ণবাদের কারণে পৃথিবী নিশ্বাস নিতে পারছে ত ?

বর্ণবাদ শব্দটি শুনলেই কেন যেন আমার শরীর ছমছম করে। সাদা কালো মারামারি, বৈষম্য, মানুষের শরীরের চামড়া নিয়ে আঁড় চোখে তাকানো কখনো আমি মেনে নিতেই পারিনা। বর্ণবাদ কেন যেকোন ধরনের ধর্মীয় সামাজিক গোঁড়ামি আমার একদম অপছন্দ। আসলে বর্ণবাদ কথা বলতে চাচ্ছি যুক্তরাষ্ট্রের সমসাময়িক একটি ঘটনা নিয়ে । যুক্তরাষ্ট্রের কর্তব্যরত একজন পুলিশের নির্যাতনে একজন কৃষাঙ্গ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, এক যুবককে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরে নির্যাতন করছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা। জর্জ ফ্লোয়েড নামের ওই কৃষ্ণাঙ্গ যুবক বাঁচার আকুতি জানিয়ে বারবার বলছিলেন, আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এটা ত সমসাময়িক ঘটনা। ২০১৬ সালের জুন মাসের একটি ঘটনা মনে আছে কি আমাদের! টেক্সাস রাজ্যের ওয়াকোতে একটি বেসরকারি স্কুলে সহপাঠীদের হাতেই ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েছে এক কৃষ্ণাঙ্গ শিক্ষার্থী। শ্বেতাঙ্গ সহপাঠীরা গলায় দড়ি পেঁচিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় ১২ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থীকে। লাইভ ওক ক্লাসিক্যাল স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির...