সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

নারীর ভয় শুধু করোনাতেই নয়


সারা বিশ্ব এখন টালমাটাল। লড়ছে সবাই। মৃত্যু, খাদ্যসংকট ও চিকিৎসার মতো অতি জরুরি বিষয়ে সামাল দিতেই পুরো দুনিয়া কাঁপছে। বেঁচে থাকার জন্য এত বড় হাহাকার এই জমানা কখনো দেখেনি। জীবন রক্ষার প্রাথমিক অস্ত্র হিসেবে সবাইকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। এই ঘরে থাকার অর্থ আসলে কী দাঁড়াচ্ছে? নিজে নিরাপদে থাকুন, পরিবার বা ভালোবাসার মানুষদেরও নিরাপদে রাখুন।


কয়েক দিন আগে আমার এক শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, কেন ছেলেরা লকডাউনে বাইরে বের হচ্ছে? শুধু বাংলাদেশেই নয়, পৃথিবীজুড়েই লকডাউন মানাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সরকারপ্রধানদের। শুধু তা-ই নয়, দুনিয়াজুড়েই এই লকডাউনে বেড়ে চলছে নারী নিপীড়ন। বিশ্বে এই করোনার সময় লকডাউনে নারী নির্যাতন ২০ ভাগ বেড়েছে ৷ বাংলাদেশও তার বাইরে নয় ৷ আর এখানে স্বাভাবিক অবস্থায়ও নারীর প্রতি সহিংসতা বেশি ৷ করোনার সময় এখন পুরুষেরা ঘরে থাকছেন ৷ পরিবারের সব সদস্য ঘরে থাকছেন ৷ আর তাতেই নারীর প্রতি সহিংসতা বেড়েছে।
এর আসল কারণ কী? জীবনে বেঁচে থাকাটাই যখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তখন এই নিপীড়ন/নির্যাতনের কারণ কী? এই বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশের ব্র্যাক-জিপিজিএসপিএইচের গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষেরা নারীদের তুলনায় কম পরিমাণ হাত ধৌত করেন, এর কারণ তাঁরা তাঁদের পৌরুষদীপ্ততাকে ঘরে আটকে থাকার সঙ্গে আপস করতে পারেন না। কারণ ‘ঘর নারীর জায়গা, পুরুষের নয়’, তাই ঘরে ২৪ ঘণ্টা নিজেকে বন্দী রাখা কোনোভাবেই তিনি মেনে নিতে পারেন না। এ কারণে এই বিষয়ে প্রতিনিয়তই বোঝাপড়ার কসরতে পুরুষালি মেজাজটিকে নিয়ন্ত্রণে রাখাও তাঁর জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। কারও সঙ্গে বাড়তি যুক্ত হয় গৃহস্থালি কাজকর্ম, যা করতে বাংলাদেশের অধিকাংশই পুরুষই অভ্যস্ত নন, কিংবা তাঁদের দীর্ঘদিনের লালিত লিঙ্গীয় সম্পর্কের পুরুষতান্ত্রিক নির্মাণের সঙ্গে যায় না।
বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত এবং উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারে পারিবারিক শ্রম কাঠামো অনেকটাই গৃহশ্রমিকের ওপর নির্ভরশীল। করোনাকালে বেশির ভাগ গৃহই এখন গৃহশ্রমিকবিহীন (শুধু যে শ্রমিকেরা স্থায়ীভাবে এক বাসাতেই কাজ করেন এবং সেই গৃহেই থাকেন, তাঁরা বাদে)। তাই সংসারের এত কাজ একজনের পক্ষে করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তার ওপর আছে ঘরের ভেতরেই বাচ্চাদের ছোটাছুটি, তাদেরও ঘরবন্দী জীবনের চাপ এবং সেগুলোকে আমলে নেওয়ার মতো মানসিক শক্তি। অনেকের বাসায়ই আছে ছোট বাচ্চা। তাকে সামলিয়ে ঘর-সংসারের কাজ—সবকিছু একা নারীদের পক্ষে দেখভাল করা সম্ভব না। সে জন্য সহায়তার জন্য ডাক পড়ে ঘরের পুরুষ সদস্যদের। কিন্তু অনেক পুরুষই মানসিকভাবে ঘর-সংসারের কাজ করার জন্য প্রস্তুত নন। গোলযোগ বাধে তখনই।


তবে এর সঙ্গে যুক্ত হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের পুরুষতান্ত্রিক কৌতুক। যেমন ‘এই সময় ঘরের পুরুষদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করুন, যাতে তারা বাসায় থাকতে পারে।’ এর মধ্য দিয়ে এই বার্তা দেওয়া হয় যে, পুরুষেরা বাড়িতে থাকলেই নারীরা তাঁদের নিপীড়ন করেন। আরেকটি জোক ফেসবুকে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে তা হলো: ‘হাঁড়ি-পাতিল মাজো, তা না হলে কল করে জানাব যে তোমার করোনার লক্ষণ আছে।’ এ জাতীয় জোকস আসলে প্রকারান্তরে হাসিঠাট্টার বিপরীতে এক ধরনের ‘পুরুষতান্ত্রিক মজা’ (Masculine pleasure) তৈরি করে এবং ঘরের কাজ ভাগাভাগিতে অনীহা বোধে সহায়তা করে।
সবাই এই নারী নির্যাতনে অংশগ্রহণ করছেন, এমনটি কিন্তু নয়। মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত এবং নিম্নবিত্ত পরিবারে এই নির্যাতনের ধরন এবং পরিসর ভিন্ন হতে পারে। ব্র্যাকের (২০২০) করা একটি জরিপ থেকে জানা যায়, কম আয়ের পরিবারগুলোতে এই নিপীড়নের সংখ্যা বেশি। তবে এটিকে এ সাধারণীকরণ করা যাবে না। কারণ আমরা জানি, মধ্যবিত্ত কিংবা উচ্চবিত্ত পরিবারের নারীর নিপীড়নের তথ্য খুব বেশি সামনে আসে না, কারণ সমাজের ভয়ে তাঁরা মুখ খুলতে চান না এবং নিপীড়নকে ‘পারিবারিক’ বা ‘ব্যক্তিগত’ বিষয় বলে ধামাচাপা দেওয়া হয়।


মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সাম্প্রতিক করা এক জরিপে দেখা যায়, তাঁরা ১ হাজার ৬৭২ জন নারীকে পেয়েছেন যাঁরা লকডাউনের আগে কখনো নির্যাতনের শিকার হননি। এটা প্রমাণ করে যে লকডাউনের মধ্যে নির্যাতন বাড়ছে ৷ আর এই নির্যাতনে স্বামীরাই প্রধানত জড়িত ৷ কারণ তাঁদের কোনো কাজ নেই ৷ অধিকাংশ পুরুষের আয় নেই ৷ খাবার নেই ৷ তাঁরা বাইরে যেতে পারছেন না, আড্ডা দিতে পারছেন না৷ এই সবকিছুর জন্য তাঁরা আবার নারীকেই দায়ী করছেন ৷ নারীকে দায়ী করার এই মানসিকতার পেছনে নির্যাতনের প্রচলিত মানসিকতাই কাজ করছে ৷ এর বাইরে শ্বশুর-শাশুড়ি এবং পরিবারের অন্য সদস্যদেরও ভূমিকা আছে, (মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ২০২০)। এই জরিপ থেকে আরও জানা যায়, যেসব নারী এই নির্যাতনের কথা ফোনে অন্যকে জানিয়েছেন, তাঁদের স্বামীরা পরবর্তী সময়ে জানতে পেরে তাঁদের ওপর আরও বেশি নিপীড়ন করছেন এবং অনেকের মুঠোফোন আছড়ে ভেঙে ফেলা হয়েছে এবং অনেকের ফোন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তবে এই জরিপের অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিরা মূলত নিম্নবিত্ত। এখন করোনার সময় বেশির ভাগেরই কাজ নেই। নেই আয়। খাবারের অভাব হয়তো অনেকেরই শুরু হয়েছে। সবকিছু নিয়ে হতাশা শেষ পর্যন্ত নারী নিপীড়নের মধ্যেই পুরুষতান্ত্রিক শক্তির কাছে ভরসা খোঁজে।


এই লকডাউনের মধ্যেই অনেক জায়গায় চলছে বাল্যবিবাহ। এ ক্ষেত্রে নিম্নবিত্ত পরিবারে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক হাহাকারের শঙ্কা কাজ করছে। পরবর্তী সময়ে মেয়েটিকে বিয়ে দিতে পারবেন কি না, সেই আশঙ্কায়।


বাংলাদেশে পারিবারিক নির্যাতনের যে গ্রহণযোগ্য সংজ্ঞা, তাতে সেটি স্বামীর মাধ্যমে নির্যাতনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা হয়। কিন্তু করোনাকালে অনেক জায়গায় যৌথ পরিবারগুলোতে স্বামী ছাড়াও শ্বশুরবাড়ির অন্য সদস্যদের মাধ্যমে নারী যে ধরনের শারীরিক কিংবা মানসিক কিংবা উভয় ধরনের নিপীড়নের শিকার হন, সেটি কখনো আলোচনায় আসে না।


তাহলে কী দেখতে পাচ্ছি আমরা? নারী যে শুধু করোনা-আতঙ্কেই আছেন, তা নয়। তাঁর আতঙ্কের খাঁচা আরও অনেক বড়। নিম্নবিত্ত নারীদের প্রতিনিয়তই করোনার পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংকট, সংসারের ভার এবং নিপীড়নকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। মধ্যবিত্ত পরিবারেও নারীর সমস্যা প্রচুর। এখানে অবস্থা এমন, ‘না পারে বলতে, না পারে সইতে’। তাই করোনা নিয়ে মৃত্যুর ভয়ের পাশাপাশি নিপীড়নে মানসিকভাবে মরে যান অনেকেই।


এই সংকটের সময় পারিবারিক কলহ, মেজাজ নিয়ন্ত্রণ, লিঙ্গীয় বোঝাপড়া ঠিক রাখতে খুব বেশি পরিমাণ সেবা আমাদের দেশে এখনো চালু হয়নি। কারণ নারী এখানেও অবহেলিত, তাই করোনার সময়ে লিঙ্গভিত্তিক নিপীড়ন ব্যাপকভাবে হলেও তেমনভাবে আলোচনায় আসছে না। এ সময়ে সবচেয়ে প্রয়োজন সহমর্মিতা। এ বিষয়ে গণমাধ্যমগুলো পরিবারে লিঙ্গীয় সম্পর্কের সহনশীল আচরণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে অনুষ্ঠান প্রচার করতে পারে।


আমাদের জানতে হবে, করোনাকালে পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতাচর্চার ধরন ও প্রকৃতিকে এবং সেইভাবেই বিশ্লেষণ করতে হবে এই সময়ে নারীর প্রতি সহিংসতার প্যারাডাইমগুলোকে। অনেকেই হয়তো মনে করতে পারেন, যখন জীবন বাঁচানোই প্রথম শর্ত, তখন এই ধরনের নির্যাতন নিয়ে হইচই করাটা যৌক্তিক কি না। কিন্তু যেকোনো সংকটের সময় নারীর ওপর নির্যাতনের বিষয়ে প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ না তৈরি করতে পারলে এটি সব সময়ের জন্যই বৈধতা পেয়ে যায়…জীবন আমাদের এই শিক্ষাই দিচ্ছে…তাই করোনার সময়ে নারীর প্রতি মানবিক হোন এবং সংসারের কাজে অংশ নিন। নিপীড়নের বিরুদ্ধে কথা বলুন।

জোবাইদা নাসরীন: শিক্ষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

বাউল সাধক চান মিয়া এবং আমার কিছু উপলব্ধি

"রজনী হইসনা অবসান  আজ নিশিতে আসতে পারেবন্ধু কালাচাঁন।। কত নিশি পোহাইলোমনের আশা মনে রইলো রে কেন বন্ধু আসিলোনা জুড়ায়না পরান। আজ নিশিতে আসতে পারে বন্ধু কালাচাঁন।। বাসর সাজাই আসার আশেআসবে বন্ধু নিশি শেষে দারূন পিরিতের বিষে ধরিল উজান। আজ নিশিতে আসতে পারে বন্ধু কালাচাঁন।। মেঘে ঢাকা আঁধার রাতে কেমনে থাকি একা ঘরে সাধক চাঁনমিয়া কয় কানতে কানতে হইলাম পেরেশান আজ নিশিতে আসতে বন্দু কালাচাঁন।"    গভীর নিশিতে ধ্যান মগ্ন হয়ে কালাচাঁনের অপেক্ষা করছেন সাধক।  সাধক চান মিয়ার শিষ্য বাউল সিরাজউদ্দিনের মতে এটি একটি রাই বিচ্ছেদ। কৃষ্ণের অপেক্ষায় রাধা নিশি বা রাতকে অনুরোধ করছেন 'রাত' যেন না পোহায়  কারণ তার কালা চান যে কোন সময় আসতে পারে। শব্দগুচ্ছ গুলো থেকে সহজেই উপলব্ধি হয় সাধক নিজ দেহকে রাধা আর আত্মাকে কৃষ্ণের সাথে তুলনা করেছেন। দেহ আত্মার মিলন ঘটানোই ছিল সাধকের সাধনা।        বাউল সাধক চান মিয়া উপরোক্ত গানটি রচনা করেছেন। নেত্রকোনা জেলার খাটপুরা গ্রামে ১৩২৫ বঙ্গাব্দে সাধক চান মিয়ার জন্ম। পুরো নাম চান্দেজ্জামান আকন্দ হলেও বা...

বাউল, বাউলতত্ব এবং কিছু কথা

একজন ভদ্র বন্ধু বরের সাথে বাউল সম্প্রদায় নিয়ে বেশ তর্ক হলো রাতে। তর্কের সূত্রপাত ছিল বাউলরা ভাববাদী না বস্তুবাদী। ভাবলাম "বাউলতত্ত্ব"র আলোকে বাউলরা ভাববাদী নাকি বস্তুবাদী তা নিয়ে যৌক্তিক আলোচনা আবশ্যম্ভাবী। কয়েকটি ধারাবাহিক পর্ব লিখে নিজের মনোভাব বোঝানোর চেষ্টা করব।  শুরুতেই শক্তিনাথ ঝাঁ এর বস্তুবাদী বাউল বই থেকে কিছু কথা লিখতে চাই; বাস্তব জগত ও জীবনকে এরা কোন আনুমানিক যুক্তি বা আলৌকিক যুক্তি দিয়ে ব্যাখ্যা করতে নারাজ। জৈব রাসায়নিক ব্যাখায় এরা নারীর রজঃ এবং পুরুষের বিজে জীবন ও জগত সৃষ্টিকে ব্যাখা করে এবং চার ভূতকে প্রাকৃতিক সৃষ্টি মনে করে। এভাবে মানুষে, প্রকৃতিতে তৈরি করে প্রাণ, প্রাণী। অনুমান ভিত্তিক স্বর্গ, নরক, পরলোক, পুনর্জন্মাদি প্রত্যক্ষ প্রমাণাভাবে বাউল আগ্রাহ্য করে। মানুষ ব্যাতিরিক্ত ঈশ্বরও এরা মানে না। সৃষ্টির নিয়মকে জেনে যিনি নিজেকে পরিচালনা করতে শিখেছেন- তিনিই সাঁই। সুস্থ নিরোগ দীর্ঘজীবন এবং আনন্দকে অনুভব করার বাউল সাধনা এক আনন্দমার্গ।।  বাউলরা ভাববাদী না বস্তুবাদী এর অনেক সূক্ষ বিশ্লেষণ শক্তিনাথের বস্তুবাদী বাউল বইটির মধ্যে আলকপাত করা হয়েছে। সাধারণ সমাজে এ ধা...

ভাইবে রাধারমণ

তখন কলেজের ছাত্র। বাংলা বিভাগের প্রভাষক শ্রদ্ধেয় রেজা স্যারের সাথে খুবই ভালো সম্পর্ক। কলেজের প্রথম দিনই স্যারকে খুব পছন্দ। তারপর স্যারের সাথে গল্প, সমাজ, রাজনীতি, সাহিত্য নিয়ে আলোচনা। রীতিমত ফিজিক্স, বায়োলোজি ক্লাস ফাঁকি দিলেও বাংলা ক্লাস কখনই ফাঁকি দিতাম না। খুব উপভোগ করতাম স্যারের ক্লাস। হোস্টেল সুপার হিসেবে স্যার ( ওহী আলম রেজা) আমাদের সাথেই থাকতেন। আমরা আসার প্রায় নয় মাস পর স্যার এলেন সুপার হিসেবে। প্রতিদিন রাতে খাবার পরেই স্যারের রুমে গিয়ে আড্ডা হত, গানের আসর হত। স্যারের পিসিতে প্রায়ই গান শুনতাম আমরা। একদিন হঠাৎ করেই একটি গান স্যার প্লে করলেন 'আমার বন্ধু দয়াময় তোমারে দেখিবার মনে লয়। তোমারে না দেখলে রাধার জীবন কেমনে রয় বন্ধুরে।। কদম ডালে বইসারে বন্ধু ভাঙ্গ কদম্বের আগা। শিশুকালে প্রেম শিখাইয়া যৌবনকালে দাগা রে।। তমাল ডালে বইসারে বন্ধু বাজাও রঙের বাশি। সুর শুনিয়া রাধার মন হইলো যে উদাসি রে।। ভাইবে রাধা রমন বলে মনেতে ভাবিয়া। নিভা ছিল মনের আগুন কে দিলাই জ্বালাইয়া রে।' গানের কথাগুলো বেশ ভালো লেগে গেলো। পুর গানটি শুনে বুঝলাম গানটি সাধক রাধারম...