সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আজকের তালাবানের উদাহরণ, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট

 দুটি ঘটনা'ই সামঞ্জস্যপূর্ণ । আফগানিস্তানের নাজুক অবস্থা আমরা সবাই জানি। এখানে৷ বেশি আর ব্যাখা করতে হবেনা। গত দুই আগে আফগান শরনার্থী প্রায় ২১ হাজার মানুষকে কানাডা সরকার আশ্রয় দেবেন বলেছেন। ফ্রান্স সরকারও আফগানিদের আশ্রয় দানে বেশ নমনীয় এবং আমেরিকাও দিচ্ছে। উগ্র সন্ত্রাসী কথিত জিহাদের নামে বিশ্বব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করা তালেবানদের হাতে একপ্রকার পুরো জিম্মি আফগানের বাসিন্দারা। গতকাল প্যারিসে সার্দেগুল এয়ারপোর্টে ১২৮ জন ফরাসী নাগরিক সহ ২৫০০ জন আফগানিস্তানের নাগরিক চলে এসেছেন সরাসরি।  যাই হোক আফগানিস্তানের অবস্থা ব্যাপক হারে এখানে আলোচনা না করলাম।  কিন্তু উদ্ভট এবং দুর্বিষহ একটা সংকেত আমরা বাংলাদেশিরা পেলাম, কতিপয় কিছু বাংলাদেশি শিক্ষিত তালেবানি মানসিকতার লোকজনের মনের লিখিত রূপের অবস্থা এবং ক্যামেরার সামনে তাদের স্টেটমেন্ট দেখে।  ঢাকা ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আসিফ নজরুল তিনি যেই কথা লিখিছেন, আমি মনে করি উনি সোজাসাপটা তালেবানি মানসিকতা পোষণ করেন। অতি ব্যাখায় না দিয়ে, সহজ কথায় উনি যদি কোন ব্যাপারে এই তালেবানের অবস্থা দিয়ে বা আফগানের অবস্থা দিয়ে উদাহরণ টানেন তাহলে বোঝা যায় বাংলা...

আমার অভিজ্ঞতায় আফগানিস্তানের জনসাধারণ

 আফগান জনসাধারণের সাথে পরিচয় ফ্রান্সে এসেই। ফ্রান্সে ইমিগ্রেশন, প্রোটেকশন এবং ন্যাশনাল কোর্ট অব এজাইলাম সবচেয়ে বেশি আশ্রয় প্রদান করে আফগানদের। ফ্রান্সে অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা পদ্ধতিতে সবচেয়ে বেশি সুরক্ষায় পায় আফগান জনগোষ্ঠীরা। এজাইলাম ইউরোপ সংস্থার তথ্য থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান থেকে আশ্রয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ আফগানিস্তান জনসাধারণ পেয়ে থাকেন ফ্রান্সে৷ ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সালে তা ১.৭ গড়ে বেড়েছে। শুধু মাত্র ২০২০ সালে ৮ হাজার ৮ শ ৮৬ জন সরাসরি আশ্রয় আবেদন করেছেন। এছাড়া কাজের মাধ্যমে সরকারকে ট্যাক্স পেমেন্ট,  পারিবারিক পুনর্মিলনী এবং শিশুদের স্কুল ব্যবস্থার মাধ্যমে নিয়মিত পেপার্স হোল্ডার আফগানি ত আছেন'ই।  মূলত এসব নয়, বাস্তব অভিজ্ঞতায় আফগানিরা কেমন সেটি বলতে চাচ্ছি।  এটা আমার একদম বাস্তব অভিজ্ঞতা। সরাসরি বলতে গেলে এখন পর্যন্ত যতজন আফগানিস্তানের মানুষ দেখেছি শতকার ৮৯ ভাগই ভালো লাগেনি। আসলে ভালো না লাগার কারণ কি ইচ্ছাকৃত। না, একদম নয়। সাধারণ ভাবে আফগানিস্তানের মানুষের এসব জনসাধারণের ব্যবহার একদম ভালো নয়৷ বেশির ভাগ, সবাই নন। মেট্রোপলিটন ফ্রান্স অঞ্চলে যারা বাস করেন, মোটা দাগে যদি ...

'বাবা বঙ্গবন্ধুকে চিনিয়েছেন'

 ছোট বেলা থেকেই বাবার মুখে মুজিববাদ শব্দটি শুনে আসছি। ছোট  বেলা বাবার সাথে কোথাও গেলেই বাবা আমাকে আদর করে জিজ্ঞেস করতেন - "বাবা বলোতো আমাদের মার্কা কি? আমি কুটুস কুটুস করে বলতাম নৌকা।" তখন আমার বয়স তিন বা চার হবে। আমার বাবার মুখ থেকে শেখা নৌকা শব্দটা কোন রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি নয়। এটা আমাকে দেশের অস্তিত্ব শিক্ষা দেবার একটি প্রয়োগ মাত্র। বাবা সেটাই করেছেন। আমাদের বসার ঘরে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিটা আজ থেকে নয়। সেটা সেই অনেক কাল থেকেই। তবে আগে পুরোনো একটি ছবি ছিলো। অনেক আগে থেকেই। এই ছবিটি ঘরে রাখার বাবার দুটি উদ্দেশ্য।  একটি উদ্দেশ্য বাবা এই ছবিটাকে এবং বঙ্গবন্ধুকে অনেক অনেক ভালোবাসেন। বাবার একটাই কথা - 'চলমান রাজনীতি ত অনেক দূরের ব্যাপার, এই লোকটা (বঙ্গবন্ধু) আমাদেরকে দেশ উপহার দিয়েছেন। নিজের জীবনকে জেলে বিসর্জন দিয়ে দেশ দিয়েছেন, এই লোকের ছবি থাকবে না'ত কার থাকবে'। বাবার এমন সহজ কথা অনেক কঠিন বিশ্লেষণে আমাকে ভাবিয়েছে, এখনো ভাবায়। এই ভাবনা আমাকে এই মহান মানুষ (বঙ্গবন্ধু) এর প্রতি এতো ভালোবাসা জন্মিয়েছে৷ দ্বিতীয় উদ্দেশ্য ছিল, আমি যেন কোন ভাবে আদর্শচ্যুত না হই শিশু বে...

প্যারিসে 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সড়ক'

  নিরিবিলি গলি, বিকেলের পড়ন্ত সূর্যের আলোয় বয়ে যায় সোনালী বর্ণের আভা। একটি পার্ক, কয়েকটি আবাসিক ভবন এবং একটি সরকারী অফিস জুড়ে আছে গলির ডানে এবং বামে। খুব একটা জনসমাগম নেই গলির ভেতরে। শেষ বিকেলে ক্লান্ত শরীরে অফিস ত্যাগ করছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। শান্ত বিকেলে কচিকাঁচায় মুখোরিত পার্ক।  প্যারিস শহরে ৭৫০১৩ পোস্টাল কোড এলাকায় অবস্থান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সড়কের। স্থানীয় ফরাসী ভাষায় বলা হয়ে থাকে 'রু'ই টেগর'। ১২৬ মিটার দৈর্ঘ এবং ১২ মিটার প্রস্থের সড়কটি যুক্ত হয়েছে আঞ্চলিক সড়ক এভিনিউ ডি ইটালি'র সাথে। এই সড়কের মধ্যে অবস্থিত স্থানীয় জোয়ান-মিরো পার্ক। ফ্রান্সের প্রশাসনিক এলাকা প্যারিস প্রিফিকচার জোনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী এই সড়কের আদি নাম ছিল রেমন্ড প্যাসেজ। ফরাসী বিপ্লবের আগে এই রাস্তাটি ছিলো মাটির বা কাঁচা রাস্তা, তখন এখানে পার্ক বা কোন ভবন ছিলো না। ১৯১৩ সালে এখানে একটি ছোট সন্ত্রাসী হামলা ঘটেছিলো এবং যেখানে একজন মানুষ নিহত হয়েছিলেন বন্দুকধারীর গুলিতে। ১৯ জুন, ১৯১৩, সন্ধ্যা পাঁচটায় এই সড়কের সম্মুখ বারে এই ঘটনা ঘটে। তখন থেকে এর নাম ছিল রেমন্ড প্যাসেজ। পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে এটি প্...