সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আমার একলার আকাশ, তাইতে এতো হিসাব নিকাশ

করোনা শুধুই কি ক্ষতি করে গেলো, বহু মানুষের, রাষ্ট্রের, সম্পদের; নাকি দিয়েছেও কাউকে কাউকে কিছু! আজ ঠায় ঠায় একচল্লিশ দিন ঘরে বসা। সংখ্যাটা বেশ মুল্যবান। জীবনে কাজ শিখে নিজেকে একজন কামলা ঘোষনা দিয়ে দেবার পর একসাথে এতদিন ঘরে থাকার কোন সুযোগই আসেনি এই জীবনে! যাই হোক, বাইরে মানুষ মরছে, রোজকার হিসেব একবার দেখবো না, দেখবো না করেও, সন্ধেবেলা মুখ লুকিয়ে দেখে ফেলি, মুখ লুকাই নিজের কাছ থেকে নিজে। আমার ঘরের পাশে রোজ আটটা বাজলেই একটা সাইরেন বাজে, যেন কোথাও যুদ্ধের দামামা, কেন বাজে ? কারণ জানি না, তবে এই সাইরেন শুনতে পেলেই আমি মৃতের সংখ্যা দেখতে বসি। বেশ খুটিয়ে খুটিয়ে কোন দেশের কজন গেলেন, শাদা নাকি কালো, হিন্দু নাকি মুসলিম, ইহুদি নাকি ক্রিশ্চান, বাচ্চা নাকি বুড়ো, ছেলে নাকি মেয়ে! না অতো খুটিয়ে আর দেখি কই? দেখি আজকে ১৪৫৫+ গেলেন, দেশ ফ্রান্স! এর পরে সকলে জানান, না না এ শুধু হসপিটালের না, এখানকার বৃদ্ধাশ্রম গুলোরও, এ শুধু আজকের না! তা কালকের বা পরশুর লাশগুলো বাসী হয়ে গেল বলে, আজকের হিসাবের সাথে তাকে যোগ করে দিলে বেশ সুবিধা হয় মানুষের মনে! তারা ধরে নেয় আজকে ১৪৫৫+ মরেনি! কিন্তু গত দুই দিনের গড় যে এখান...

নীরব হাহাকারে ফ্রান্সে বাংলাদেশি জনগোষ্ঠী

কথা বলছিলাম বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার এম সানির সাথে। অনেক দীর্ঘ কথোপকথন হলও। উনার বক্তব্য তুলে ধরেই শুরু করলাম। "প্যারিস শহরের পখ দ্যা লাশাপিল এলাকায় বসবাস করি। ২০১৯ সালের প্রথম দিকে আমি ফ্রান্সে আসি। আমি ফ্রান্সের অনিয়মিত একজন বাসিন্দা। গত ১৬ মার্চ থেকে আমার কাজ বন্ধ রয়েছে। খুবই আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিন যাপন করছি। আমি যেহেতু অনিয়মিত বাসিন্দা সেহেতু ফ্রান্স সরকার যে বিশেষ আর্থিক প্রণোদনা দিবে তা থেকে আমি কোন উপকৃত হবও না।" উনার নিচের বক্তব্যটা প্যারিস তথা ফ্রান্সে বসবাস করা অনিয়মিত বাংলাদেশিদের মনের কথা। এখানে এসে ভাষাগত সংস্কৃতিগত কারণে বাংলাদেশি লোকজন অনেক পেছনে। শুধু পেছনে বললে হবে না রীতিমত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার বেশ কিছু কারণ রয়েছে । তন্মোধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হলও এখানে ফরাসী ভাষা ছাড়া অন্য কোন ভাষায় লোকজন কথা বলতে চায়না। বিশেষ করে ইংলিশ ত নয়'ই। বেশ কিছু সরকারী অফিস আদালতে আমি গিয়েছি, দেখেছি, কোনভাবে ইংলিশ ভাষায় কথা বললে উনারা (অফিস কর্মকর্তা/কর্মচারী) কথা বলতে চান না। যেমন আমি ব্যক্তিগত ভাবে উর্দু ভষায় কথা বললে তার সাথে কথা বলতে চ...

চুরি আবার বিদ্যা!

কথায় আছে ' চুরি বিদ্যা ভালো বিদ্যা যদি না পড় ধরা"। এই প্রবাদ প্রবচনটা হয়ত শুধু পৃথিবীর একমাত্র ভাষা বাংলা ভাষাতেই আছে। যেখানে চুরিকে বিদ্যা বলা হচ্ছে। আসলে প্রবাদ প্রবচন নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছিনা। বলতে চাচ্ছি মহামারি বা দুর্যোগের সময় আমাদের চুরি করার অভ্যাস, জনপ্রতিনিধিদের নগ্ন দৃষ্টি ভঙ্গি এবং আকালের কথা। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গোটা পৃথিবী জর্জরিত৷ বাংলাদেশও তার বাহিরে নয়। আমাদের দেশে করোনা সংক্রামন যেমন ভয়াবহ রূপ ধারণ করার সম্ভাবনা রয়েছ তার থেকে বেশি ভয়াবহতা ধারণ করছে আমাদের জনপ্রতিনিধিদের চুরির মানসিকতা। ইতোমধ্যে সরকারি হিসেবে মারা গেছেন প্রায় ৪০ জন। আক্রান্ত প্রায় আটশ মানুষ। সাধারণ ছুটির নামে দেশজুড়ে কার্যত লকডাউন চলছে। এই অবস্থায় দিনমজুর ও নিম্নআয়ের মানুষের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে ত্রাণ সহায়তা ও দশ টাকা কেজিতে চাল কেনার সুযোগ দেয়া হয়েছে। আর এই মহামারীর সুযোগেই এক শ্রেণির অসাধু জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী তাতে হাত দিয়েছেন। কেউ চুরি করে অন্যত্র বিক্রি করছেন, কেউ আত্মসাৎ করতে গিয়ে ধরা খাচ্ছেন। ইতোমধ্যে ত্রাণ আত্মসাত ও দশ টাকা দরের চাল চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন...

লক ডাউনঃ ইশ্বর থাকেন ভদ্র পল্লীতে!

ক‌রোনার এই মৃত্যুর মি‌ছি‌লের ম‌ধ্যেই অাজ সকাল থে‌কে এভা‌বে প্রকা‌শ্যে বনানীর ১৫ নম্বর সড়‌কে ভবন নির্মা‌নের কাজ চল‌ছে। মানু‌ষের মৃত্যু‌ যে দে‌শে এক‌টি সংখ্যা মাত্র, সেখা‌নে এরকম ঘটনাই‌তো স্বাভা‌বিক। ক‌রোনার এই মহামারীর কা‌লে পু‌রো পৃ‌থিবী যথন নিরব, নিস্তব্ধ। তখন জা‌তি হি‌সে‌বে অামরাই বোধ হয় ব্যতিক্রম। অামরা কেউ কেউ ঘুর‌ছি, বেড়া‌চ্ছি, হাট বাজা‌রের সভা-সমা‌বেশ কর‌ছি। এরচাই‌তেও ভয়াবহ খবর হ‌চ্ছে- 'ঘরে থাকুন, নিরাপ‌দে থাকুন' কে এসব কথা পাত্তা দেয়। মুত্যুর মি‌ছি‌লের ম‌ধ্যেই বনানীর ১৫ নম্ব‌র সড়‌কেই মহা অা‌য়োজন ক‌রে, বেশ ঢাক‌ঢোল পি‌টি‌য়ে চল‌ছে এক‌টি বহুতল ভবন নির্মা‌নের কাজ। ডে‌ফো‌ডি‌লের মা‌লিক, ব্যবসায়ী সবুর খান এই ভবন‌টি নির্মান কর‌ছেন। উ‌নি হয়‌তো ভাব‌ছেন, ইশ্বর থা‌কেন ভদ্রপল্লী‌তে। ক‌রোনা ওনা‌কে ছো‌ঁবে না। মর‌লে কিছু শ্র‌মিক মর‌বে। উত্ত‌রের ‌মেয়র না হয় ঘু‌মি‌য়ে। গণমাধ্যমকর্মীরা কিন্তু জে‌গে অাছে। সহকর্মী‌দের দৃ‌ষ্টি অাকর্ষণ কর‌ছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে গৃহীত -- শেখ মামুনুর রশীদ,  সাংবাদিক

লকডাউনে ❛আনলকড❜ চা শ্রমিকেরা

দেড় শতাধিক চা বাগান খোলা রেখে সিলেট বিভাগের সকল জেলা স্ব স্ব প্রশাসনের নির্দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এসকল চা বাগানে স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রায় দেড় লক্ষাধিক শ্রমিক রয়েছে। আর পরিবারের সদস্যসহ প্রায় ১২ লাখের বেশি চা জনগোষ্ঠী বাগানগুলোতে বসবাস করে। গত ৩১ মার্চ গণভবন থেকে জেলা প্রশাসকসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও চা বাগানের কাজ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে মত দেন। ভিডিও কনফারেন্সে সিলেট জেলার ডেপুটি কমিশনার এম কাজী এমদাদুল ইসলাম সিলেটে কয়েকটি চা বাগানে শ্রমিকদের কর্মবিরতি ও দুটি বাগানে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিচ্ছেন না বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান।এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনমুখী, রপ্তানিমুখী খাত চালু রাখতে হবে। আর চা শ্রমিকরা যখন পাতা তোলে তখন তারা বিক্ষিপ্তভাবে দূরে দূরে তোলে। চা শ্রমিকরা এমনিতেই প্রকৃতির সাথে থাকে আর চা বাগানে যেহেতু সংক্রমণও নাই, সুতরাং ভয় পাওয়ারও কিছু নাই। শুধুমাত্র পাতা যখন জমা করবে তখন লাইন ধরে দূরত্ব বজায় রেখে দেবে। রাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের কাছ থেকে এমন অবিবেচনাপ্রসূত বক্তব্যের মাধ্যমে বোঝা যায় চা বাগান ও চা শ্রমি...

হালচাল

বসে বসে একটি ইকোনোমিকস রিলেটেড পত্রিকা পড়ছিলাম। আমার এখানে সরকার করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ফিনেন্সিয়াল ভাবে ডাবল পুটাপ করার সিধান্ত হয়তো নিতে যাচ্ছে। ১০০ বিলিয়ন ইউরো তারা হয়ত লক ডাউন জনিত অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে পুটাপ করবে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য খাতেই ৭ বিলিয়ন ইউরো খরচ করা হবে। আসছে বাজেটে ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে পৃথিবীর সব দেশই কম বেশি হয়ত ধাক্কা খাবে, এবং ধাক্কার রেষ কাটিয়ে উঠতে তাদের রিজার্ভ ঢালাও ভাবে ফিল্ড স্প্রেড করা হবে। আমাদের দেশের রিজার্ভ রেমিট্যান্স বাড়াতে সর্বোচ্চ অবদান রাখা প্রবাসীরা যারা প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা দেশে পাঠান এই করোনা ভাইরাস সিমটমের সময় তারা কতখানি নাজেহাল হয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। ইবনে সিনা হাসপাতাল, ফুলকলির মত ভালো প্রতিষ্ঠানে লেখা যখন থাকে বিদেশী প্রবেশ নিষেধ তখন রিজার্ভ রেমিট্যান্স প্রশ্নে আমি কালো কালির দাগ দেখি৷ তবেও এটাও ঠিক, এই পরিস্থিতে ঢাকা এন্ট্রি আমি ব্যক্তিগত ভাবে কোন ভাবেই সমর্থিত নই। তবে প্রবাসীদের দোষ খোঁজা কেউ কেউ দিব্যি প্রাতরাশ করছেন দল বেঁধে যেখানে তাদের কোন ভাইরাস আতঙ্ক ছিল না। ইউরোপের দেশ গুলো যেখানে ইকোনমিকাল গ্যাপ কাভারে ব্যস্ত তখন আমা...

সাংবাদিকতা পেশায় আমার প্রায় দশ বছর

বিগত ২০১১ সালে দৈনিক লোকালয় বার্তা দিয়ে মহান এ পেশায় জড়িত হয়েছিলাম, কাজ করেছি অনেকগুলোই দৈনিকে,ও অনলাইনে, কালের চতড়াই উতড়াই ফেরিয়ে অনেক ঝড় ঝাপটাই এসেছে চলমান জীবনে। সময়ের মহাকালের যাত্রাপথে অবিরাম চেষ্টা ছিল সাধারণ মানুষ, নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষের পক্ষে কথা বলার, সময়ের সন্ধিক্ষণে সইতে হয়েছে অনেক অপবাদ,আবার কখনো লাঞ্চনা, আবার পেয়েছি অনেকেরই মহানুভবতা, আবার ভালবাসা, কেউ কেউ উচ্চাসে ভাসিয়েছেন, আবার কেউবা বিপদে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা করেছেন, তাদের প্রতি আমার কোন অভিমান নেই, ক্রমাগত ভুল থেকেই শিখছি, শেখায় আছি, চলার পথে আমার ও ছিল জানা অজানা অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ভুল,, সময়ের ভাসমান বিপরীত স্রোতে ঠিকে থাকাটা কখনোই সহজ নয়, সংবাদে কাজ করার জন্য জনসার্থে, ব্যক্তিগত আক্রোশে মনের অজান্তেই কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকলে মার্জনা করে দিবেন, হেরেছি, হেরেছি, হয়ত হারতে হারতেই কখনো বিজয়ের সাধ পেয়েছি, কবির ভাষায়, উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই, নিশেষে প্রাণ যে করিবে দান ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই..পরিশেষে সবাই ভাল থাকবেন, এই ভাগ্য পরিবর্তনের রাতে, হাজার বছরের চেয়ে ও শ্রেষ্ঠ রাত, পবিত্র শবে বরাতে ...

মন্ত্রী এমপিরা কেন পাশে নেই জনতার?

জনপ্রতিনিধি, আপনাদেরকে বলছি- যারা দিন আনে দিন খায়, যারা গরীব, অসহায়, যাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, এই সংকটে তাদের জন্য কি করেছেন আপনি, আপনারা, জানতে ইচ্ছে করছে খুব!সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই পোস্টটি দেওয়ার পর, বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী প্রায় অভিন্ন পোস্ট দিয়ে আমার এই জানতে চাওয়াকে সমর্থন করেছেন। জনপ্রতিনিধিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই মূলত আমি এই পোস্টটি দিয়েছিলাম। আমি অনেকটা নিশ্চিত ছিলাম, জনপ্রতিনিধিরা অবশ্যই এই সংকটে পাশে দাঁড়াবেন জনতার। কিন্তু ঠিক সেভাবে কাউকে পাশে দাঁড়াতে দেখলাম না। ভুল হলো আমার ধারণা! মহাসংকটের কালে সিলেটের মন্ত্রী-এমপিদের নীরবতা অনেকের মতো তাই আমাকেও বিস্মিত করেছে। তারা কেন নীরব থাকবেন? তারা কেন পাশে দাঁড়াবেন না জনতার? জনতার পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েইতো তারা রাজনীতিতে এসেছেন। অথচ আজ তারা ধারে কাছেও নেই জনতার? কেন? কেন?বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিক দ্বোহা চৌধুরীকে বলেছিলাম, সিলেটের ছয়টি আসনের এমপিদের অবস্থান সম্পর্কে খোঁজ-খবর নিতে। তারা এখন কোথায়? এলাকায় নাকি ঢাকায়। সন্ধ্যায় যখন ফোনে কথা হলো দ্বোহার সাথে তিনি হতাশ কণ্ঠে জানালেন, মন্ত্রী-এমপিদের কেউ-ই এলাকায় নেই।...