সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2018 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নির্বাচন এবং শৈশবের স্মৃতি

তখন জুন মাস। সন্ধ্যের পর পড়তে বসতাম বাহিরের ঘরে। আমাদের বাসা ঠিক বড় রোডের পাশে। হঠাৎ করেই শুনতাম শ্লোগান- নৌকা নৌকা, জোরছে বল নৌকা। ও চাচিজান নৌকা, ও খালা জান নৌকা। আবার যখন বিএনপির মিছিল যেত তখন শুনতাম আমার শিষ তোমার শিষ ধানের শীষ , ধানের শীষ ইত্যাদি ইত্যাদি। সন্ধ্যা বেলায় পড়তে বসে ওঁত পেতে থাকতাম। কখন মিছিল আসবে। জানালার লোহার শিকের ফাঁক দিয়ে কোন মতে বের হয়ে যাব। ৯৬ সালের নির্বাচন। একটি ঘটনা খুব মনে আছে। বাবা আওয়ামীলীগ করে। নৌকার মিছিলে যাবে । বাসার স্টোর ঘরে বেশ কিছু ব্যানার রাখা। তখন আজকের দিনের মত ডিজিটাল পিভিসি ব্যানার ছিল না। কাপড়ের উপর রঙ দিয়ে লিখা ব্যানার। কালো কাপড়ের উপর সাদা রঙ দিয়ে লিখা কিছু ব্যানার বাসায় এনে রেখেছিলেন বাবা। লিখা ছিল- নৌকা মার্কায় ভোট দিন।  আমি তখন ছোট। যেখানেই যা পেতাম আর্ট করা শুরু করতাম। সাদা চক দিয়ে  কোন ফাঁকে ঐ সব ব্যানারে চক দিয়ে নিজের নাম লিখে ফেলেছি। দু তিন পর বাবা সেগুলো কোথায় যেন টানিয়ে দেবার জন্য নিয়ে যাবেন। হঠাৎ খেয়াল করলেন ব্যানার কয়েকটা আউলানো। খুলে দেখেন চক দিয়ে অই সব ব্যানারের নিচে আমার নাম লিখে রাখছি। বাবা রেগে আগুন। স্পষ্ট এখনো...

নব্য রাজাকারের পুত্র কন্যারা কি বিচার চায় ?

সেই দিনের বিভীষিকাময় ঘটনা আজও ভুলিনি। ঘামে ভেজা আমার বাবা ফিরেছিলেন বাসায়। সেদিন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল দফায় দফায়। ভুলে যাইনি সেইসব দিন। সেই ঘটনার বিচার দাবী করে হরতালের সময় বাবা চাচা বড় ভাইদের সাপের মত পিটিয়েছিল রাস্তায় ফেলে। আজ দিন ঘুরেছে। আজ বাংলাদেশ মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে। নতুন প্রজন্ম এসব নিয়ে মাথা ঘামায় না। রাজাকারের নাতী নাতনী আর কিছু আল্ট্রামর্ডান নব্য রাজাকারের পুত্র কন্যারা ফেসবুক পেইজে শেয়ার করে প্রধানমন্ত্রী নিয়ে ট্রল। তাদের গঠনমূলক সমালোচনা নেই। রাজাকারের বাচ্চা বললে তারে লাফও দেয়। তারা ২১ আগস্টের বিচার চাবেনা। কারণ আওয়ামীলীগ ট্যাগ লেগে যাবে তাদের গায়ে। সংসদের বক্তব্য ক্রপ করে বাচ্চাদের ভিডিও কোলেজ করে তারা ট্রল বানাবে। অথচ বাংলাদেশ গোল্লায় গেলেও তাদের আসে যায়না। আজ বিএনপির নেতাকর্মীরা বারবার আইন আদালত নিয়ে কথা বলেন। এই যেমন রিজভী আহমেদ প্রায়ি বলেন, দেশের আইনের শাসন নেই। উনারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন কোথায় সেই আইনের শাসন ছিল ? একদল বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর দফায় দফায় আত্মঘাতী হামলা তারা রুখতে পেরেছিলেন কি ? একদম নয়। কুখ্যাত য...

'মুল্লুক চল' দিবসের ইতিহাস

আজ চা শ্রমিক দিবস। চা শ্রমিকরা এই দিবসকে 'মুল্লুক চল' দিবস বলে থাকেন। ২০ মে চা শ্রমিকদের রক্তঝরা দিবস। ১৯২১ সালের এই দিনে ব্রিটিশদের অত্যাচার থেকে মুক্ত হতে সিলেট অঞ্চলের প্রায় ৩০ হাজার চা-শ্রমিক নিজেদের জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা চালালে চাঁদপুরের মেঘনা ঘাটে গুলি চালিয়ে নির্বিচারে হত্যা করা হয় শত শত চা শ্রমিকদের। মেঘনা নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয় শ্রমিকদের মৃতদেহ। পঞ্চদশ ও ষোড়শ শতাব্দীতে চীন ছাড়া পৃথিবীর অন্য কোথাও চায়ের প্রচলন ছিল না। ১৮৫৪ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সিলেটের মালিনীছড়া চা বাগানে চা চাষ শুরু করে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি। সে সময় বৃহত্তর সিলেটে চা বাগান তৈরির জন্য ভারতের আসাম, উড়িষ্যা, বিহার, উত্তর প্রদেশসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকদের নিয়ে আসা হয়। ‘গাছ হিলেগা, রুপিয়া মিলেগা’ এমন প্রলোভনে শ্রমিকরা বাংলাদেশে এলেও তাদের ভুল ভাঙতে বেশি সময় লাগেনি। বিশাল পাহাড় পরিষ্কার করে চা বাগান করতে গিয়ে হিংস্র পশুর কবলে পড়ে কত শত শ্রমিকের জীবন বিপন্ন হয়েছে তার হিসেব মেলা ভার। চা শ্রমিকদের উপর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির অব্যাহত নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিবাদে সে সময়কার চা শ্রমিক নেতা পণ্ডি...

বই: সমসাময়িক এবং স্মৃতি থেকে

বই, এই শব্দটার সাথে আমরা সবাই পরিচিত। সবাই জানি, সবাই চিনি। কত ধরনের বই আছে। পাঠ্য বই, কবিতার বই, গল্পের বই, মজার বই, পাঞ্জেরী গাইড বই, ব্যাংকের চেক বই ইত্যাদি কত কিছুই না বই। বই শব্দটা শুনলেই, বার্ষিক পরীক্ষা শেষে বছরের প্রথমে স্কুল থেকে পাওয়া একপাশে সেলাই, গাম দিয়ে লাগানো, চকচকে মলাটের , সুন্দর ঘ্রাণে ভরপুর বইগুলোকে যত্ন করার কথা বারবার মনে পড়ে। এ জন্য সৈয়দ মুজতবা আলী হয়তো বলেছিলেন, "রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে, কিন্তু বইখানা অনন্ত- যৌবনা- যদি তেমন বই হয়" শুধু তাই নয়, শার্টের বোতামের ভেতর বই বুকে চেপে দৌড়ে দৌড়ে স্কুল পালানোর স্মৃতিটাও ভুলে যাবার নয়। আসলে কথা বলছি স্কুল পালানো নিয়ে নয়, বই নিয়ে। বই পড়া মানেই এক সময় মনে করতাম চাচা চৌধুরী কমিক্স আর মিনা মিতুর বই। পরে শুরু করলাম তিন গোয়েন্দা। সেই থেকে বই পড়ার নেশা। কিন্ত ক্লাসের পাঠ্য বইকে মনে হত যম। মাধ্যমিকে উঠার পর পদার্থ রসায়ন শুনলেই বুক কাঁপত, আবার ধর্ম শিক্ষা, বাংলা বই, সামাজিক বিজ্ঞান বই হাতে নিয়েই বলতাম একদম পাশ। মনে প্রেম ভালোবাসা রোমান্টিকতা জন্মানোর পরে ভালো লাগা শুরু হল কবিতা। কবিতার ...

ভালো থাকুক পৃথিবী

Let's Celebrate Earth Day! এই মেসেজটা পেয়ে হঠাত করেই ভাবনায় পড়ে গেসিলাম। মনে পড়ে গেলো কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য এর ছাড়পত্র কবিতার দুটো লাইন , ‘এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি/নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ়-অঙ্গীকার’। সেই বিশ্ব বা পৃথিবী দিবস আজ। পৃথিবীতেই পালন করা হচ্ছে পৃথিবী দিবস। স্কুল জীবনে বাংলা ২য় পত্রের পৃথিবীর সমার্থক শব্দ এলেই লিখে দিতাম বিশ্ব, ধরিত্রী, দুনিয়া ইত্যাদি একই অর্থের বিভিন্ন শব্দ আর খট করে লিখে নিতাম, লুফে নিতাম পাঁচ মার্ক। আসলে এই পৃথিবী থেকে কত কিছুই না নিয়েছি, পেয়েছি। পৃথিবীর কোলে বসেই দেখেছি নীল আকাশ, যেদিকে তাকালে প্রিয় নিল রঙের প্রেমে পড়ি বারবার। পৃথিবীর কোলে বসেই সবুজ বিস্তৃত ঘাস, বা লাল টকটকে ডুবন্ত সূর্যকে দেখে আঁচ করতে পারি আমার পরিচয় লাল সবুজকে। পৃথিবীর কত রঙ , কত মঞ্চ, কত চঞ্চল, কত জঞ্জাল, কত কান্ড, কত কাষ্ঠ , কতই না তার বাহার। এই পৃথিবীর কোলে বসে খেয়েছি আহার।  দিবস পালন করি আমরা ত বহু। কোন দিবসে কেঁদে দুঃখে বুক ভাসাই, কোন দিবসে দ্রোহ ভালোবাসায় জেগে উঠি, কোন দিবসে আবার প্রিয় জনের মুখ খুঁজি। আজ পৃথিবী দিবস। ভাবছি পৃথিবীর পৃথিবী নিয়ে। ভালো আছেত পৃথিব...

ব্যাকগ্রাউন্ডে বিসমিল্লাহ

একটু পরেই শুরু হবে বাসর। দু'জনের ভেতরে অনেক উত্তেজনা। গোলাপ, গাঁদা জড়ানো পুষ্প ভরা লাল বেনারসী পরে বসে আছেন নববধূ। কখন আসবে সে, ঘোমটার নিচের দৃষ্টি পলক দরজার কিনারায়। সুগন্ধি মাখা, বেশ প্রফুল্ল মনে পাঞ্জাবি পাজামা পরা বর এলেন ঘরে। গুটিসুটি করে লাগিয়ে দিলেন দরজা, হেঁটে হেঁটে চলছেন নতুন প্রেয়সীর কিনারায়। বেকগ্রাউন্ডে বেজে চলছে মধুর সুর।  এমন দৃশ্য আমরা মুভি সিনেমা, টেলিফিল্ম, নাটকে প্রায়ই দেখি। একটি মধুর রোমান্টিক সুর বেজে চলছে। এগুলো হচ্ছে প্রখ্যাত সানাই বাদক ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খানের বাজানো সানাই এর বিভিন্ন রাগ। সিনেমা টেলিফিল্ম নাটক ইত্যাদি বিয়ের শুটে, কনের বিদায়ের শুটে বা বাসর ঘরে শুট নেবার পর ব্যাকগ্রাউন্ডে ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খানের সানাই এর রাগ ব্যবহার করা হয়।  মূলত বিয়ে বাসর নিয়ে কথা বলছি না। বলছি ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খানকে নিয়ে। উস্তাদ বিসমিল্লাহ খানের একটি কথা আমার খুব পছন্দ--  যে সঙ্গীত শোনার বিষয়, দেখার বা দেখাবার নয়। আসলে সঙ্গীত সুর এমন এক জিনিস যে উপলব্ধি করতে হয়,  সেটাতেই ভেতরে দাগ কাটে।  হ্যাঁ ওস্তাদ বিসমিল্লাহ খানের কথা বলছি। অনেকেই আমরা যার সান...

বিদেশীদের মুখে শোনা বঙ্গবন্ধু'র কথা

আজ খোকার ৯৯ তম জন্মদিন, ১৭ মার্চ। খোকাকে নিয়ে অনেক বিদেশীর মুখ থেকে অনেক কিছু শুনেছি। কিছুটা শেয়ার করলাম। বেশ আগের কথা। সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার জৈন্তা হিল রিসোর্টে এক কানাডা নাগরিকের সাথে পরিচয় হয়েছিল। যখন কথা বলছিলাম উনার সাথে তখন উনি বলছিলেন কিভাবে বাংলাদেশে আসলেন। উনি ইতিহাসের ছাত্র। ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করেন। ঘুরে বেড়ান।  তিনি বলেছিলেন, সেই একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা। উনার নাকি খুব প্রিয় একজন মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমার এখনো মনে আছে তিনি বলেছিলেন, সিক্স ফিট ম্যান ইজ এন আইরন পলিটিশিয়ান। খুব ভালো লেগেছিলো উনার কথা গুলো। হ্যাঁ, যে খোকার ৯৯ তম জন্মদিনের কথা বলেছিলাম। তিনি আমাদের বঙ্গবন্ধু, আমাদের জাতির জনক, বিশ্বের একজন মহান নেতা।  ফিলিপাইনের এক বন্ধুর সাথে পরিচয়। টুকটাক কথা হত মাঝে মাঝে। হটাৎ একদিন আমাকে নক দিলো। নকের শুরুতেই জিজ্ঞেস করলো, হ্যালো মিস্টার মুজিব পিপোল, হাও আর ইউ। অবাক আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, শেখ মুজিবের কথা কিভাবে জানলো। বলল আমার সাথে পরিচয় হবার পর নাকি গুগলে বাংলাদেশ নিয়ে অনেক ঘেঁটেছে। সেখানে নাকি সবজায়গায় বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই বঙ...

বাবার মুখে শোনা ৭ মার্চ

প্রথম অংশ  তখন আমি মেলা ছোট। বাবার কোলে চড়ে ঘুরতাম বাজারে। আমার বাবার যখন যুবক তখন উনার একটা শখ ছিল এক টাকার কয়েন দিয়ে তিনি মোস্তফা ভিডিও গেমস খেলতেন বাজারে। আমার জন্মের পর তিনি অনেক খেলেছেন।  আমাকে কোলে নিয়ে বাজারের সেই আন্ডারগ্রাউন্ড ঘরে ধুমধাম মোস্তফা গেমস খেলতেন। বলছি প্রথম কিভাবে আমি জানলাম ৭ মার্চের কথা।  এখনো স্পষ্ট মনে আছে সেদিন ৭ মার্চ ছিল। তখন ৭ মার্চ পালন হতো না আজকের দিনের মত। ৭ মার্চ ত দূরের কথা আওয়ামীলীগ করে এমন লোকজন পাওয়া যেত খুব কম। এখন ত কথায় কথায় সবাই আওয়ামীলীগ আর ছাত্রলীগ। যেখানে মোস্তফা গেমস খেলা হত বাজারে সেখানে ঠিক অই দোকানের পাশে টিভি রেডিও মেরামত করার দোকান ছিল। সন্ধ্যাবেলা অইদিন বাবার সাথে বাজারে। এখনো মনে আছে, আমার চোখে ভাসে ১ টাকা দামের বিংগো চকলেট খাচ্ছিলাম। হটাত করে ঐ দোকানের মালিক ফিতার (রেবনের) ক্যাসেট প্লেয়ারে ৭ মার্চের ভাষণ বাজালো। দুই তিনজন খুব মনযোগ দিয়ে শুনছেন। বাবাকে তখন জিজ্ঞেস করেছিলাম, এইখানে কি এই লোক কি বলে। আমার মনে আছে বাবা তখন স্পষ্ট বলেছিল, তিনি লিডার বাবা, স্বাধীনতা ঘোষণা দিচ্ছেন। আমরা যে যুদ্ধ করেছি, তার কথাতেই। মনে আছ...

করিমের গান, তত্ত্বে যেন বহমান

ভোর রাত। ভেবে যাচ্ছি বাউল শাহ আব্দুল করিমকে। শুনছি তার গান। একটি গান নিয়ে একটু লিখলাম, এতখন বসে বসে -------  বাউল শাহ আব্দুল করিমের সরাসরি শিষ্য বাউল আব্দুর রহমানের কণ্ঠে শোনা একটি গানের কথা বলতে চাচ্ছি। বাউল শাহ আব্দুল করিমের বহুল প্রচলিত গান এটি নয় আব্দুল করিমের নিজের লিখা এবং সুর করা গানটি হচ্ছে "আমি আছি আমার মাঝে আমি করি আমার খবর। আমি থাকলে সোনার সংসার, আমি গেলে শূণ্য বাসর।"  অনলাইনে যতগুলো লিড়িক্স পেইজ বা ওয়েব সাইট আছে ওগুলোতে এই গানের পূর্ণ লিড়িক্স পেলাম না। বাউল শাহ আব্দুল করিমের সরাসরি শিষ্য বাউল আব্দুর রহমানের মুখ থেকে শোনা লিড়িক্সটি সংগ্রহ করে রাখলাম। লোকমুখে বা বর্তমান যেসব সঙ্গীত শিল্পীরা আছেন ফোক বা লোকসঙ্গীত শিল্পী টিভির পর্দায় বা রেডিওতে গান করেন তাদের কণ্ঠে এই গান কখনোই শুনি নি। একমাত্র বাউল করিমের শিষ্য আব্দুর রহমানের মুখেই গানটি শোনা। তিনিই একবার গানটি করেছিলেন লন্ডন ভিত্তিক বাংলা চ্যানেল এস টিভির পর্দায়।   পুরো গানটি হচ্ছে---   //আমি আছি আমার মাঝে, আমি করি আমার খবর।  আমি থাকলে সোনার সংসার, আমি গেলে শূণ্য বাসর।  এ জগতে...