সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2015 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

নীরবতার সুরে

সামিউল্লাহ সম্রাট চাঁদের আলোয় বেশ লাগছে । সাধারনত সন্ধ্যার পরপরই এদিকটা অনেক শান্ত হয়ে যায় । যানবাহন একেবারে নেই বললেই চলে । আমি আর অমিত হেটে চলেছি । শীত   বেশি অনুভূত হচ্ছে । শহর থেকে একটু দুরত্বেই শীতের এতটা তারতম্য হবে ভাবিনি ।      শুনশান স্তব্দতা । বা পাঁশে টিলার উপরে সাদামত কি যেন চোখে পড়ল । অমিত আমার গায়ে টোকা দেয় । ভুতে বিশ্বাস না থাকলেও রাতের নির্জন আবহে সাদা রঙের কিছুর প্রতি একটা চমকে উঠার ব্যপার থাকে । আসলে ওগুলো গণকবর । সাদা টাইলসে মোড়ানো । চাঁদের আলো ওখান থেকে প্রতিফলিত হচ্ছে । পাশ থেকে শেয়াল ডেকে উঠল । একটা, আরেকটা, আরেকটা, এবারে একদল শেয়ালের ডাক  নিরবতা ভেঙ্গে দিল । আমরা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক পেরিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে এসে গেছি । বিনয় দাকে ফোন দিলাম । ওর আরও কয়েকজন ততক্ষণে ইকোপার্কের সামনে পৌঁছে গ্যাছে।  এসে দেখি হুলস্থূল ব্যাপার । দল অনেক ভারী । বাতিন ভাই, অসিম দা, রাজিব রাসেল,ফাহিম,পিয়েল,দলছুট শুভ, হিমেল সহ আরও সাত আট জন । স্থানীয়  পথ প্রদর্শক রতন হাজির । বিনয় দা, ফাইম  ট্রাইপড, ক্যামেরা আর বাতিন ভাই টেলিস্কো...

ছবিয়ালদের উৎসবের দিন আজ

ছবিয়াল বা ফটোগ্রাফার, এক অতি পরিচিত নাম। কেউ শখ করে ছবি তোলে কেউবা পেশা হিসেবেই বেছে নিয়েছে এই কাজকে। মোবাইল থেকে শুরু করে দামী ডিএসএলআর ক্যামেরা, মাধ্যম যেটাই হোক কম বেশি ছবি সবাই ই তোলে। আজ বিশ্ব আলোকচিত্র দিবস। ১৮৩৯ সাল থেকে আগস্ট মাসের উনিশ তারিখ কে আলোকচিত্রের দিন হিসেবে উদযাপন করে আসছে পুরো পৃথিবী। মুহূর্তগুলো কে ফ্রেমে বন্দি করে রাখার চিন্তা কিন্তু মানুষের মাথায় বেশ অনেক আগেই এসেছিলো। আঠারো শতকের প্রথম দিক থেকেই বিজ্ঞানীরা তাই ব্যাস্ত হয়ে পড়েন এমন কিছু আবিষ্কার করার জন্য যা মানুষের বা প্রকৃতির যে কোন মুহূর্তকে ধরে রাখতে পারবে।  ১৮৩৯ সালের জানুয়ারীর ৯ তারিখে  ফ্রেন্স একাডেমি অব সাইন্সেস  আলোকচিত্রের এক উপায় আবিস্কারের ঘোষণা দেন। এই উপায়ের নাম হল  ড্যাগুইররিয়ো টাইপ । নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তারা এই প্রক্রিয়াকে কয়েক মাস পর ১৯শে আগস্ট, ১৮৩৯ সালে সর্বসাধারনের সম্মুখে আনে।  বিজ্ঞানী লুইস ড্যাগুইর  সর্বপ্রথম ছবি তোলার ব্যাবহারিক এ উপায় আবিষ্কার করেন। তার নাম অনুসারেই ছবি তোলার এই উপায়ের নাম দেয়া হয় ড্যাগুইররিয়ো টাইপ ফটোগ্...

পৃথিবীর বুক থেকে মুছে যাক জঙ্গিবাদ

বোমা হামলা। শব্দ দুটো শুনলেই আমরা কেঁপে উঠি। বোমা হামলা মানেই রক্তাক্ত নিথর কিছু দেহ পড়ে থাকা, ছড়িয়ে থাকা মানুষের কিছু জুতা, আর শোকে স্তব্দ কিছু এলাকার চিত্র আমাদের চোখে ভাসে। বোমা হামলা মানেই মানুষের আহাজারি, স্বজন হারানো বেদনা, আতঙ্ক ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রতিদিন সকালেই আমরা যখন পত্রিকার পাতা, টেলিভিশনের নিউজ স্ক্রল বা অনালাইন নিউজ পোর্টাল গুলোর ওয়এব পেজের দিকে চোখ পড়ে তখনই কেঁপে উঠি বোমা হামলার সংবাদ পড়ে, চিত্র দেখে।  এইত দুই দিন আগের একটি ঘটনা বলি। আফগানিস্তানে কোচিং সেন্টারে আত্মঘাতী হামলা, নিহত হলো ৩৪। কি বীভৎস ঘটনা! ভাবলেই শরীর চমকে উঠে। আহত হয়েছেন প্রায় ৬৭ জন। এই ৬৭ জন কি আর সুস্থ স্বাভাবিক জীবন পাবেন কখনই না। শ্চিম কাবুলের শিয়া হাজারা সম্প্রদায় অধ্যুষিত এলাকার ওই কোচিং সেন্টারটিতে নিয়মিত ক্লাস চলার সময়ে এক আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হেঁটে সেখানে প্রবেশ করে এবং শরীরে বাঁধা বিস্ফোরক বেল্টের বিস্ফোরণ ঘটায়। এই হামলা নিয়ে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, নিহতদের মধে বেশিরভাগই তরুণ। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিতে মাবৌদ একাডেমি নামের ওই কোচিং সেন্টারে ক্লাস কর...

হিরোশিমা দিবস এবং বিভিন্ন গণহত্যা

১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট। জাপানের হিরোশিমা শহরে স্থানীয় সময় তখন সকাল আটটা ১৫ মিনিট। তখনো ভালো করে ঘুম ভাঙ্গে নি মানুষের। শুরু হয়নি কর্মব্যস্ত সময়। ঠিক সেই সময়টাতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা তখন জোরেশোরে বাজছে। ৬ আগস্ট অর্থাৎ জাপানের হিরোশিমা শহরে পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম পারমাণবিক বোমা হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বি-টুয়েন্টি নাইন বোমারু বিমান এনোলা গে থেকে হিরোশিমায় ফেলা হয় আণবিক বোমা ‘লিটল বয়’। বোমাটি প্রায় ৫০০ মিটার উঁচুতে বিস্ফোরিত হয়। ওই পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণে তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় দেড় লাখ মানুষ নিহত হন। তখনও ঘুমের মধ্যেই ছিলেন বেশিরভাগ মানুষ। মাটির সঙ্গে মিশে যায় বেশিরভাগ স্থাপনা। ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয় একটি নগরী। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় বছর শেষে আরও ৬০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। আজ ৬ আগস্ট। হিরোশিমা দিবসের ৭৩তম বার্ষিকী। এটি মার্কিনীদের চালানো একটি গনহত্যা ছিল। ঘুমন্ত সাধারণ নাগরিকদের উপর অতর্কিত হামলা ছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতেও এভাবে আমাদের বাঙ্গালীদের উপর হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানী মেলেটারীরা। গভীর রাতে তখন আমাদের জনসাধারণও ঘুমে ছিল। ঢাকা শহরেও প্রায় ৫০ হাজার লোক হত্য...

নেলসন ম্যান্ডেলা এবং স্টপ রেসিজম

নেলসন ম্যান্ডেলা। পৃথিবীতে যে কয়েকজন মহান নেতার নাম শুনলে আমি শিহরিত হই তাঁদের'ই একজন নেলসন ম্যান্ডেলা। পৃথিবীতে কিছু অবিসংবাদিত নেতা আছেন। যাদের নাম শুনলে বা ছবি দেখলে হিমালয় পর্বত, নীল আকাশ বা বিশাল সমুদ্রের কথা মনে হয় আমার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, মার্টিন লুথার কিং, ফিদেল কাস্ত্রো, চে গুয়েভেরা, মহাত্মা গান্ধী, হো চিং মিন, ইয়াসির আরাফাত , নেলসন ম্যান্ডেলা এসব মহান পুরুষের নাম শুনলে আমি কেঁপে উঠি। আমার ভালো লাগে এসব লৌহ মানবদের জীবনী, ব্যক্তিত্ব এবং রাজনৈতিক সংগ্রাম। তাঁদের বিভিন্ন উক্তি গুলো আমাকে আলো দেখায় সামনে চলার। দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার  ৯৭ তম জন্মদিন আজ। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর ২০১৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ৯৫ বছর বয়সে মারা যান তিনি। বিশ্বের নন্দিত রাষ্ট্রনায়কদের একজন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা। দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদের অবসান ঘটিয়ে বহু বর্ণভিত্তিক গণতান্ত্রিক কাঠামো প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব, প্রখর রসবোধ, তিক্ততা ভুলে বৈরি প্রতিপক্ষের দিকে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়...

প্রসঙ্গঃ নিরাপদ সড়ক

দুর্ঘটনা রোধ এবং সমন্বিত ব্যবস্থাপনার চিন্তা থেকে সরকার সড়ক আইন প্রণয়ন করেছেন। গত কয়েক দশক ধরে ক্রমবর্ধমান যানজট, মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনাসহ নানাবিধ ভোগান্তির বিরুদ্ধে এই আইন প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে সরকারের উদ্যোগ গ্রহণ সময়োচিত এবং জনদাবির প্রতিফলন।গত বছর সড়ক দুর্ঘটনা এবং অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে সংগঠিত ছাত্র-কিশোর বিদ্রোহ বাংলাদেশের এক ঐতিহাসিক ঘটনা যা সড়ক আইন প্রণয়নে সরকারের উপর বাড়তি চাপ ও দায়িত্ব আরোপ করে, একথা বলাই যায়। আইন অমান্য করা অদক্ষ ও লাইসেন্সবিহীন চালক, লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি, ধারণ ক্ষমতার অধিক যাত্রীবহন, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে নিরীহ মানুষকে চাপা দেয়া এটা যেন বাংলাদেশের মানুষের ভবিতব্য হয়ে উঠেছে।এতকাল পর যখন সরকার কড়াকড়িভাবে সড়ক আইন প্রয়োগ করতে যাচ্ছে, তখন শ্রমিকনেতার বেশধারী দুর্বৃত্ত মাফিয়া এবং অবৈধ সিন্ডিকেট একজোট হয়েছে পরিবহন খাতে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে সরকারকে তার প্রতিশ্রুত কাজে বাধাদান করতে যার দুর্ভোগ পোহাবে নিরীহ ও অসহায় জনগণ। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাস এবং ট্রাক ধর্মঘট ডেকে, চালকদের উস্কে পথে নামিয়ে দিয়ে জনগণকে জিম্মি করার চেষ্টা করছে অবৈধ অর্থলোভী, রক্তখেকো সিন্ডিক...

ঠাকুরগাঁওয়ের ঐতিহ্যবাহী বালিয়া মসজিদ

মসজিদটি তৈরি হয়েছিল এক রাতেই। জ্বিন-পরীরা সারারাত জেগে এই মসজিদ বানিয়েছে। অনেক রকমের কারুকার্যময় অলংকরণ ও পুরু দেয়াল গড়তে গড়তে রাত শেষ হয়ে যায়। দিনের আলোয় জ্বিন-পরীরা থাকে না, তাই গম্বুজের কাজ শুরু না করেই তারা চলে যায়। অসম্পূর্ণ থেকে যায় মসজিদটি- ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাচীন মসজিদ সম্পর্কে প্রচলিত আছে এমনই লোককাহিনী। ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়া মসজিদ বছর খানেক আগে মজার এ গল্প শুনে হেসে উড়িয়ে দিলেও আগ্রহ জন্মেছিল একবার মসজিদটি দেখার। মাস দুয়েক আগে আসাদগেটে ঠাকুরগাঁয়ের ইতিহাস বিষয়ক এক আলোচনায় ব্যারিস্টার সাদিক ভাই সেই মসজিদ বিষয়ে কথা তুললেন। তিনি অনেক কিছুই জানালেন মসজিদ সম্পর্কে। অবাক হলাম জেনে যে মসজিদটি সাদিক ভাইদের পারিবারিক! আমার আগ্রহের কথা জেনে তিনি একটি ফোন নাম্বার দিয়ে বললেন যোগাযোগ করতে। নাম্বারটি ছিল শাহিদ চৌধুরীর। যিনি মসজিদটি পুনঃনির্মাণের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন। ঠাকুরগাঁও গিয়েই প্রথমে শাহিদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে সময় নির্ধারণ করে নিলাম। বেশ আন্তরিকতার সাথেই তিনি বালিয়ার চৌধুরী পরিবারে আমন্ত্রণ জানালেন। পরদিনই আমার সঙ্গী হলো রনি আর নির্ণয়। এরাও মসজিদটির ব্যাপারে বেশ কৌতূহলী। ঠাকুরগ...

শহীদ মিনারের বিচিত্রিতা

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন চোখ খুলে দিয়েছিলো বাঙালি জাতির। সেই ফুটে ওঠা চোখে পরবর্তীতে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে বাঙালি।সিলেট মদনমোহন কলেজে শহীদ মিনারের নির্মাণশৈলীতে তাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাঙালির চোখ খুলে দেওয়ার বিষয়টি। এই শহীদ মিনারের নাম- ‘দৃষ্টিপাত’। ছোট বড় ১২টি জানালা দিয়ে তৈরি এই শহীদ মিনারের স্থাপত্যশৈলী বেশ আগেই নজর কাঁড়ে সিলেটবাসীর। ১৯৬৭ সালে মদনমোহন কলেজে সিলেট জেলার প্রথম শহীদ মিনার স্থাপিত হয়। সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার তৈরি করার আগে এই শহীদ মিনারে সবাই শ্রদ্ধা জানাতেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতাবিরোধীরা শহীদ মিনারটি ভেঙে ফেলে। ১৯৭২ সালে কলেজ ছাত্র সংসদ ভাঙা শহীদ মিনারটি পুনর্নির্মাণ করে। ২০১২ সালে স্থপতি রাজন দাশের নকশায় সিলেট সিটি করপোরেশনের অর্থায়নে প্রায় ১৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন স্থাপত্যশৈলীতে এই শহীদ মিনারকে আরও নান্দনিক করা হয়। মদনমোহন কলেজের শহীদ মিনার ‘দৃষ্টিপাত’ নিয়ে স্থপতি রাজন দাশ বলেন, বিজ্ঞজনরা বলেন বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে বাঙালি জাতির চোখ ফুটেছিল। এই আন্দোলনের কারণে পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের আন্দোলনে সফল হয়েছিল বাঙালি জাতি। তাই এই শহীদ মিনারের...

শিক্ষকদের ‘সুপারম্যান’ হতে হবে

হারুন স্যার। আলোকিত মানুষ-স্বপ্নদ্রষ্টা। সিলেট অঞ্চলে এক পরিচিত নাম। শিক্ষকের শিক্ষক তিনি। এ অঞ্চরে প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানে তাঁর ছাত্ররা স্বমহিমায় ভাস্বর। প্রফেসর হারুনুর রশীদ মূলত শিক্ষক। সিলেটের বিভিন্ন কলেজে প্রায় তিন যুগ পড়িয়েছেন। সাহিত্যের বিভিন্ন অনুসঙ্গ তাঁর চেনা। তিনি মনে করেন ক্লাসে পড়ানোটাই তাঁর জীবনের শ্রেষ্ট সময়। ২০১৬ সালের মার্চে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সিলেট অঞ্চলের পরিচালক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। জাতীয়করণের বিশাল কর্মযজ্ঞ তিনি সম্পন্ন করছেন। আর চার মাস পরে তিনি অবসরে যাচ্ছেন। অন্যান্য বিভাগে যেখানে শিক্ষকদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়েছে সিলেট অঞ্চলে প্রফেসর হারুনুর রশীদ ছিলেন শিক্ষকবান্ধব। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তদারকি করেছেন। অনিয়ম ধরে ভুল শোধরে দিচ্ছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়া এলাকায় বিশেষ নজর দিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন। ১ ফেবব্রুয়ারি শনিবার তিনি এসেছিলেন বালাগঞ্জ সরকারি কলেজ পরিদর্শনে। এ সময় আলাপচারিতায় তিনি জন্ম, শৈশব, পড়াশোনা, শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ও সবশেষে প্রশাসনে কাজ করার অভিজ্ঞতার কথা জানান। প্রফেসর হারুনুর রশীদ ১৯৬১ সালে মৌলভীবাজার সদর উপজ...