সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2017 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

৪৬ বছর এভাবেই পার হয়েছে

কিছুক্ষণ পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। আমরা দুই ভাই বসে বসে দেশাত্মবোধক গান শুনছি। মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়কার ইতিহাস নিয়ে ঘাটাছি। একটি প্রোগ্রামে শুনা একটি ঘটনা মনে পড়ল --- "বেলা ১১ টার দিকে আমাদের বাসায় ঢুকে প্রথমে আমার বাবাকে হত্যা করে তারা৷ বাবা আমাদের বলেছিল খাটের তলার লুকিয়ে থাকতে৷ বাবা আমাদের ঘরের দরজা আগলে দাঁড়িয়েছিলেন৷ ওরা শাবল দিয়ে ব্রিটিশ আমলের সেই ভারি দরজা ভেঙে ফেলে৷ বাবার পেটে বেয়নেট চার্জ করলে বাবা ওখানেই শাহাদাৎ বরণ করেন৷ সেটা দেখে আমার মা খাটের নীচে থেকে চিৎকার করে বেরিয়ে আসেন৷ আমার মাকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যেতে থাকে৷ দোতলার সিঁড়ি বারান্দায় নিয়ে গিয়ে আমার মা-কে বেয়নেট চার্জ করে৷ আমার মা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে যান৷ আমার মা চিৎকার করছিলেন আর বলছিলেন, ‘‘আমাকে মেরে ফেলো, আমার বাচ্চাদের মেরো না৷'' তারপরও তারা এক হেঁচকা টানে মায়ের শাড়িটা খুলে ফেলে৷ ওরা বঙ্গবন্ধুর নাম ধরে এবং ‘জয় বাংলা' স্লোগানের কথা তুলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল৷ এরপর তারা মাকে নিয়ে যায় আমার বাবার হাতে গড়া শখের বাগানে৷ সেখানে আহত অবস্থায় আমার মাকে জীবন্ত পুঁতে ফেলে তারা৷ মাকে নিয়ে যাওয়ার পর আমা...

জমিদার থেকে মরমী কবি

আজ নৃত্য-গীতের ব্যবস্থা নেই। রামপাশা- লক্ষণশ্রীর জমিদারি নেই। উঁচু দেহ, দীর্ঘভূজ ধারাল নাসিকা, জ্যোতির্ময় পিঙ্গলা চোখ এবং একমাথা কবিচুল, সুফী সুফী ভাবের সেই সুদর্শন জমিদার পুরুষও আজ নেই। একজন মরমী কবি, বাউল সাধকের কথা বলছি। সঙ্গীতের সাথেই তার মাখামাখি, নাম; হাছন রাজা। তাঁর প্রকৃত নাম দেওয়ান হাছন রাজা, অনেকে অহিদুর রেজা হিসেবেও জানেন। হাছন রাজার জন্ম ১৮৫৪ সালের ২১ ডিসেম্বর (৭ পৌষ ১২৬১) সিলেট জেলার সুনামগঞ্জ শহরের নিকটবর্তী সুরমা নদীর তীরে লক্ষণছিরি (লক্ষণশ্রী) পরগণার তেঘরিয়া গ্রামে। হাছন রাজা জমিদার পরিবারের সন্তান। তাঁর পিতা দেওয়ান আলী রাজা চৌধুরী ছিলেন প্রতাপশালী জমিদার। হাছন রাজা তাঁর ত্রিতীয় পুত্র। আলী রাজা তার খালাতো ভাই আমির বখ্‌শ চৌধুরীর নিঃসন্তান বিধবা হুরমত জাহান বিবিকে পরিণত বয়সে বিয়ে করেন। হুরমত বিবির গর্ভেই হাছন রাজার জন্ম। হাসনের পিতা দেওয়ান আলী রাজা তাঁর অপূর্ব সুন্দর বৈমাত্রেয় ভাই দেওয়ান ওবেদুর রাজার পরামর্শ মত তাঁরই নামের আকারে তাঁর নামকরণ করেন অহিদুর রাজা। হাছন রাজাকে মরমী সাধক হিসেবেই আমরা জানি। বাউল বিশেষজ্ঞদের মতে তিঁনি মানবতাবাদী বাউল ফকির লালন সাঁইয়ে...

সুরে সুরে দেহ আত্মার মিলনে বারী সিদ্দিকী

১. গভীর নিশিতে ধ্যান মগ্ন হয়ে কালাচাঁনের অপেক্ষা করছেন সাধক। সাধক চান মিয়ার শিষ্য বাউল সিরাজউদ্দিনের মতে এটি একটি রাই বিচ্ছেদ। কৃষ্ণের অপেক্ষায় রাধা নিশি বা রাতকে অনুরোধ করছেন 'রাত' যেন না পোহায়  কারণ তার কালা চান যে কোন সময় আসতে পারে। শব্দগুচ্ছ গুলো থেকে সহজেই উপলব্ধি হয় সাধক নিজ দেহকে রাধা আর আত্মাকে কৃষ্ণের সাথে তুলনা করেছেন। দেহ আত্মার মিলন ঘটানোই ছিল সাধকের সাধনা।          বন্ধু কালাচাঁনের খোঁজা পুরো গানটি হল--     "রজনী হইসনা অবসান  আজ নিশিতে আসতে পারেবন্ধু কালাচাঁন।। কত নিশি পোহাইলোমনের আশা মনে রইলো রে কেন বন্ধু আসিলোনা জুড়ায়না পরান। আজ নিশিতে আসতে পারে বন্ধু কালাচাঁন।। বাসর সাজাই আসার আশেআসবে বন্ধু নিশি শেষে দারূন পিরিতের বিষে ধরিল উজান। আজ নিশিতে আসতে পারে বন্ধু কালাচাঁন।। মেঘে ঢাকা আঁধার রাতে কেমনে থাকি একা ঘরে সাধক চাঁনমিয়া কয় কানতে কানতে হইলাম পেরেশান আজ নিশিতে আসতে বন্দু কালাচাঁন।"    ২. অন্য আরেকটি গান খুব দাগ কাটে মনে। শুয়াচান অর্থাৎ আমি মনে করি শুয়ে থাকা চাঁদ। উকিল মুন্সীর এই গানটি আমার খু...

একটি গান, একজন সাধক এবং রংপুরের কান্না

নীরব শান্ত রাত। বাইরে টুপটুপ বৃষ্টি। অগ্রহায়ণের রাত, কেউ বলেছেন নভেম্বর রেইন।  ঘুমে আচ্ছন্ন উত্তর গোলার্ধের মানুষ পরিজন। সুরে মেতে আছে মানসিকতা। দুইটা বই, কোল বালিশ পড়ে আছে পাশে। রেন্ডমে গান বেজে চলছে স্পিকারে সফট সাউন্ডে। বাউল সুনীল কর্মকারের বেহালার সুর ঘুম কেড়ে নিয়েছে। বেজে চলছে সাধক জালাল উদ্দিন খাঁ'র গান। হঠাত করেই বেজে উঠলো "মানুষ থুইয়া খোদা ভজ এ মন্ত্রণা কে দিয়াছে। " উঠে বসলাম। কথাটা খুব মনে ধরল। গান বেজেই চলছে ---  //মানুষ থুইয়া খোদা ভজ এই মন্ত্রণা কে দিয়াছে ।।  মানুষ ভজ কোরান খুঁজ পাতায় পাতায় সাক্ষী আছে । খোদার নাইরে ছায়া-কায়া স্বরূপে ধরেছে মায়া রূপে মিশাই রূপের ছায়া ফুল কলি ছয় প্রেমের গাছে ।। আরবে মক্কারি ঘর মদিনায় রাসূলের কবর বায়তুল্লাতে শূন্যের পাথর সকলি মানুষ কইরাছে।। মানুষে কইরাছে কর্ম কতই পাপ কত ধর্ম বুঝতে পাবি নিগুর মর্ম, মন-মহাজন মধ্যে আছে ।। দিলের যখন খুলবে কপাট দেখবে তবে প্রেমেরও হাট মারফতও সিদ্ধির ঘাট সকলি মানুষের কাছে ।। সৃষ্টির আগে পরয়ারে মানুষেরি রূপ নেহারে ফেরেশতারা যাইতে নারে মানুষ তথা গিয়াছে রে ।। মানুষেরি সঙ্গ লইয়া পৃথিবীতে জন্ম হই...

নির্বাচনী সংবাদ কাভার এবং কিছু কথা

সব অর্থে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই শুধু আমরা একটি সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারি, এবং তার ভিত্তিতে একটি গ্রহণযোগ্য সরকার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেতে পারে। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনই এ মুহূর্তে জাতির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কি না, তা নিরূপণের জন্য স্বাধীন ও পক্ষপাতহীন, নির্বাচনের সঙ্গে স্বার্থসংশ্লিষ্টহীন সংস্থা ও ব্যক্তিদের দ্বারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত একটি রীতি। এই রীতির অনুসরণে বাংলাদেশেও দেশি–বিদেশি বিভিন্ন সংস্থা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ পর্যবেক্ষণ করে থাকে এবং তাদের পর্যবেক্ষণলব্ধ মূল্যায়নের ওপর নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই নির্ভর করে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মোট ৩ টি নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে মাঠে কাজ করছি। নির্বাচনী এলাকাগুলো সিলেট বিভাগের বিভিন্ন ইউনিয়ন এবং পৌরসভা ছিল। গত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত গোলাপগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের জন্য পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করেছি গোলাপগঞ্জ এম সি একাডেমী স্কুল ও কলেজ কেন্দ্রে। তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশাকে উপেক্ষা করে গোলাপগঞ্জে সকাল থেকেই ...

কখনও সিটি কলেজের পাশে 'রসুই'

রঙ নাম্বারে কথা বলে পরিচয় । পরিচয়ের কয়েক মাস পর হুট করে একদিন দ্যাখা হওয়া । মাসে বার কয়েক কথা । এভাবে বছর খানেক । ঢাকায় এসে বেকার জীবন । ততদিনে কথা বলার পরিমাণ বেড়েছে । অনুভবটা স্ফীত হয়েছে । দ্যাখা না হলে খারাপ লাগাটা তখনও তৈরি হয়নি । শেওরা পাড়া থেকে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে আসার মত টাকাও অনেক সময় থাকত না। কখনও হেটেও এসেছি । ফুচকাটাও সুমির টাকাতেই । প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে একদিন ঢাকা ছাড়লাম । ফিরলাম মাস তিনেক পর। চাকুরী পেলাম একটা। কুমিল্লা যেতে হল । সেখানেই থাকতে হবে । ফোন করার মত টাকার অভাব নেই । তাই কথা অবিরাম । মাসে দু তিনবার ঢাকা আসা শুরু হল । এরপর প্রতি সপ্তাহে । শুক্রবারে । ২০০৮ সালের ১২ আগস্ট এমনি এক শুক্রবারে আহসান মঞ্জিলে । কেন যেন আর 'তুই' বলতে পারছিলাম না। কুমিল্লা ছেড়ে এলাম নারায়ণগঞ্জে । প্রতি বৃহস্পতিবার ঢাকা । শনিবারে ফিরি । টিচার্স ট্রেনিং কলেজের ছাত্রী হোস্টেলের গেটে নিয়মিত অপেক্ষা । এ রপর রাজশাহী । মাসে তিনবার ঢাকা । ছাত্রী হোস্টেলের গেট লাগিয়ে দিলে সন্ধ্যায় রাস্তার ওপারে লাটিমী আর জাহান ম্যনশনের নিচে দাঁড়িয়ে এপারের কাঠ বাদামের ফাঁক গলে ত...

ব্যান্ডের গান কে ভালবাসি, কোনো ব্যক্তি কে নয়

বাবনা ভাই, সঞ্জয় ভাইয়ের মতো ভোকালরা চলে গেলেন। ওয়ারফেজের ভক্তরা তখন দিশেহারা প্রায়। সঞ্জয় ভাইয়ের জায়গায় কাউকে তখন ভাবাই যাচ্ছিলনা, অনেকেই হতাশ হয়ে পরেছে। কেউ কেউ বলতে শুরু করেছে ওয়ারফেজের ইতিহাস এখানেই শেষ। বলার যথেষ্ট কারনও ছিল, সঞ্জয় ভাইয়ের মতো ভোকাল বাংলা ব্যান্ড ইতিহাসে বিরল.!.!.!.!. সঞ্জয় ভাই চলে যাওয়ার পর মিজান আর বালাম ভাই ডুয়েট ভোকালে ২০০০ সালে ওয়ারফেজ রিলিজ করলো "অালো" এ্যালবাম যা সুপারহিট হয়েছিল। এরপর মিজান ভাই ওয়ারফেজ ছেড়ে দিলেন। বালাম ভাইকে ভোকালে রেখে ২০০৩ সালে "মহারাজ" নামে কালজয়ী এক এ্যালবাম রিলিজ দিয়েও যেন ভক্তদের মন ভরানো যাচ্ছিলনা। মানুষকে মুগ্ধ করা খুব কঠিন.!.!.!.!. এ্যালবামের গান গুলো বেপক জনপ্রিয়তা পেলেও কোথায় যেন একটা অপূর্ণতা রয়ে গেল। এক সময় বালাম ভাই ও চলে গেলেন... মানুষ আবারও হতাশ এবং আবারও বলতে শুরু করলো ওয়ারফেজের ইতিহাস এখানেই শেষ। মানুষ যেখানে ইতিহাস শেষ ভেবেছিল ইতিহাস নতুন করে সেখান থেকেই শুরু হল। ২০০৭ সালে মিজান নামের ভয়ানক সুন্দর ভোকাল আবারও যোগ দিল ওয়ারফেজে, তখনো তার প্রতিভা সম্পর্কে সবার হয়ত...

Photography in my eyes

written by: Maruf Omit, Photographer, Journalist Standing outside the sky? Blue sky is seen in the shadow of a white cloud, behind the white clouds. Take a snap away from your cell phone. It was a beautiful picture. According to the science of photography, it may be natural or abstract photography. But you do not have to worry about what kind of photography it is. Take pictures of what you like. This is the first job. Many people think that for photography or learning, there is a need for a very expensive camera. I think this idea is completely wrong. Photography is an art. The way you represent it, it will take the form of art. And the art is one of the things green grass if you can make a sauce by putting it on a pitch pour in the street, it will be a beautiful art. Here is the sky sitting on the table in the home outside and sitting in the chair. On the other side of the home outside, the blue sky of the evening is seen in the row of tiny trees. It seems to me that I ha...

আমার দৃষ্টিতে ফটোগ্রাফি - ১

বাইরে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছেন ? গাছের ডালের ফাঁকে শুভ্র মেঘের আড়ালে নীলাকাশ দেখা যাচ্ছে। হাতের সেল ফোন দিয়ে তুলে নিন একটি স্নেপ। এইতো হয়ে গেলো সুন্দর একটি ছবি। ফটোগ্রাফির শাস্ত্রীয় মতে এটি হতে পারে ন্যাচারাল বা এবস্ট্রাক্ট ফটোগ্রাফি। তবে আপনার চিন্তা করার কারণ নেই এটি কোন ধরনের ফটোগ্রাফি হচ্ছে। যেটাই ভালো লাগে সেটার ছবি তুলতে থাকুন। এটাই প্রথম কাজ। অনেকেই মনে করেন ফটোগ্রাফি করতে হলে বা শিখতে হলে অনেক দামী দামী ক্যামেরার প্রয়োজন। আমার মনে হয় এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ফটোগ্রাফি হচ্ছে একটি শিল্প । আপনি যেভাবে উপস্থাপন করবেন সেভাবেই সেটা শিল্পের রূপ নেবে। আর শিল্প এমন একটি জিনিস কয়েকটি সবুজ ঘাস যদি আপনি পিচ ঢালা রাস্তায় রেখে কোন একটি সেইপ তৈরি করতে পারেন সেটি একটি সুন্দর শিল্পে পরিনিত হবে। এইত বারান্দায় পাতা টেবিল চেয়ারে বসে আকাশ দেখছি। বারান্দার ওপারে ঝাউ গাছের সারি দিয়ে সন্ধ্যার নীল আকাশ দেখা যাচ্ছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে হালকা আকাশী ক্যানভাসে ময়ূরের পালক দিয়ে কালো রেখা একে দিয়েছি। একধরনের চমৎকার এবস্ট্রাক্ট ফটোগ্রাফি হতে পারে ঝাউ ডালের সাথে নীল আকাশের সমাহারে। ফটোগ্রাফি সম্পূর্ণ আপনার...

আমি কুল হারা কলঙ্কিনী

হাওরের বুক বেয়ে চলছে একটি নৌকা। সেই নৌকায় একজন গুরু তার শিষ্যদের নিয়ে গান করছেন, বলছেন গানের ইতিবৃত্ত। আমি বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের কথা বলছি। ভাটির পুরুষ প্রামাণ্য চিত্রে বাউল শাহ আব্দুল করিম বলেছিলেন এভাবেই- 'আমার কাছে কেউ আইয়ো না, আমার পরামর্শ কেউ লিও না, আমার নীতি বিধান তোমরা মানিও না, আমি আমার কলঙ্ক ডালা মাতাত লইলাইছি, তোমরা কলংকি অইয়ো না, এইটা কইছি আরকি। ঔত মানুষে ভালোবাসেনা, কয় গান গায় এবেটায় মরলে জানাজা মরতাম নায়, ইতা নায় হিতা নায় মুল্লা গুষ্টিয়ে কয় আরকি '। শাহ আব্দুল করিম তাঁর লিখা এবং সুর করা ' আমি কুল হারা কলঙ্কিনী' গানটির ব্যাখ্যা করছিলেন এভাবেই।  বাউল করিমের শিষ্য আব্দুল ওয়াহেদ থেকে জানা যায়, একবার ঈদ জামাত শেষ হবার পর শাহ আব্দুল করিমকে গ্রামের মোল্লারা আক্রমণ করে বসলো। বলা হলো তাকে গান ছেড়ে দিতে হবে। গান বাজনা না ছাড়লে তাকে এক ঘরে করে দেয়া হবে। পরবর্তীতে করিম গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র অর্থাৎ কালনী নদীর তীরে চলে গিয়েছিলেন যেখানে করিমের বাড়ি এবং সমাধি অবস্থিত। ৭১ টিভিতে বাউল শাহ আব্দুল করিমের ছেলে বাউল শাহ নূর জালাল এমনটাই জানিয়েছিলেন।  আমি কুল হারা কলঙ্কিনী...

চাঁদের হাসি এবং মানুষের উপলব্ধি

চাঁদ, প্রকৃতির অন্যতম সুন্দর একটি উদাহরণ। মানুষ গুন গুন করে সব সময়ই বলে, ঐ আকাশের তারায় তারায় চাঁদের জোছনায়। রূপালী চাঁদ এবং পূর্ণিমা নিয়ে এবারের ফটোগ্রাফি। চাঁদ নিয়ে বলেছেন ইঞ্জিনিয়ার মুহিত চৌধুরী। তিনি ভাবেন চাঁদকে নিয়ে, বলেছেন, 'সেদিন আকাশে শ্রাবণের মেঘ ছিল, ছিল না চাঁদ। ভোরের আকাশে সূর্যের আলো ঢেকে তোমার রক্ত মিশে গেল সমূদ্র,সমতটে।' চাঁদের হাসিতে পুলকিত হোন জয়ন্ত। চাঁদ দেখলেই তিনি আনন্দে দিশেহারা। চাঁদের আলোতে তিনি যেন উপলব্ধি করেন সাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদকে। তাই বলেই ফেললেন তাঁর উক্তি, ''জোছনা আমার অতি প্রিয় বিষয়, প্রবল জোছনা আমার মধ্যে এক ধরনের হাহাকার তৈরি করে, সেই হাহাকারের উৎস অনুসন্ধান করে জীবন পার করে দিলাম''। মাঝ রাতে চাঁদের প্রশ্ন করতে চমকে উঠলেন অনলাইন এক্টিভিস্ট অনিমেষ রহমান। চাঁদ নিয়ে বলতে গিয়ে একটু থামলেন। পরে হাসি মুখেই বলে দিলেন, "চাঁদ হলো মানুষের প্রথম প্রেম। চাঁদ-নদী-নারি আর কবিতার নাম জীবন ।" আজ আতিকুল হক'র জন্মদিন। মাঝ রাতে উইশ। আকাশে চাঁদ। জানালেন, "সবাই আলো দেখে, আমি কলংক দেখি আর সুকান্...

ছবিতে মনিপুর চা বাগান (প্রথম অংশ)

মনিপুর চা বাগানের একজন চা শ্রমিক                               ছবিতে মনিপুর চা বাগান                                            সংগ্রহ করা চা পাতা ফ্যাক্টরিতে নিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা                             চা বাগানের ভেতরের দৃশ্য                                                               ছবি: মারূফ অমিত                                        

ঘামে ভিজা বাবা পাগলের মত ফিরেছিলেন : ফ্যাক্ট ২১ আগস্ট

২১ আগস্ট ২০০৪, বিকেলে বাসায় ছিলাম। বাসায় পড়াতে একজন স্যার আসতেন। ঐদিন শনিবার ছিল, কিন্তু কি কারণে জানি উনি আসেন নি। ভেতরের রুমে বসা। মা'ও স্কুল থেকে ফিরেছেন। হঠাত করে বাবা কোথা থেকে তাড়াহুড়া করে বাসায় ফিরলেন। ঘামে উনার টিশার্ট ভিজা। মা বিছানার কোণায় হেলান দিয়ে আধো শোয়া। বাবাকে এমন অবস্থায় দেখে লাফ দিয়ে উঠে বললেন, কি হয়েছে, কি সমস্যা কি সমস্যা? বাবা হাউ মাউ করে জোরে জোরে পাগলের মত বলতে লাগলেন, সব শেষ, সব শেষ!! নেত্রীর প্রোগ্রামে বোমা মারছে। নেত্রী বেঁচে আছেন কিনা বোঝা যাচ্ছে না বলে পাগলের মত টিভি অন করলেন। সেই দিন সন্ধ্যার পর বাসার অবস্থা যেন মৃত বাড়ির মত। শুনশান, চুপচাপ। বিদেশে থাকা আত্মীয় স্বজন বারবার কল দিচ্ছেন দেশের খবর জানার জন্য কি হল।  পরদিন আমাদের পরীক্ষা ছিল বিকেলের সিফটে। ২ টা বাজে হলে ছাত্ররা বসে আছে, আমাদের পণ্ডিত স্যার হল গার্ড, ছেলেদের গেইটের পাশের তিন নম্বর রুমে আমাদের সিট। ২ টার উপরে বাজে প্রশ্ন বিতরণ হবে কিন্তু না প্রশ্ন দেওয়া হচ্ছে না, পরীক্ষা শুরু হচ্ছে না। আমার এখনো মনে আছে সাধারণ বিজ্ঞান পরীক্ষা ছিল। একটু পর স্কুলে ছুটির ঘন্টা। একদিকে চারদিকে উৎকণ্ঠা, এর ...