সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

নভেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রসঙ্গঃ খালেদা জিয়ার মুক্তি

আতাউর রহমান,লেখক কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কি প্যারোলে মুক্তি পাচ্ছেন? খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, তারা তাকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা করাতে চান। এ ক্ষেত্রে প্যারোলে হলেও খালেদা জিয়ার মুক্তি চান তারা। খালেদা জিয়ারও প্যারোলের বিষয়ে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন তারা। প্যারোল নিয়ে বিএনপি নেতারা দ্বিধাবিভক্ত হলেও নেত্রীকে মুক্ত করতে সব রকম চেষ্টা করছে তার দল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রথমে প্যারোলের আবেদনের বিষয়ে বিএনপি কিছু জানে না বললেও পরে জানান– মানবিক বিবেচনায় খালেদা জিয়ার মুক্তি চান তারা। তিনি বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি না করে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলকে ইতিবাচকভাবে ভাববার আহ্বান জানান। এখন প্রশ্ন হচ্ছে– খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তি কতটা সম্ভব? বিএনপি নেতারা বলছেন, এ ক্ষেত্রে সরকারের সদিচ্ছার ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছুই। তবে সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের বক্তব্যে খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে কৌশলী অবস্থান ফুটে ওঠে। যেমন শনিবার ময়মনসিংহের ভালুকায় এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, কারাবন্দি...

আমার স্কুল-আমাদের স্কুল

সময়টা ১৯৯৩ সাল। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এক শীতের সকালে দূরুদূরু বুকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হই। ভয়ে ভয়ে শিক্ষকরুমে গেলাম। তখনকার প্রধান শিক্ষক ছিলেন মনির স্যার। তিনি আমাদের পারিবারিক আত্বীয় ছিলেন। এই সুবাধে কাছে নিয়ে জড়িয়ে ধরলেন। আব্বাকে জিজ্ঞেস করলেন- বাচ্চা ছেলে, “গাড়িগোড়ার পথ এতো দূর আসতে পারবে’?। আব্বা বললেন- প্রতিদিন গাড়িতে তুলে দিবেন। আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে যাবে।এরপর শুরু। সুনামগঞ্জের পূর্ব পাগলা থেকে ছাতকের জাউয়া বাজার থেকে পাইগাঁও উচ্চবিদ্যালয়। বাড়ি থেকে ২০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্কুলে যেতাম। প্রতিদিন স্কুলে যেথে- এ ছিল বাবার কড়া নির্দেশ। ফাঁকি দেয়ার কোন পথ ছিলনা। প্রতিদিনই গাড়িতে তুলে দেন। বাবা বলতেন- কোনদিন যদি আমি কিংবা তোমার মায়ের মৃত্যুর খবরও স্কুলে যায় তারপরও ক্লাস শেষ করে আসবে। রোদ-বৃষ্টি মাথায় নিয়ে স্কুলে যেথে হবে। কতবার যে ছাতা হারিয়েছি, বৃষ্টিতে বই ভিজিয়েছে তার হিসেব নেই। ইচ্ছে করে নৌকা ডুবিয়েছি কতশত দিন।এক সময় সহপাঠীদের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে যায়। জাউয়া বাজার নামলেই অনেককেই পাওয়া যেতো। দল বেধে আমরা স্কুলে যেতাম। বর্ষায় কাঁদা মাড়িয়ে হেমন্তে ধুলোর সাগর পাড়ি দিয়ে আমরা স্কুলে পৌছতাম...

"সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে শিশু আইন কি বলে "

শিশু বিষয়ক সাংবাদিকতা বা শিশু সুরক্ষা সংবাদ প্রচারের সময় আমরা (সাংবাদিক) বিভিন্ন সময় ভুলবশত অথবা সংবাদ প্রচারের দক্ষতার অভাবে জন্য অত্যাচারিত বা ভিকটিম বা ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের নাম বা পরিচয় উল্লেখ করে ফেলি। এ ব্যাপার যেমন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, তেমনি ভবিষ্যত জীবনে শিশুটি সামাজিকভাবে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। আসুন জেনে নেই শিশুদের নিয়ে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে শিশু আইন কি বলে ----  শিশু আইনে সুরক্ষা : ২০১৩ সালের জুন মাসে সংসদে পাস হয়েছে শিশু আইন ২০১৩। এর আগ পর্যন্ত ১৯৭৪ সালের শিশু আইন প্রচলিত ছিল। নতুন আইনটি প্রণীত হওয়া সত্ত্বেও ৭৪ সালের আইনটিই এখন পর্যন্ত বলবৎ কারণ নতুন আইনটিকে এখন পর্যন্ত কার্যকারিতা দেয়া হয়নি। ৭৪ সালের আইনটিতেও সংবাদপত্রে শিশু অপরাধীদের পরিচয় প্রকাশসংক্রান্ত বিধিনিষেধ ছিল। নতুন আইনে সেই বিধান আরো শক্ত করা হয়েছে। ১৯৭৪ সালের আইনের ১৭ ধারা অনুসারে, ওই আইনের অধীনে পরিচালিত কোনো মামলার ব্যাপারে কোনো সংবাদমাধ্যম কোনো তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না। শুধু তাই নয়; যে শিশুর ব্যাপারে মামলা চলছে সে শিশুর ব্যাপারেও এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না যাতে তার পরিচয় প্...

রক্তে ধোয়া ১৪ ফেব্রুয়ারি, লাল সালাম

সময়টা ১৯৮৩। ১৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট্ট এক দেয়ালে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা লাল-কালো অক্ষরে বিদ্রোহ আর বেদনার মিশেলে লিখেছিল ‘দিপালী সাহার রক্ত বৃথা যেতে পারেনা’। রাত পোহাবার আগেই সামরিক সরকারের তল্পিবাহক পুলিশ বাহিনী দেয়ালে সাদা চুন টেনে মুছে ফেলে সেই স্লোগান। কিন্তু তৎকালীন ছাত্র সমাজের হৃদয় থেকে মুছতে পারেনি ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া ছোট্ট শিশু দিপালী সাহার রক্তের দাগ। যে চেতনার ভিতের উপর দাঁড়িয়ে এদেশে সংঘটিত হয়েছিল বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, নির্মিত হয়েছিল উনসত্তর-একাত্তরের  সৌধ, সেই চেতনার ভিতের উপর দাঁড়িয়ে, দিপালী-কাঞ্চনের রক্ত ছুঁয়ে নেয়া শপথ তৎকালীন ছাত্র সমাজ ব্যর্থ হতে দেয়নি। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্রদের তিনটি মৌলিক দাবী মেনে নিতে বাধ্য হয় সামরিক সরকার। যদিও সেই দাবি পূরণ করেনি সরকার। কিন্তু কি ঘটেছিল সে দিন? ফাল্গুনের আগুনরাঙা বসন্তে বাসন্তী রঙের সাথে কেন মিশে গেল মানুষের রক্ত? কেন প্রাণ দিতে হল জাফর-জয়নাল-কাঞ্চন কিংবা ছোট্ট শিশু দিপালী সাহাকে? ১৯৮২ সালে ২৪ মার্চ বৃটিশ-পাকিস্তানীদের প্রেতাত্মা রূপে ক্ষমতার মসনদে অ...

সাংবাদিকতা আলোকপাত

সাংবাদিকতা পেশা চ্যালেঞ্জিং একটি পেশা । এই পেশার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে সাংবাদিক বা সংবাদ কর্মী বলা হয়। সাংবাদিক এবং সংবাদকর্মীদের মধ্যে মূল তফাৎ অন্যদিন আলোচনা করব। কিন্তু আজকে আলোচনার মূল বিষইয় হচ্ছে সংবাদের ধরন। দেশের মফস্বল অঞ্চলের সাংবাদিকরা অনেক সময় কোন প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যান, কিভাবে একটি সংবাদ তৈরি করবেন বা একটি সংবাদ তৈরি করতে গেলে কি কি বিষয়ে খেয়াল রাখতে হইয়। বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন সংবাদ মাধ্যাম বা টিভি চ্যানেলের উপজেলা প্রতিনিধিরা সংবাদ নিউজরুমে বা বার্তা বিভাগে পাঠাতে গিয়ে সংবাদের গুণগত মান নিয়ে সম্পাদক বা বার্তা সম্পাদকের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হইয়ে থাকেন। নিচের এই আলোচনা পাঠের মূল উদ্দেশ্য'ই হলো একটি প্রতিবেদন তৈরি করার সময় কি কি সাধারণ বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে সেগুলোর উপর আলোচনা করা। প্রথমেই বলে রাখি নিচের পুরো কন্টেন্ট টি CHANGE WE NEED BLOG থেকে সিসি না কার্বন কপি নেওয়া হয়েছে। চলমান জীবনের প্রতিদিনের ইতিহাস গ্রথিত হয় সাংবাদিকতার বৈচিত্র্যময় ধারায়। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নাগরিক সভ্যতাও বিকশিত হয় সাংবাদিকতার বৈচিত্র্যময় ধারায়। ইতিহাস যেন গাছের শ...

দেশের এক মারাত্মক ব্যাধির নাম ‘ধর্ষণ

দেশের এক মারাত্মক ব্যাধির নাম ‘ধর্ষণ’। পুরো জাতি ধর্ষণের যন্ত্রণায় শিহরিত। পত্রিকার পাতায় আর টিভির পর্দায় চোখ দিলেই দেখা যায় একের পর এক অমানবিক ধর্ষণ। সারাদেশে ধর্ষণের ছোবলে যেন ক্ষতবিক্ষত পুরো অভিভাবক মহল। দেশের আনাচে কানাচে সর্বত্র যেন ধর্ষণের ভয়াল থাবায় জর্জরিত। সম্প্রতি ডা. প্রিয়াঙ্কা রেড্ডি জীবন দিতে হলো। গতকাল পশ্চিমবঙ্গের মালদায় এরকমই আরেকটি ঘটনা ঘটে গেল। এরকম প্রতি বছর হাজারো মেয়েকে অকালে দুনিয়া ছেড়ে চলে যেতে হচ্ছে। হাজারো মায়ের অশ্রুতে ভারী হয়ে উঠছে সারাদেশে। প্রিয়াঙ্কাকে ধর্ষণ-গণধর্ষণ করেই ধর্ষকেরা ক্ষান্ত হয়নি। ধর্ষিতা প্রিয়াঙ্কাকে তারা আরও বেশি ভয় করেছিলো। এতটাই যে ঐ ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে তারা অকল্পনীয় নির্মম পন্থায় মেরে ফেললো। আমরা, আমাদের দেশ, প্রিয়াঙ্কার মা, বাবা, বোন, ভাই, আত্মীয়-স্বজন তার সহকারীরা কেউই আর তার জীবন্ত মূর্তি দেখার সুযোগ পাবে না। প্রিয়াঙ্কা তার সাহসিকা মূর্তি নিয়ে আজ পরপারে। নীরবে, নিভৃতে, এবং হয়তো বা সমাজের প্রতি ঘৃণার বোধ নিয়ে সেই অজানা অচেনা বিশ্বে বাস করতেও শুরু করেছে। হ্যাঁ, আমরা ঘৃণার পাত্র। আমরা আমাদের কাজে প্রতিনিয়ত তার পরিচয় দিচ্ছি। একজ...

একজন বাউলের কথা

সুনামগঞ্জের হাওরবেষ্টিত এক প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামের রাখাল বালক থেকে খ্যাতির শিখরে পৌঁছেছিলেন তিনি। ১৯১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি জন্মেছিলেন আর বাংলা বাউল গানকে অভিভাবহীন করে চলে গেছেন ২০০৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর। সুদীর্ঘ এই জীবনে সমৃদ্ধ করে গেছেন বাংলা গানের ভান্ডার। ২০০১ সালে একুশে পদকে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। মানুষটাকে আমরা চিত্রিত করেছি গ্রামবাংলার এক বাউল হিসেবে, যে কিনা গান গায়, তাঁর গানে প্রেম, নিঃসঙ্গতা, সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভালোবাসা, অনুযোগ কিংবা ভালোবেসে প্রচন্ড কষ্ট পাওয়ার হতাশাটুকু ফুটে উঠেছে ঝলমলিয়ে। বলছি শাহ আব্দুল করিমের কথা। আমরা তাঁর গুণগ্রাহীরা তাকে ‘বাউল সম্রাট’ হিসেবে জানি এবং মানি। মানুষ আব্দুল করিম কেমন ছিলেন? তাঁর ভাবাদর্শ কেমন ছিল? তাঁর চেতনায় কোন সমাজের-পৃথিবীর স্বপ্ন খেলা করত? এসব আমাদের ভাবার অবসর হয়নি কখনও। তাঁর গানগুলোকে আমরা বিশ্লেষণ করেছি শুধু প্রেমের ভাবধারায়। অথচ কী গভীর দর্শনভাবনা তাঁর গানে লুকায়িত, তা আমরা খুঁজে দেখিনি। অথচ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গান গেয়েই সারাজীবন কাটিয়ে দেয়া শাহ করিম শুধু বাউল ছিলেন না, ছিলেন আপাদমস্তক একজন সাম্যবাদী। হাল জমানার সমাজ-সংস্কা...

ভালোবাসার ফেঞ্চুগঞ্জ (প্রথম পর্ব)

আকাশে রূপালী চাঁদের ভরা পূর্ণিমা। টিলাঘেরা ফেঞ্চুগঞ্জ সারকারখানার পাশেই মনিপুর চা বাগানের ব্রিজে কত রাত পার হয়েছে আড্ডা হৈ হুল্লোড়ে।  সারকারখানার মাঠের পাশের প্যাভিলিয়নে সন্ধ্যা ৭ অথবা ৮ টা অব্দি আড্ডা। কিছুক্ষণ পর বন্ধু কোমল নিয়ে আসলো গিটার, কল করে বন্ধু প্রদ্বীপকে বললাম দ্রুত চলে আয় গানের আসর হবে৷ বাজারের মসজিদের কোণায় দুলালের চায়ের দোকান। সেখান থেকে ঢু মেরে এসে বাগানের ব্রিজে বা মাঠের কোণায়। রাত ক'টা বাজে সেদিকে কোন খেয়াল নেই, চলছে আসর।একে একে মুহিত, জিহান, পল্লব, শিপন সাইফুল, রিজন,  শুভ, ফয়সল, সমর, ছোট ভাই মাজহারুল, ফাহিম সহ অনেকেই এসে হাজির। একের পর এক বাউল গানে মাতোয়ারা সবাই। স্মৃতি কাতর হয়ে ডুবে গিয়েছিলাম আমার শৈশব,কিশোর যৌবনের সাক্ষী সেই চা পাতার ভীড়ে। এই চা বাগানের প্রতিটি ধূলিকণার সাথে কথা বলেছি, মিশেছি। ভালো না লাগা মানেই চা বাগানে লক্কু দাদার টং দোকানে। সেখানে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা। চা বাগানের মন্দিরের সামনে থাকা টং দোকান গুলোর আড্ডা প্রতি বিকেলেই ভীষণ অনুভব করি। ঈদ বা পূজার ছুটিতে স্কুলের বন্ধু বান্ধব সবাই একসাথে বাগানের চা ফ্যাক্টরির পাশের পুকুরে দাপাদাপি। চোখের...

বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং সমসাময়িক কথা

"বাংলাদেশ ক্রিকেট", শব্দ দুটো শুনলেই আমাদের প্রাণে যেন একধরনের আশার সঞ্চার হয়, চোখে ভাসতে থাকে লাল সবুজ রঙের জার্সি পরা  মাশরাফি মুশফিক সাকিবের মুখের প্রতিচ্ছবি। তৈরি হয় অন্য রকম এর আবেগ। কিকেটাররা যখন মাঠে থাকেন তখন প্রায় ১৭ কোটি মানুষের চোখ থাকে ২২ গজের দিকে। যখন কোন ম্যাচে বাংলাদেশ ক্রিকেট টিম জিতে যায় তখন সংবাদ মাধ্যম গুলোতে চোখ বুলাতে অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে। আমরা যারা প্রবাসে থাকি, বিভিন্ন দেশে যারা ঘুরে বেড়াই অন্য কোন দেশ জাতির সাথে পরিচয় দিতে সবার আগে ক্রিকেট দিয়ে পরিচয় দেই। বিশ্বব্যাপী আমাদের এই ৫৬ হাজার বর্গমাইল ভূখন্ডকে মানুষ চিনেছে'ই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। লাল সবুজের জাতির পরিচয় পর্বের অন্যতম একটি দিক হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং সেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে যদি বিশেষ একটি নাম উচ্চারণ হয় সেটি হচ্ছে সাকিব আল হাসান। ইদানিং বাংলাদেশ ক্রিকেট খুব সুখকর অবস্থার মধ্য দিয়ে সময় পার করছে না। একের পর এক ঝামেলা। গত ২১ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে ১১ দফা দাবী নিয়ে ধর্মঘটের ডাক দিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দাবী গুলোর প্রথমটিতে ছিল "ক্রিকেটাররা সম্মান পান না"। বাংলাদ...