শিশু বিষয়ক সাংবাদিকতা বা শিশু সুরক্ষা সংবাদ প্রচারের সময় আমরা (সাংবাদিক) বিভিন্ন সময় ভুলবশত অথবা সংবাদ প্রচারের দক্ষতার অভাবে জন্য অত্যাচারিত বা ভিকটিম বা ক্ষতিগ্রস্ত শিশুদের নাম বা পরিচয় উল্লেখ করে ফেলি। এ ব্যাপার যেমন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়, তেমনি ভবিষ্যত জীবনে শিশুটি সামাজিকভাবে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। আসুন জেনে নেই শিশুদের নিয়ে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে শিশু আইন কি বলে ----
শিশু আইনে সুরক্ষা : ২০১৩ সালের জুন মাসে সংসদে পাস হয়েছে শিশু আইন ২০১৩। এর আগ পর্যন্ত ১৯৭৪ সালের শিশু আইন প্রচলিত ছিল। নতুন আইনটি প্রণীত হওয়া সত্ত্বেও ৭৪ সালের আইনটিই এখন পর্যন্ত বলবৎ কারণ নতুন আইনটিকে এখন পর্যন্ত কার্যকারিতা দেয়া হয়নি। ৭৪ সালের আইনটিতেও সংবাদপত্রে শিশু অপরাধীদের পরিচয় প্রকাশসংক্রান্ত বিধিনিষেধ ছিল। নতুন আইনে সেই বিধান আরো শক্ত করা হয়েছে। ১৯৭৪ সালের আইনের ১৭ ধারা অনুসারে, ওই আইনের অধীনে পরিচালিত কোনো মামলার ব্যাপারে কোনো সংবাদমাধ্যম কোনো তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না। শুধু তাই নয়; যে শিশুর ব্যাপারে মামলা চলছে সে শিশুর ব্যাপারেও এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না যাতে তার পরিচয় প্রকাশ পেয়ে যায়। তবে যে আদালত বিচারকার্য পরিচালনা করছেন, সেটির বিচারক যদি মনে করেন যে বিচারকার্যে জড়িত শিশুর পরিচয় প্রকাশ করা যেতে পারে এবং এতে শিশুর ক্ষতির পরিবর্তে বরং কল্যাণ হতে পারে, সে ক্ষেত্রে তিনি তার নাম ও পরিচয় প্রকাশের অনুমতি দিতে পারেন।
২০১৩ সালে প্রণীত নতুন আইনের ৮১ ধারায় সংবাদমাধ্যম কর্তৃক কোনো গোপন তথ্য প্রকাশের দ- প্রদান সংক্রান্ত বিধান বলা হয়েছে। এই ধারা অনুসারে, শিশু আইনের অধীনে বিচারাধীন কোনো মামলা বা বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো শিশুর স্বার্থের পরিপন্থী এমন কোনো প্রতিবেদন, ছবি বা তথ্য প্রকাশ করা যাবে না যার মাধ্যমে শিশুটিকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শনাক্ত করা যায়। কোনো ব্যক্তি এই বিধান লঙ্ঘন করলে তা আইনের অধীনে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং এই অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক এক বছর কারাদ- কিংবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- অথবা উভয়দ-ে দ-িত হতে পারেন। কোনো কোম্পানি, সমিতি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান এই বিধান লঙ্ঘন করলে সেই কোম্পানি, সমিতি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন অনধিক দুই মাসের জন্য স্থগিত রাখাসহ সেটিকে অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। আগের আইনে বিশেষ অবস্থা বিবেচনায় আদালত নাম-পরিচয় প্রকাশের অনুমতি দিতে পারলেও নতুন আইনে সেই বিধান রাখা হয়নি। সুতরাং, কোনোক্রমেই শিশু আদালতের বিচারকাজ এবং বিচারকাজে জড়িত শিশুদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না নতুন আইনটি বলবৎ হলে।
জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইনে সুরক্ষা : ২০১১ সালের জুন মাসে 'হুইসেলবেস্নায়ার' বা 'জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন, ২০১১' জাতীয় সংসদে পাস হয়। আইনটির উদ্দেশ্য হলো, জনস্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে কোনো ব্যক্তি যদি সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কোনো কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করেন, তাকে বিশেষ সুরক্ষা প্রদান। দেশের সুশীল সমাজ এটিকে একটি 'যুগান্তকারী আইন' হিসেবে অভিহিত করেন। আইনের ২(৪) ধারায় সরকারি অর্থের অনিয়মিত ও অননুমোদিত ব্যয়; সরকারি সম্পদের অব্যবস্থাপনা; সরকারি সম্পদ বা অর্থ আত্মসাৎ বা অপচয়; ক্ষমতার অপব্যবহার বা প্রশাসনিক ব্যর্থতা; ফৌজদারি অপরাধ বা বেআইনি বা অবৈধ কার্য সম্পাদন; জনস্বার্থ, নিরাপত্তা বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বা ঝুঁকিপূর্ণ বা কোনো কার্যকলাপ; অথবা দুর্নীতিবিষয়ক তথ্য 'জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট তথ্য' বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। সরকারি চাকরিতে কর্মরত ব্যক্তির জন্য এসব তথ্য প্রদান করা জনস্বার্থে বৈধ করা হয়েছে। যিনি জনস্বার্থে এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করেন, তাকে 'হুইসেলবেস্নায়ার' বলা হয়। প্রায়ই সংবাদমাধ্যমে 'নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক' হিসেবে এ ধরনের ব্যক্তিদের রেফারেন্স দিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়ে থাকে। হুইসেলবেস্নায়ার হওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তাই এ ধরনের ব্যক্তিদের সুরক্ষা প্রদান আবশ্যক। এ কারণে তাদের পরিচয় গোপন রাখার বিধানও আইনে রয়েছে। আইনের ৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো তথ্য প্রকাশকারী জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো সঠিক তথ্য প্রকাশ করলে ওই ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া তার পরিচিতি প্রকাশ করা যাবে না। আরো বিধান রয়েছে তথ্য প্রকাশকারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি, দেওয়ানি, বিভাগীয় মামলা দায়ের বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনোরূপ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞার। তবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ করে কাউকে হয়রানি করলে তথ্য প্রকাশকারীর বিরুদ্ধে শাস্তির বিধানও আইনে রয়েছে।
বাংলাদেশে আইনের প্রয়োগ : বাংলাদেশে এসব আইনের প্রয়োগ তেমন একটা নেই বললেই চলে। মূলত আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং সরকারের তরফ থেকে আইন প্রয়োগের উদ্যোগহীনতাই এর বড় কারণ। তবে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমগুলো এসব আইনের ব্যাপারে কিছুটা যত্নবান হওয়া শুরু করেছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ছবি প্রকাশের ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্কতা লক্ষণীয়। যেমন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সুরক্ষাপ্রাপ্ত অপরাধী ও ভিকটিমদের ছবি প্রকাশের ক্ষেত্রে ছবিকে অনেক সময় স্পষ্ট করে দেয়ার প্রক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। তবে এতটুকুই যথেষ্ট নয়। আইনের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য সুরক্ষিত ব্যক্তিদের পরিচয় সম্পূর্ণভাবে গোপন রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। আশার ব্যাপার এই যে, গত ২৫ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ক্যামেরা ট্রায়ালের প্রতিবেদন প্রকাশ করায় দুটি সংবাদপত্রকে কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদান করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪(১) এবং ২০ (৬) ধারার লঙ্ঘন করায় এই নোটিস পাঠানো হয়। এ ধরনের উদ্যোগ এ সংক্রান্ত আইনের প্রয়োগে ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।
সহায়ক গ্রন্থ এবং আইন সংগ্রহ - "আমার ডায়েরি"
লিখেছেন- চৌধুরী মারূফ (Chowdhury Maruf), সাংবাদিক (Journalist)
শিশু আইনে সুরক্ষা : ২০১৩ সালের জুন মাসে সংসদে পাস হয়েছে শিশু আইন ২০১৩। এর আগ পর্যন্ত ১৯৭৪ সালের শিশু আইন প্রচলিত ছিল। নতুন আইনটি প্রণীত হওয়া সত্ত্বেও ৭৪ সালের আইনটিই এখন পর্যন্ত বলবৎ কারণ নতুন আইনটিকে এখন পর্যন্ত কার্যকারিতা দেয়া হয়নি। ৭৪ সালের আইনটিতেও সংবাদপত্রে শিশু অপরাধীদের পরিচয় প্রকাশসংক্রান্ত বিধিনিষেধ ছিল। নতুন আইনে সেই বিধান আরো শক্ত করা হয়েছে। ১৯৭৪ সালের আইনের ১৭ ধারা অনুসারে, ওই আইনের অধীনে পরিচালিত কোনো মামলার ব্যাপারে কোনো সংবাদমাধ্যম কোনো তথ্য প্রকাশ করতে পারবে না। শুধু তাই নয়; যে শিশুর ব্যাপারে মামলা চলছে সে শিশুর ব্যাপারেও এমন কোনো তথ্য প্রকাশ করা যাবে না যাতে তার পরিচয় প্রকাশ পেয়ে যায়। তবে যে আদালত বিচারকার্য পরিচালনা করছেন, সেটির বিচারক যদি মনে করেন যে বিচারকার্যে জড়িত শিশুর পরিচয় প্রকাশ করা যেতে পারে এবং এতে শিশুর ক্ষতির পরিবর্তে বরং কল্যাণ হতে পারে, সে ক্ষেত্রে তিনি তার নাম ও পরিচয় প্রকাশের অনুমতি দিতে পারেন।
২০১৩ সালে প্রণীত নতুন আইনের ৮১ ধারায় সংবাদমাধ্যম কর্তৃক কোনো গোপন তথ্য প্রকাশের দ- প্রদান সংক্রান্ত বিধান বলা হয়েছে। এই ধারা অনুসারে, শিশু আইনের অধীনে বিচারাধীন কোনো মামলা বা বিচার কার্যক্রম সম্পর্কে প্রিন্ট বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো শিশুর স্বার্থের পরিপন্থী এমন কোনো প্রতিবেদন, ছবি বা তথ্য প্রকাশ করা যাবে না যার মাধ্যমে শিশুটিকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে শনাক্ত করা যায়। কোনো ব্যক্তি এই বিধান লঙ্ঘন করলে তা আইনের অধীনে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে এবং এই অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অনধিক এক বছর কারাদ- কিংবা ৫০ হাজার টাকা অর্থদ- অথবা উভয়দ-ে দ-িত হতে পারেন। কোনো কোম্পানি, সমিতি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান এই বিধান লঙ্ঘন করলে সেই কোম্পানি, সমিতি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন অনধিক দুই মাসের জন্য স্থগিত রাখাসহ সেটিকে অনধিক দুই লাখ টাকা জরিমানা করা যাবে। আগের আইনে বিশেষ অবস্থা বিবেচনায় আদালত নাম-পরিচয় প্রকাশের অনুমতি দিতে পারলেও নতুন আইনে সেই বিধান রাখা হয়নি। সুতরাং, কোনোক্রমেই শিশু আদালতের বিচারকাজ এবং বিচারকাজে জড়িত শিশুদের নাম পরিচয় প্রকাশ করা যাবে না নতুন আইনটি বলবৎ হলে।
জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইনে সুরক্ষা : ২০১১ সালের জুন মাসে 'হুইসেলবেস্নায়ার' বা 'জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইন, ২০১১' জাতীয় সংসদে পাস হয়। আইনটির উদ্দেশ্য হলো, জনস্বার্থ রক্ষার লক্ষ্যে কোনো ব্যক্তি যদি সরকারি-বেসরকারি সংস্থার কোনো কর্মকর্তার অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ করেন, তাকে বিশেষ সুরক্ষা প্রদান। দেশের সুশীল সমাজ এটিকে একটি 'যুগান্তকারী আইন' হিসেবে অভিহিত করেন। আইনের ২(৪) ধারায় সরকারি অর্থের অনিয়মিত ও অননুমোদিত ব্যয়; সরকারি সম্পদের অব্যবস্থাপনা; সরকারি সম্পদ বা অর্থ আত্মসাৎ বা অপচয়; ক্ষমতার অপব্যবহার বা প্রশাসনিক ব্যর্থতা; ফৌজদারি অপরাধ বা বেআইনি বা অবৈধ কার্য সম্পাদন; জনস্বার্থ, নিরাপত্তা বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বা ঝুঁকিপূর্ণ বা কোনো কার্যকলাপ; অথবা দুর্নীতিবিষয়ক তথ্য 'জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট তথ্য' বলে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। সরকারি চাকরিতে কর্মরত ব্যক্তির জন্য এসব তথ্য প্রদান করা জনস্বার্থে বৈধ করা হয়েছে। যিনি জনস্বার্থে এ ধরনের তথ্য প্রকাশ করেন, তাকে 'হুইসেলবেস্নায়ার' বলা হয়। প্রায়ই সংবাদমাধ্যমে 'নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক' হিসেবে এ ধরনের ব্যক্তিদের রেফারেন্স দিয়ে বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়ে থাকে। হুইসেলবেস্নায়ার হওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তাই এ ধরনের ব্যক্তিদের সুরক্ষা প্রদান আবশ্যক। এ কারণে তাদের পরিচয় গোপন রাখার বিধানও আইনে রয়েছে। আইনের ৫ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো তথ্য প্রকাশকারী জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট কোনো সঠিক তথ্য প্রকাশ করলে ওই ব্যক্তির সম্মতি ছাড়া তার পরিচিতি প্রকাশ করা যাবে না। আরো বিধান রয়েছে তথ্য প্রকাশকারীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি, দেওয়ানি, বিভাগীয় মামলা দায়ের বা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনোরূপ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর নিষেধাজ্ঞার। তবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভিত্তিহীন তথ্য প্রকাশ করে কাউকে হয়রানি করলে তথ্য প্রকাশকারীর বিরুদ্ধে শাস্তির বিধানও আইনে রয়েছে।
বাংলাদেশে আইনের প্রয়োগ : বাংলাদেশে এসব আইনের প্রয়োগ তেমন একটা নেই বললেই চলে। মূলত আইন সম্পর্কে অজ্ঞতা এবং সরকারের তরফ থেকে আইন প্রয়োগের উদ্যোগহীনতাই এর বড় কারণ। তবে সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমগুলো এসব আইনের ব্যাপারে কিছুটা যত্নবান হওয়া শুরু করেছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের ছবি প্রকাশের ক্ষেত্রে কিছুটা সতর্কতা লক্ষণীয়। যেমন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সুরক্ষাপ্রাপ্ত অপরাধী ও ভিকটিমদের ছবি প্রকাশের ক্ষেত্রে ছবিকে অনেক সময় স্পষ্ট করে দেয়ার প্রক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। তবে এতটুকুই যথেষ্ট নয়। আইনের পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য সুরক্ষিত ব্যক্তিদের পরিচয় সম্পূর্ণভাবে গোপন রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। আশার ব্যাপার এই যে, গত ২৫ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ক্যামেরা ট্রায়ালের প্রতিবেদন প্রকাশ করায় দুটি সংবাদপত্রকে কারণ দর্শানোর নোটিস প্রদান করেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৪(১) এবং ২০ (৬) ধারার লঙ্ঘন করায় এই নোটিস পাঠানো হয়। এ ধরনের উদ্যোগ এ সংক্রান্ত আইনের প্রয়োগে ভালো ভূমিকা রাখতে পারে।
সহায়ক গ্রন্থ এবং আইন সংগ্রহ - "আমার ডায়েরি"
লিখেছেন- চৌধুরী মারূফ (Chowdhury Maruf), সাংবাদিক (Journalist)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন