সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মে, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন এবং সাংবাদিক নির্যাতন

কথা বলছিলাম একজন সাংবাদিকের সাথে। ২০১৫ সালের কথা, যিনি সিলেট বিভাগের জাতীয় এবং স্থানীয় অনলাইন জার্নাল এবং প্রিন্ট পত্রিকার প্রতিনিধি। কথার প্রসঙ্গে চলে আসলো একটি মামলার প্রসঙ্গ। তিনি জানালেন, ২০১৫ সালে তিনি পরিবেশ নিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। এই সংবাদ প্রকাশ করার পর তার বিরুদ্ধে সামাজিক শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট করার অভিযোগে মিথ্যা মামলা হয়েছিল। রাতের আঁধারে সাদা পোষাকের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী থানায় তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। তাকে অহেতুক হেরেসমেন্ট করা হয়েছিল সেই দিন রাতে থানায়। এখনো তিনি সেই মামলার কারণে কোর্টে রেগুগার হাজিরা দিতে হচ্ছে। এই হচ্ছে আমাদের স্থানীয় সাংবাদিকের জীবন। ৬ এপ্রিল ২০১৩ সালের কথা মনে আছে!  ঢাকায় পেশাগত কর্তব্যে নিয়োজিত নারী সাংবাদিকদের ওপর হেফাজতে ইসলামের সমর্থকদের হামলার কথা আরও একবার স্মরণ করলাম। এ হামলা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত এবং সাংবাদিকদের তথ্য-অধিকারের ওপর নগ্ন হস্তক্ষেপ। বাংলাদেশে ইদানিং ডিজিটাল সিকিউরিটি এক্টের কালো থাবায় জর্জরিত সাংবাদিক মহল। শুধু সাংবাদিক নন, লেখক, ব্লগার, আলোকচিত্রী কেউ নিরাপদ নন। ইদানিং কোভিড ১৯ কালীন অবস্থায় বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে ...

হবিগঞ্জ যেন মগের মুল্লুক!

আইসিটি আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে হবিগঞ্জ থেকে প্রকাশিত দৈনিক আমার হবিগঞ্জ পত্রিকার  প্রকাশক ও সম্পাদক সুশান্ত দাশ গুপ্তকে। সকাল থেকেই আসলে বিক্ষপ্ত অবস্থায়।  লিখবো কি লিখবো না খুবই  দ্বিধান্বিত ছিলাম। কারণ পক্ষে বিপক্ষে অনেকেই লেখছেন।  তাঁর মুক্তি দাবী করছেন দেশে বিদেশে অনেকেই। পুলিশের কাজ পুলিশ করেছে। অপরাধ করলে আটক করবে সেটাই স্বাভাবিক নিয়ম। মাত্রই দুইদিন আগে এক টেলিভিশন টকশোতে আইসিটি আইন নিয়ে কথা বলছিলাম, আমার সহ আলোচক এইটি কালো আইন, বাতিল করতে হবে এই দাবীতে কথা বলছিলেন। আমি বলেছিলাম যারা  সংসদে আইন প্রণয়ণ করেন তাঁরা নিশ্চয় দেশ এবং জাতির কল্যাণের জন্যই আইনগুলো  পাশ করেন। তবে ভয়ের জায়গাটা হচ্ছে এর প্রয়োগ নিয়ে। উদাহরণ হিসাবে গুজব এবং সমালোচনার বিষয় নিয়ে কথা হচ্ছিল। গুজব প্রতিরোধে এই জাতীয় একটা আইনের হয়তো প্রয়োজনীয়তা রয়ে গেছে কিন্ত সমালোচনার জন্য নিশ্চয় এই আইনটি ব্যবহার হবে না। দুইদিন না যেতেই সেই অপপ্রয়োগটা দেখতে পেলাম আবারো। মামলার আবেদন এবং আদালতে দেয়া পুলিশের প্রতিবেদনগুলোর জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আসলে জানতে চাইছিলাম আমার হবি...

কালনীর জলে নিভে যাক যত অশুভ আগুন

উজানধল গ্রাম এখন খুব পরিচিত একটি গ্রামের নাম। বাউল শাহ আবদুল করিমের গ্রাম উজানধল। কালনী নদীর তীরে এই গ্রাম। এই নদীর জলে, এই গ্রামের সবুজ ছায়ায়, হাওরের বিস্তীর্ণ প্রান্তরের হাওয়ায় বাউল হয়েছিলেন করিম। এই গ্রামেরই তার শিষ্য রণেশ ঠাকুরের গানের ঘরে আগুন দেওয়া হয়েছে। এ আগুন তো দেওয়া হল বাংলার বাউল চেতনার ঘরে। কিন্তু এই চেতনা, চিন্তা কি আগুনে পুড়ে? রুহি ঠাকুর ও রণেশ ঠাকুর দুই ভাই। তারা সারাজীবনই শুদ্ধভাবে গেয়েছেন করিমের গান। রুহি ঠাকুর বেঁচে নেই। রণেশ ঠাকুর এখনো গেয়ে চলেছেন গান। করিমের গান। তাঁদের পিতা ছিলেন উজানধলের কীর্তনীয়া। তাদের পাশের বাড়িই হচ্ছে বাউল শাহ আবদুল করিমের বাড়ি। তাই স্বাভাবিক ভাবেই গানের প্রতি তাদের অনুরাগ। গ্রহণ করেছিলেন বাউল করিমের শিষ্যত্ব। গানই রণেশ ঠাকুরের ধ্যান, সবকিছু। করিমের সেই গানেরই মত “আর কিছু চায় না মনে গান ছাড়া"। গানই তার নেশা ও পেশা। তাই বোধহয় গানের জন্য তার আলাদা ঘর। গানঘর। সেই ঘরে রাখা ছিল তার বাদ্যযন্ত্র ও গানের বই। সেই সাধনার গানঘর কেউ জ্বালিয়ে দিতে পারে এটা ভাবাই যায় না। খবরে প্রকাশ, ঘরের একপাশে দুটো ভেড়া ছিল। এগুলো বের করে দিয়ে আগুন ধরানো হয়েছে। বু...

মানবতার দেশের জনজীবন

থমকে যাওয়া জীবন যেন ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে ফ্রান্সে। গত ১১ মে লক-ডাউন শিথিল হবার পর থেকে মানুষ বেরিয়েছেন ,কাজে যাচ্ছেন, জীবনের তাগিদে ছুটছেন কর্মের পিছনে। ফ্রান্সের বুল-বার্ড (চৌরাস্তা) গুলোর মোড়ে মোড়ে বাড়তে শুরু করেছে জনসমাগম। ১৬ মে স্থানীয় সময়ে বিকেল ৭ টায় অভারভিলা শহরের এন্দ্রি কারমান বাস স্টপে কথা হচ্ছিল ফ্রান্সে বসবাস করা বাংলাদেশের কুলাউড়া উপজেলার এস কে হোসাইন রাহাতের সাথে। কুশল বিনিময়ের প্রসঙ্গে তিনি জানালেন, গত ১২ মে থেকে উনার কাজ শুরু হয়েছে। ফ্রান্সের পর্যটন খ্যাত এলাকা এনভার্সের একটি রেস্টুরেন্টে তিনি কাজ করেন। তিনি জানালেন তিনি যে রেস্টুরেন্টে কাজ করেন সেখানে শুধু পার্সেল সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে খাবারের। সে জন্য তাকে কাজে যেতে হচ্ছে। ফ্রান্স সরকারের নিকট থেকে যে প্রণোদনা সুবিধা পাচ্ছেন বিভিন্ন রেস্টুরেন্টের কর্মচারীরা, তা তিনি পাবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি জানালেন, "হয়তো" পাবেন। কিন্তু তার রেস্টুরেন্টের মালিক এখন পর্যন্ত কোন কিছু কনফার্ম করেন নি।  ১৫ মে গিয়েছিলাম ফ্রান্সের সাইন্স ইন্ড্রাস্টি খ্যাত পর্যটন এলাকা 'পার্ক দ্যু পখ দ'লা ভিলা' তে। দেখা গেলো ...

প্রসঙ্গঃ চাল চোর

প্রবাদ-প্রবচনে ফুটে ওঠে কোনো জাতির স্বভাব-চরিত্র-বৈশিষ্ট্য। আমাদের জাতিগত বৈশিষ্ট্যও খুঁজে পাওয়া যায় বিভিন্ন প্রবাদ-প্রবচনে। তেমনই একটি প্রবাদ হচ্ছে: ‘চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা যদি না পড় ধরা’। এই প্রবাদটি অন্য কোনো ভাষায় আছে বলে মনে হয় না। এটা শুধু বাংলাতেই আছে। আর একথাও কবুল করা ভাল যে, এই বিদ্যায় কোনো কোনো বাঙালির ব্যুৎপত্তি প্রশ্নাতীত। বাবার পকেটের টাকা, প্রতিবেশীর গাছের আম-জাম-পেয়ারা-লিচু দিয়ে শুরু হলেও বাঙালি পুকুরচুরিতেও পাকা। চুরির বস্তু হিসেবে পুকুরও এখন বড় কিছু নয়। খাল-বিল, হাওর-বাঁওড়, বনভূমি, নদী ও পাহাড় পর্যন্ত চুরি হচ্ছে। সোনাদানা তো অতি ছোটো বস্তু। তবে আমাদের দেশে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি যা চুরি হয়—তা হলো টাকা। অবশ্য চুরি না বলে একে ‘হাতিয়ে নেওয়া’ বলাই ভাল। এর কারণ কী? এর সহজ উত্তর হচ্ছে, টাকা নেই বলেই চোর চুরি করে! তবে সব চোর যে টাকা নেই বলেই চুরি করে—তা কিন্তু নয়। অনেকেই আছে, চুরি করা যাদের স্বভাব। চুরি ছাড়া যারা থাকতে পারে না। তেমন কিছু চোরের আবির্ভাব ঘটেছে করোনাভাইরাসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। এরা হচ্ছে চাল চোর। অনেকেই বলাবলি করছেন যে, দেশে এখন করোনাভাইরাস রোগীর চেয়ে চাল চোর ব...

ব্যাকলগে করোনার প্রকৃত চিত্র ওঠে আসছে না

আজ করোনা শনাক্তের সংখ্যা এসেছে ১০৩৪ জন। আগামীকাল যদি এই সংখ্যা হঠাৎ করেই ৫৩৪ জনে নেমে আসে তাহলেও মোটেও আশ্চর্য হবো না। কিংবা আগামী পরশু এই সংখ্যা বেড়ে যদি আবার অকস্মাৎ ১১৩৪ জনে ওঠে তাহলেও আমাদের মতো আমজনতার আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। শনাক্তের সংখ্যার গ্রাফের এই নিয়মিত ও অবধারিত ফ্লাকচুয়েশন পৃথিবীর আর কোন দেশে হয়েছে বা হচ্ছে বলে আমাদের জানা নেই। অন্যান্য দেশগুলোতে আমরা দেখছি গ্রাফ যখন উপরে উঠছে তখন একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত উপরেই উঠছে তারপর যখন নিচে নামা শুরু হচ্ছে তখন আস্তে আস্তে নিচের দিকেই নামছে। করোনা ভাইরাসের এখন পর্যন্ত প্রায় তিনশত রকমের স্ট্রেইন আবিস্কৃত হয়েছে, একেক অঞ্চলে একেক স্ট্রেইনের প্রাদুর্ভাব বেশি। একেক দেশে গিয়ে একেকরকম আচরণ করছে করোনা ভাইরাস! তবে আমাদের করোনা রোগী শনাক্তের হারে এই ফ্লাকচুয়েশনের জন্য করোনার এই আচরণ পরিবর্তন দায়ী নয় বরং আমাদের নিজেদের আচরণ পরিবর্তনই এই ফ্লাকচুয়েশনের জন্য দায়ী। বস্তুত: আমাদের দেশে করোনা যতটা না পরিবর্তিত হচ্ছে তার চেয়ে বেশি পরিবর্তিত আচরণ করছি আমরা! কখনো খুলছি, কখনো বন্ধ করছি আবার কখনো বন্ধ করছি কখনো খুলছি! আমাদের কাছে জীবনের চেয়ে জীব...

একজন ব্লগার হত্যাকাণ্ডের সালতামামি

১. ২০১১ সাল। কক্সবাজার ট্যুরে গিয়েছিলাম। সাথে আমার শিক্ষক সাংবাদিক অহী আলম রেজা। ট্রেনের সিডিউল ভয়াবহ বিপর্যয়। চট্রগ্রাম থেকে সিলেট ফিরলাম ১০ ঘন্টা লেইট ট্রেনে করে। ট্রেনে করে ফেরার সময় অনন্ত বিজয় দাশের সাথে প্রথম পরিচয়৷ মূলত আমি এবং অহী আলম রেজা স্যার ড.হুমায়ুন আজাদ স্যারকে নিয়ে আলোচনা করছিলাম। কথার প্রসঙ্গ বসত অনন্ত বিজয় আমাদের সাথে যোগ দিয়েছিলেন আলোচনায়, সেই থেকে পরিচয়৷ ২০১৫ সাল। সকালে ঘুম থেকে উঠলাম আনুমানিক ৮ টার দিকে। নিউজের কাজ শুরু করব। এক বড় ভাই কল দিয়ে বললেন সিলেট শহরের সুবিদ বাজার এলাকায় নাকি একজন লেখক খুন হয়েছেন, জানি নাকি কিছু! সাথে সাথে কল দিলাম আমার পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদককে। কল রিসিভ করেই তিনি দ্রুত সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে যেতে বললেন। ১৫ মিনিটের মধ্যেই চলে গেলাম। হায়! স্ট্রেচারে নিথর দেহ পড়ে আছে ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশের। দুদিন আগেও যার সাথে দেখা হয়েছে, আড্ডা হয়েছে তার রক্তাক্ত নিথর দেহ। খুনিদের চাপাতির আঘাতে থেঁথলে যাওয়া মাথা থেকে টপ টপ করে তাজা রক্ত এখনো পড়ছে!  কি ভয়াবহ করুণ দৃশ্য! ২. আজ ১২ মে। ২০১৫ সালের এই দিনে স...

বিলেতের বাঙালিদের কমজাত বেশীজাত !

করোনা কালীন কোয়ারেন্টাইন,  নির্বিঘ্ন ছিলনা, তবে নিরিবিলি  ছিল খুব।  সুহৃদ,  স্বজন,  দেশে বিদেশে অনেকেই খোঁজ খবর নিয়েছেন। দেশে মা বাবার সাথে রুটিন করে প্রতিদিন ভিডিও কলে কথা চলছে।   এই সুযোগে  শশুর বাড়ির লোকজনের  সাথে ও নতুন করে আত্মীয়তা  জ্বালাই হচ্ছে। কিন্তু সেই নিরিবিলি জীবন যাপনে হানা দিলেন মাহি ফেরদৌস জলিল।  মাহি ফেরদৌস জলিল  সাহেব  ব্যবসায়ী মানুষ। বেশ টাকা পয়সার মালিক। মাহি ফেরদৌস  নিয়ে বহু সমালোচনা  আছে। তিনি জেল খাটা মানুষ। তার  বিভিন্ন আর্থিক কেলেংকারী  নিয়ে সমালোচনা  আছে। বিবিসি এই নিয়ে একটা দীর্ঘ সাক্ষাতকার  ছাপিয়েছিল। তিনি সেখানে আত্মপক্ষ  সমর্থন করে উত্তর দিয়েছিলেন। কিন্ত উনি যে কারণে  বেশী আলোচিত  সমালোচিত  সেটি হলো উনার টেলিভিশন  চ্যানেল ,  চ্যানেল এস এর কারণে।  আর দ্বিতীয়ত  উনার মুখের কারণে।  আবেগ দিয়ে বিচার হয়না, এই বিষয়টা হয়তো উনি মনে রাখেন না।  তিনি নিজেই মাঝে মাঝে লাইভে ও বলেন " আমি  দুধে ধোয়া তুলসীপাতা  না "।...

ডিজিটাল মগজধোলাই

কাউকে বার বার বোঝাতে বোঝাতে কোন কিছুতে সত্য হিসেবে বিশ্বাস করানোকে বলে ব্রেনওয়াশ বা মগজধোলাই। মূলত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে নিজের স্বার্থ হাসিল করার জন্য এই ব্রেনওয়াশ করা হয়। এই ব্রেনওয়াশ করা মানুষগুলোকে দিয়েই মূলত স্লিপার সেল গঠন করা হয়।২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট সারাদেশে একযোগে সিরিজ বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)। ওইদিন সকাল সাড়ে বেলা ১১টা থেকে ১১:৩০ এর মধ্যে মধ্যে দেশের ৬৩ জেলার প্রেসক্লাব, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ঢাকার ৩৪টিসহ সাড়ে ৪শ’ স্পটে প্রায় ৫শ’ বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। পরবর্তীতে এই দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞাপন এই ঘটনার পর ধারণা করা হতো মাদ্রাসা পড়ুয়া অসহায়, গরীব ছেলেদেরকেই শুধু ব্রেনওয়াশ করে জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত করা হয়। তারেক মাসুদের 'রানওয়ে' চলচ্চিত্রে এরকমই এক গল্প আমরা দেখতে পাই।পরবর্তীতে ১ জুলাই ২০১৬ সালে ঘটা গুলশানের হলি আর্টিজান ট্র্যাজেডি জঙ্গি চরিত্রের ধারণা পাল্টে দেয় সকলের। এখানে দেখা যায় যারা এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঘটায় তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া!বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আইএস বধূ শ...

মুক্ত গণমাধ্যম?

বাংলাদেশে গণমাধ্যম কিংবা এর কর্মীরা কতটা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে সেটা নিয়ে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক বেশ পুরনো। ২০১৯ সালে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস নামে একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেখানে ১৮০ টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এর আগের বছরের তুলনায় চার ধাপ নেমে ১৫০ এ দাঁড়িয়েছে। ২০২০ সালে আরেক ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৫১ তম। ২০১৯ সালে  লন্ডনে বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম খোদ ব্রিটেনের গণমাধ্যমের চেয়েও স্বাধীন। সাংবাদিক দম্পতি সাগর রুনির কথা মনে আছে।  নৃশংস সেই হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘন্টায় বিচার হবে বলেছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন৷ আজ অব্দি বিচার হয়েছে হয়নি।  সাগর রুনি হত্যাকাণ্ড বাদ দিলাম আসি বর্তমান পরিস্থিতি কোভিড ১৯ এর খবর নিয়ে৷ এখন পর্যন্ত স্থানীয় এবং জাতীয় পর্যায়ে প্রায় ৪২ জন সাংবাদিক হামলা এবং হেনস্তার শিকার হয়েছেন।  বছর-খানেক আগেই ঢাকার দুটি নামকরা গণমাধ্যমের অনলাইন সংস্করণ সাময়িকভাবে বন্ধ হবার ঘটনা ঘটে। এর একটি বিডি ন...

সাংবাদিকরা কতখানি নিরাপদ?

১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮,গণমাধ্যমের জন্য আনন্দের দিন, আবার বেদনার দিনও। প্রধানমন্ত্রী এদিন সকালে সাংবাদিক কল্যাণে ২০ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। আর বিকেলে, সংসদে পাস হয়েছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮। সময় বলবে, এই আইনে ডিজিটাল নিরাপত্তা কতখানি নিশ্চিত হয়েছে। তবে, গণমাধ্যম ও সাংবাদিকরা যে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবে, এটুকু নিশ্চিত বলা যায়। গণমাধ্যম সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, আইনটির প্রধান শিকার হবে গণমাধ্যম। এই আইনের কারণে বিরুদ্ধ মত, দুর্নীতির খবর প্রকাশ, রাজনৈতিক বিরোধ, এমনকি ভিন্নমত প্রকাশও কঠিন হয়ে পড়বে। এই আইন, খবরের কাগজ, অনলাইন ও টেলিভিশনগুলোর জন্য নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। যার মুখোমুখি আগে কখনও হয়নি এদেশের গণমাধ্যম। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের পরিধি এতটাই ব্যাপক যে, গণমাধ্যমের সীমানার মধ্যে ঢুকে এর স্বাধীনতাকে চ্যালেঞ্জ করছে। কিন্তু গণমাধ্যম প্রতিনিয়ত তথ্য প্রচার ও প্রকাশের স্বাধীনতা দাবি করে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে, বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি, গ্রেফতার, জব্দ, অজামিনযোগ্য মামলার সুযোগ থাকায় সাংবাদিকদের কাজ করাই কঠিন হবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সুনির্দিষ্ট ৮টি ধারা পুনর্বিবেচনা ও বাতিলের দাবি জানিয়ে...