সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কোভিড ১৯ : অনিরাপদ চা শ্রমিক জনগোষ্ঠী

আমাদের এ সমাজে যে কয়েকটি অবেহেলিত শ্রেণি আছে যারা তাদের কর্মক্ষেত্রের কোন দাম পাননি এখন পর্যন্ত তারা হচ্ছেন হরিজন সম্প্রদায় এবং চা শ্রমিক।  আমি চা বাগান এলাকার সন্তান৷ আমার বাড়ি চা বাগানের কোলঘেঁষা সুবৃস্তিত সবুজের সমারোহে। কিশোর যৌবন শিশুকাল আমার কেটেছে চা বাগান দেখে দেখে। যৌবনের দীর্ঘ সময় আমার কেঁটেছে চা শ্রমিকদের সাথে। শুরু করার আগে বাংলাদেশের একটি অধিদপ্তরের পরিপত্রের ঘোষণা তুলে ধরি৷ "স্মারক নং-৪০.০২.০০০০.১০৬.১৬.০০৩.২০১৮-১৩৪ বিষয়ঃ সরকার কর্তৃক ঘােষিত সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে সাধারণ ছুটি প্রসঙ্গে। উপযুক্ত বিষয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন, রেজি. নং-বি-৭৭ এর ২৪/৩/২০২০ খ্রি. তারিখের পত্রের প্রেক্ষিতে জানানাে যাচ্ছে যে, করােনা ভাইরাস রােগ (কোভিড-১৯) এবং এর বিস্তার প্রতিরােধকল্পে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গত ২৪/৩/২০২০ খ্রি. তারিখের এক প্রজ্ঞাপনে আগামী ২৬/৩/২০২০ খ্রি. তারিখ হতে ০৪/১০/২০২০ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘােষণা করা হয়েছে। ঘােষিত সাধারণ ছুটির বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের ২৪/৩/২০২০ খ্রি. তারিখের প্রেস বিজ্ঞপ্তির ক্রমিক নং- ১ অনুয...

আইনে অমর্যাদাকর দণ্ড প্রদান নিষিদ্ধ

যশোরের মনিরামপুরে মুখে মাস্ক না পরায় তিন বৃদ্ধকে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখার ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে শুক্রবার (২৭ মার্চ) রাতে। সাইয়েমা হাসান নামের সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার চিনাটোলা বাজারে মাস্ক না পরায় বয়োবৃদ্ধ তিনজনকে এই দণ্ডাদেশ দেন। এই দণ্ডাদেশ দেয়ার সময়ে তিনি তার নিজের মুঠোফোনে এ ঘটনার ছবিও তুলেন। এতে করে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বেশ কিছু অনলাইন পত্রিকায় এ নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়। সামাজিক মাধ্যমে সরব হন অসংখ্য মানুষ। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাষ্ট্রের নাগরিকদের এমন অমানবিক শাস্তি দিতে পারেন কি না এ নিয়েও কথা উঠে সর্বত্র। আইনে এ ধরনের অননুমোদিত শাস্তি দেয়ারও কোন বিধান নেই। বাংলাদেশে বলবত ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৫৩ ধারা অনুযায়ী ৬ ধরনের শাস্তিকে আইনে অনুমোদিত শাস্তি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আইনে অনুমোদিত এই শাস্তিগুলো হলো - মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, দ্বীপান্তর (বর্তমানে বাতিল), কারাদণ্ড সশ্রম/বিনাশ্রম, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তি ও অর্থদণ্ড। কাউকে কান ধরে...

গুজব মিটারে রঙ চা থানকুনি

ঘুম থেকে উঠার পর থেকেই ইনবক্স ভর্তি মেসেজ। চা নিয়ে হৈ হুল্লুড়। ভাবলাম হয়তো দেশে চা পাতার দাম বেড়ে গেছে। একজন কে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে ? সে জানলো রঙ চা কাহিনী! ‘রঙ চা খেলে নাকি মুক্তি মিলবে প্রাণঘাতী করোনা থেকে।' 'সাথে দিতে হবে আদা, দারুচিনি, লং।' এমন বার্তা দিয়ে জন্মের ৫ মিনিটের পরই নাকি এক নবজাতক মারা গেছে। কেউ কেউ দাবি করছেন সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেল থেকে খবরটি সিলেট শহরে পৌঁছে। আবার কেউ দাবি করেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মীরপুরে নাকি বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় একটি নবজাতকের জন্ম হয়েছে। অপর একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার আত্বীয় এক মহিলার নবজাতক শিশু এমনটি বলে মৃত্যুবরণ করেছে বলে স্ট্যাটাস দেন। একেক জন একেক এলাকা থেকে সামাজিক যোগাযেগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়ে নিজের এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে দাবি করছেন। এরপর থেকেই সিলেটজুড়ে রঙ চা খাওয়ার হিড়িক পড়ে। অনেকে গুজব জেনেও চা খাচ্ছেন। ঘটনা শুনে হাসবো না রাগ করব বোঝতে পারছিলাম না! আসলে ভাবছি আমাদের সাধারণ জ্ঞানের পরিধি কতটুকু নিচে নেমে গেছে সেটাই ভেবে পাচ্ছিনা। আমরা যে কি পরিমাণ হুজুগে সমাজে রূপান্তরিত হচ্ছি তার একটি...

আমাদের আশার আলো "হাইড্রোক্সেক্লোরোকুইন"

করোনা ভাইরাসে জর্জরিত দেশগুলোর মধ্যে আশার আলো দেখেয়িছে চীন। সর্বশেষ ৪৮ ঘন্টায় নতুন কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি। এর মধ্যে নতুন আশার আলো দেখালো ফ্রান্স। গত সোমবার ফ্রান্সের একটি হাসপাতালে হাইড্রোক্সেক্লোরোকুইন নামক ওষুধ ট্রায়াল থেকে পজেটিভ ফলাফলের পরে করোনাভাইরাস বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এর সম্ভাব্য ব্যবহার অনেকের কাছে আশার উৎস  হয়ে দাঁড়িয়েছে।  ফ্রান্স টুয়েন্টফোর এর একটি সংবাদের মাধ্যমে জানা যায়, ফ্রান্সের অন্যতম বৃহত্তম শহর মার্সেইতে গত ১৬ মার্চ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য হাইড্রোক্সাইক্লোরোকুইনের সফল পরীক্ষা-নিরীক্ষা এই বর্ধমান মহামারির মধ্যে উচ্চ প্রত্যাশা তৈরি করেছে। কোভিড ১৯ ভাইরাসে স্তব্দ ফ্রান্স।  সবধরনের পাব্লিক প্লেস বন্ধ। আন্তর্জাতিক সীমানাগুলো সিলগালা। আতঙ্কিত জনসাধারণ। ফ্রান্স সরকারের তরফ থেকে বারবার নিজ নিজ বাসভবনে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছে ফ্রান্স সরকার। গত ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড ফিলিপের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবল ফার্মেসি, গ্রোসারি শপ, টোব্যাকো শপ, পোস্ট অফিস, ব্যাংক ও সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর...

ফেস মাস্ক নিয়ে জরুরি কথা

একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সঠিক সময়ে, সঠিক তথ্য দিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা আমাদের দায়িত্ব। সেটি করতে যেয়ে আমরা যেন ভুল তথ্য দিয়ে তাদের বিভ্রান্ত না করি। আমরা হুজুগে বাঙালি অনেক জিনিসই কিনে ফেলি কিন্তু কোন জিনিসই নিয়ম মেনে মাপমত ব্যবহার করি না। ফেস মাস্কের বেলাতেও তাই হচ্ছে। অথচ ফেস মাস্ক সঠিক মাপের না হলে এবং এটি সঠিক নিয়মে ব্যবহার না করলে আমাদের উপকারের চেয়ে অপকার বেশি করতে পারে। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে গত কয়েক দিনে ফেস মাস্ক ব্যবহার করার পরিমাণ কয়েক গুণ বেড়ে গেছে। গত কয়েকদিনের অভিজ্ঞতায় সবচে বেশি মানুষ দেখলাম কাপড়ের তৈরি মাস্ক (নেকাবও এই গোত্রে পড়ে) ব্যবহার করছেন। অথচ এ ধরণের মাস্ক ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং বাতাসে সাথে মিশে থাকা ক্ষতিকর গ্যাসীয়, তরল ও কঠিন পদার্থ থেকে কোনধরনের সুরক্ষা দেয়া না। এমনকি এগুলো ব্যবহারকারীর শরীর থেকে নির্গত হওয়া কফ, লালা, ঘাম, থুথুর স্পর্শ থেকে অন্যদের মুক্ত রাখতে পারে না। উল্টো দীর্ঘক্ষণ কিংবা একই মাস্ক বারবার ব্যবহারের ফলে আমরা নিজেদের শরীরে ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া চাষাবাদ করার পরিবেশ তৈরি করতে পারি। শ্বাসকষ্টের রোগী এ ধরণের মাস্ক ব্যবহার করলে শ্বাসকষ্ট আরও ব...

মহামারির মহাকালে বাজারদর

ক্রান্তিকালের সময় মহামারি। অশনির বার্তা সর্বত্র। কিন্ত আমাদের বাংলাদেশ এই বার্তা কি শুনতে পাচ্ছেনা, নাকি উপলব্ধি করতে পারছেনা তাতে আমি সন্দিহান, অপ্রফুল্ল এবং সংশয়ে ভরপুর৷ শেষ দুই দিনে বাংলাদেশে কোভিড ১৯ বা করোনা আক্রান্ত রোগী দুই একজন করে বেড়েই চলছে। সংখ্যাটা গুণিতক হারে বাড়লে কি পরিস্থিতি বাংলাদেশে দাঁড়াবে তা ভাবলেই শরীর শিউরে উঠে। ইতালি বা স্পেন বা ফ্রান্সে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে এমন অবস্থা যদি বাংলাদেশে দাঁড়ায় তবে রাস্তায় ডেড বডি পড়ে থাকবে কেউ হাত দেবেনা। আমি কখনোই চাইনা বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি কিন্তু যদি হয় তবে কি হবে! কথাগুলো লিখার সময় কেন যেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সেই দুর্ভিক্ষ ছবিটি চোখের সামনে ভাসছে বারবার। আসলে করোনা ভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশের বাজার অবস্থা এবং দ্রব্যমূল্যে দাম নিয়ে বলতে চাচ্ছিলাম। গতকাল যে পেঁয়াজ ছাপান্ন টাকা দিয়ে বিক্রি হয়েছিল একদিন ঘুরতেই সে পেঁয়াজের দাম ৭৫। চালের দামও কেজি প্রতি চার থেকে ৫ টাকা বেড়ে গেছে। সিন্ডিকেট তৈরি হয়ে গেছে। যখনি কোন ক্রাইসিস মোমেন্ট তৈরি হয় তখনি যেন আমাদের ব্যবসায়ীদের উৎসব শুরু হয়ে যায়। কিছু দিন আগে পেঁয়াজ আর লবণ নিয়ে কি পরিস্থিতি ন...

নিস্তব্দ প্যারিসের গল্প

সোডিয়াম আলোর শহর প্যারিস নিস্তব্দ, নিথর। সারাদিন যে শহরে লোক সমাগম লেগেই তাকে সেখানে পুরো প্যারিস শহর তথা সম্পূর্ণ ফ্রান্স লক ডাউন। ফ্রান্সের রাস্তার পাশে দেয়ালগুলোতে সৌখিন শিল্পীরা রাতভর জেগে দেয়ালগুলোতে রঙের আলপনায় জীবনের চিত্র তুলে ধরেন সেসব জায়গা শুনশান। বিশ্বখ্যাত আইফেল টাওয়ার থেকে লুভর মিউজিয়াম জনমানবহীন। শুধু ফ্রান্স নয় পুরো পৃথিবী যেন স্তব্দ।   করোনা ভাইরাসের মহামারি ঠেকাতে ফ্রান্স সরকার বাহিরে জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। বিশেষ জরুরী ছাড়া বাহিরে চলাচল করলেই গুণতে হচ্ছে জরিমানা। এর আগে গত ১৪ মার্চ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড ফিলিপের নির্দেশনা অনুযায়ী কেবল ফার্মেসি, গ্রোসারি শপ, টোব্যাকো শপ, পোস্ট অফিস, ব্যাংক ও সরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছেন। বিশেষ অনুমতি পত্র সাথে নিয়ে ১৮ মার্চ গিয়েছিলাম একটি সুপার শপে। শিউরে উঠার মত চিত্র, যেন মহা দূর্ভিক্ষের অশনি সংকেত। ক্যারিফোর নামক সুপার শপের প্রায় ৭০ শতাংশ জিনিসপত্র জনসাধারণ কিনে নিয়েছেন। সুপার শপে কর্মরত একজন কর্মীর সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনা ভাইরাসের...

লক ডাউন বিশ্ব বনাম বাংলাদেশ

পৃথিবী এক ভয়াবহ ক্রান্তিকাল পার করছে। করোনা নামক ভাইরাসের কারণে পৃথিবী আজ বিপর্যয়ের মুখে। পুরো বিশ্বই আজ লক ডাউন৷ এক সময় আমি মনে করতাম লক ডাউন শব্দটা বিমান বা ফ্লাইট উঠা নামার ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। কিন্তু এই শব্দটা যে পৃথিবী স্থবির করে দেবে তা কে জানতো!। করোনা ভাইরাসের বৈজ্ঞানিক ব্যাপার বা প্যাটান নিয়ে আলোচনা করছিনা৷ আমি গবেষক নই। আমি থমকে যাওয়া জীবনের কথা বলছি। একজন ইউরোপবাসী হিসেবে বলছি পুরো পৃথিবী যে কি পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখে তা বলে শেষ করা যাবেনা৷ নরমাল একটি হিসেবে বলছি, এই দিনে আমার এখানে প্রায় কম হলেও মিলিয়ন খানেক অর্থ লোকসানের মুখে। ইউরোপের ধনী দেশ গুলোতে বলা হচ্ছে লোকশান এড়াতে ইনভেস্ট করা হবে কিন্তু আমার গরিব দেশ বাংলাদেশে একটি মহামারি হলে কি হবে? পোলিও রোগের কথা মনে আছে। ছোট বেলা দেখতাম কোন বাসায় বা বাড়িতে কোন বাচ্চা হেন্ডিকাফ বা ডিজেবল হলে মানুষ দূরে থাকতো। ভাবতো ছোঁয়াচে। কিন্তু এই বিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে আমি বা আমরা কতখানি সচেতন!  বেশ কিছু ছবি আজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেখানে দেখলাম ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউ,  পতেঙ্গা সি বিচে মানুষের ঢল, পর্যটনের সেক্টরে যেন মহা উৎসব...

কুড়িগ্রামের সাংবাদিকরা কী মাথা বেচা দিলেন?

বাংলাদেশে এখন অনেক চমৎকার চিন্তার সরকারি কর্মকর্তা আছেন। এরা কুড়িগ্রামের বিতর্কিত জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের মতো জুলুমবাজ, শয়তান কিসিমের নন। তরুন, জনবান্ধব, সৎ সরকারি কর্মকর্তারা এলাকায় এলাকায় পুরনো আমলা ধাচের সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপারে প্রচলিত ধারনা পাল্টে দিচ্ছেন। এখন কৃষক যখন ফসলের দাম পায় না, এলাকায় এলাকায় বাল্য বিবাহ সহ নানা অন্যায়ের ঘটনায় জনপ্রতিনিধির চেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজনের কাছে ছুটে যান এসব সরকারি কর্মকর্তা। একজন সরকারি কর্মকর্তা আমার কাছে একবার কিছু স্বেচ্ছাসেবক চাইলেন। তাঁর এলাকার স্কুলগুলো পরিচ্ছন্ন রাখার মতো লোকবল নেই। সে কারনে এলাকার তরুন স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে স্কুলগুলো পরিচ্ছন্ন স্বাস্থ্যসম্মত রাখার পথ খুঁজছিলেন। তরুন প্রজন্মের সরকারি কর্মকর্তারা এখন যেমন এলাকায় এলাকায় বিপ্লব ঘটাচ্ছেন, তেমনি কুড়িগ্রামের সুলতানা পারভিনদের মতো শয়তান মহিলারা সেই বিপ্লবীদের মানুষের কাছে খাটো করে। কুড়িগ্রামের এই সুলতানা পারভিন সরকারি টাকায় পুকুর খনন করিয়ে সেটির নামকরন ‘সুলতানার সরোবর’ করে কুড়িগ্রামে অমর হবার খায়েশ করেছিলেন! বাংলা ট্রিবিউনের সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম রিগ্যানকে সাজানো ...

সিস্টেম ঠিক নেই!

গাড়ি সিস্টেম, চালক সিস্টেম, রোড সিস্টেম,কন্ট্রোল সিস্টেম একটাও আমাদের ঠিক নেই। আমাদের পাবলিক যারা রোডে চলাচল করি, যেমন আমি, আমরাও ঠিক নেই। গাড়ির ড্রাইভিং সিটে বসে মনে করি আমরা আকাশে উড়ছি। ঢাকা সিলেট চিটাগাং সহ সদর এলাকা গুলোতে আমরা যারা চলাফেরা করি কয়জন আইন মেনেছি। ছোট একটা ঘটনা বলি। ২০১৭ সাল, ঢাকা বিমানবন্দর রেল স্টেশন এলাকায় বেশ কয়েকটি ওভার ব্রিজ আছে। একদিন আমি আর বাবা ট্রেন থেকে পারাপার হচ্ছিলাম। ভোর রাত৷ বাবা বললেন একা একা যাবি ঐ দিকে হাইজ্যাকার না থাকে। আমি বললাম,  চলো না বাপ বেটা আছি না ধরলে একসাথে পিটাবো। বাবা বললেন, খালি হাইজ্যাকার না,  দেখবি অই খানে মানুষ দাঁড়িয়ে পিশি করতেছে দেখবি। ঠিক ঠিক গিয়ে দেখি এক লাইনে এই ভোর রাতে তিনজন চিপা দিয়ে পিলারের পাশে পিশি করতেছে এই হলো আমাদের আইন মানা, আর মেনে চলা। সিলেটে বন্দর বাজারে একটা ওভার ব্রিজ আছে। কিছুদিন আগে করা হয়েছে। আমাদের অনেকেই আছি একদিন উঠে দেখি নাই জিনিস টা কি। অটা দিয়ে রোড পার হওয়াত দূরের কথা। মাঝে মাঝে ফুটেজ নিতে আমাদের ফটো সাংবাদিক যারা আছি তাদের ই কাজে লাগে এটা, ফুটেজ নিতে৷ এই সার। আমাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া...

করোনা ভাইরাস রোধে আমাদের করণীয়

করোনাভাইরাস কতটা ক্ষতিকর? এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলেই কি নির্ঘাত মৃত্যু? এই আতঙ্কে এই মুহূর্তে তোলপাড় হচ্ছে বিশ্ব। চীনের উহান প্রদেশে এই ভাইরাসের খবর প্রথম পাওয়া যায়। আক্রান্তের সংখ্যাও চীনেই সব থেকে বেশি। এ ছাড়াও বিভিন্ন দেশে ইতোমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে এই মরণ ভাইরাস। এই ভাইরাস আসলে সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার মতোই। সেভাবে আলাদা করে বোঝার উপায় শুরুতেই করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে নেই। সার্স আর মার্স ভাইরাসের থাবায় তোলপাড় হয় বিশ্ব। আক্রান্ত হয়েছিলেন বহু মানুষ। প্রাণও হারিয়েছিলেন অনেকে। তাদেরই গোত্রের এই ভাইরাস। মিউটেশনের মাধ্যমে এই ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন হয়েছে। তাতেই তৈরি হয়েছে করোনা ভাইরাস যা এই মুহূর্তে বড়বড় দেশকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছে। ভারতের দু’ এক জায়গায় কিছু মানুষকে পর্যবেক্ষণে রাখা হলেও এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসেই যে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত নয়। তবুও বেশকিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতেই হবে। বলছেন চিকিৎসক অমিতাভ নন্দী।একজনের মৃত্যু হয়েছে তবে সেটা করোনাভাইরাসেই আক্রান্ত হয়েই কিনা এখনও নিশ্চিত নয়। বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট অমিতাভ নন্দী বলছেন, সেভাবে আলাদা করার উপায় এক্ষেত্র...

চা বাগানের স্মৃতিঃ ভালোবাসার ফেঞ্চুগঞ্জ ৩

দিনের সূর্য তখন মাঝ আকাশে। বেলা করে ঘুম থেকে উঠে পিছনের বারান্দা ঘেঁষা ছোট বাগানে দাঁড়িয়ে রাস্তার দিয়ে চলে যাওয়া গাড়ি দেখেছি অনেক সময়। রাস্তা দিয়ে পরিচিত কেউ দেখলে ডাক ছেড়েছি, কথা বলেছি৷ দুপুর ১২ টা নাগাদ দুলালের চায়ের দোকানে। চা খেয়ে কতখন দুলালের দোকানে আড্ডা, ছোট ভাই কেউ আসলে তাকে নিয়ে সোজা চা বাগানের ব্রিজে। আনসার ক্যাম্পের পাশে এই ব্রিজ আমার যৌবনের স্বাক্ষী। শীতের মিঠা রোদের আলোর সাথে কথা বলেছি, গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে বসে লিটারের পর লিটার ঠান্ডা কোমল পানীয় পানের সেই দিনগুলো আজ নেই। মিশে গেছে স্মৃতির পাতায়৷   (ছবি- ২০১৭) মনিপুর চা বাগানের কোন চা শ্রমিক গেলেই বলছে " দাদা নমষ্কার বা সালাম। কেমন আছো কি করছো।" কাছে পেলেই চা শ্রমিকরা ভাবতো যেন তাদের'ই কাউকে যেন কাছে পেয়েছে। বলছে তাদের সুখ দুঃখের কথা বলেই যাচ্ছে। স্কুল ফাঁকি দিয়ে বাবার চোখের যাতে না পড়ি সে জন্য চা বাগানের নীরব কোন টিলায় চলে যেতাম। আড্ডা দিতাম।  কখনো বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলে স্কুল সহপাঠীদের নিয়ে বনভোজন মানেই চা বাগানের টিলা ঘেঁষা কোন এক জায়গায়। (ছবি-- ২০১৬) একসময় চা বাগানে স্কুল ছিলো না, আজ স্কুল হয়েছে...

সড়ক মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল!

সিলেটে সড়ক-মহাসড়কে মৃত্যুর মিছিল কেন থামছে না? সড়ক দুর্ঘটনায় অনেক তাজা প্রাণ অকালে ঝরে যাচ্ছে। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত কেউ রেহাই পাচ্ছেন না সড়ক দুর্ঘটনা থেকে। গত ৩-৪ মাসে সিলেট বিভাগের মধ্যে সড়কে ঝরে গেছে অনেক তাজা প্রাণ এবং পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন অনেকেই। সিলেট বিভাগের অনেক সড়ক দুর্ঘটনা তথ্য তুলে ধরতে চাই। জকিগঞ্জ উপজেলায় মাইক্রোবাস উল্টে নিহত হয়েছিলেন ৩ জন এবং আহত হয়েছেন ৪০ জনের মতো, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ১ জন, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ইং মোটরসাইকেল এবং ট্রলির সাথে ধাক্কা লেগে নিহত হয়েছিলেন ২জন, বিয়ানীবাজার উপজেলায় চারখাই বাজারে বাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছিলেন ১ পথচারী, চারখাই বাজারের কাছাকাছি সিএনজি উল্টে শিশুসহ নিহত হন ২জন, শেওলা পল্লী বিদ্যুৎ সামনে ট্রাকের ধাক্কায় ১ পথচারী নিহত, গোলাপগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২জন নিহত হয়েছিলেন। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই নারী ও এক শিশু। এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে মোটর সাইকেল ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে অজ্ঞাত মহিলাসহ দু'জন নিহত হয়েছেন। সুনামগঞ্জের জগন...