দিনের সূর্য তখন মাঝ আকাশে। বেলা করে ঘুম থেকে উঠে পিছনের বারান্দা ঘেঁষা ছোট বাগানে দাঁড়িয়ে রাস্তার দিয়ে চলে যাওয়া গাড়ি দেখেছি অনেক সময়। রাস্তা দিয়ে পরিচিত কেউ দেখলে ডাক ছেড়েছি, কথা বলেছি৷ দুপুর ১২ টা নাগাদ দুলালের চায়ের দোকানে। চা খেয়ে কতখন দুলালের দোকানে আড্ডা, ছোট ভাই কেউ আসলে তাকে নিয়ে সোজা চা বাগানের ব্রিজে। আনসার ক্যাম্পের পাশে এই ব্রিজ আমার যৌবনের স্বাক্ষী। শীতের মিঠা রোদের আলোর সাথে কথা বলেছি, গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে বসে লিটারের পর লিটার ঠান্ডা কোমল পানীয় পানের সেই দিনগুলো আজ নেই। মিশে গেছে স্মৃতির পাতায়৷
(ছবি- ২০১৭)
মনিপুর চা বাগানের কোন চা শ্রমিক গেলেই বলছে " দাদা নমষ্কার বা সালাম। কেমন আছো কি করছো।" কাছে পেলেই চা শ্রমিকরা ভাবতো যেন তাদের'ই কাউকে যেন কাছে পেয়েছে। বলছে তাদের সুখ দুঃখের কথা বলেই যাচ্ছে। স্কুল ফাঁকি দিয়ে বাবার চোখের যাতে না পড়ি সে জন্য চা বাগানের নীরব কোন টিলায় চলে যেতাম। আড্ডা দিতাম। কখনো বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলে স্কুল সহপাঠীদের নিয়ে বনভোজন মানেই চা বাগানের টিলা ঘেঁষা কোন এক জায়গায়।
(ছবি-- ২০১৬)
একসময় চা বাগানে স্কুল ছিলো না, আজ স্কুল হয়েছে। ভাঙ্গা টিনের ঘরের সেই স্কুল আর নাই, মেরামত হয়েছে। সুন্দর ক্লাসরুম হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকেই মুটামুটি ভালো চলছে। দূর দেশে বসে নিবিড়ে নির্ভৃতে খুঁজে বেড়াই সেইসব ফেলে আসা স্মৃতি। সন্ধ্যায় টিম টিম করে জ্বলা প্রদীপের আলোয় সন্টু বৈদ্যের টং দোকানের চা আর গরম পেঁয়াজু পৃথিবীর কয়েক বিলিয়ন খরচ করে গড়ে উঠা ফাইফ স্টারের চেয়েও অনেক দামী.....
(ছবি- ২০১৭)
মনিপুর চা বাগানের কোন চা শ্রমিক গেলেই বলছে " দাদা নমষ্কার বা সালাম। কেমন আছো কি করছো।" কাছে পেলেই চা শ্রমিকরা ভাবতো যেন তাদের'ই কাউকে যেন কাছে পেয়েছে। বলছে তাদের সুখ দুঃখের কথা বলেই যাচ্ছে। স্কুল ফাঁকি দিয়ে বাবার চোখের যাতে না পড়ি সে জন্য চা বাগানের নীরব কোন টিলায় চলে যেতাম। আড্ডা দিতাম। কখনো বার্ষিক পরীক্ষা শেষ হলে স্কুল সহপাঠীদের নিয়ে বনভোজন মানেই চা বাগানের টিলা ঘেঁষা কোন এক জায়গায়।
(ছবি-- ২০১৬)
একসময় চা বাগানে স্কুল ছিলো না, আজ স্কুল হয়েছে। ভাঙ্গা টিনের ঘরের সেই স্কুল আর নাই, মেরামত হয়েছে। সুন্দর ক্লাসরুম হয়েছে। ২০১৬ সাল থেকেই মুটামুটি ভালো চলছে। দূর দেশে বসে নিবিড়ে নির্ভৃতে খুঁজে বেড়াই সেইসব ফেলে আসা স্মৃতি। সন্ধ্যায় টিম টিম করে জ্বলা প্রদীপের আলোয় সন্টু বৈদ্যের টং দোকানের চা আর গরম পেঁয়াজু পৃথিবীর কয়েক বিলিয়ন খরচ করে গড়ে উঠা ফাইফ স্টারের চেয়েও অনেক দামী.....
লিখেছেন- চৌধুরী মারূফ (Chowdhury Maruf), সাংবাদিক (Journalist)
(এটি একটি স্মৃতিময় লেখা, শিশুদের ছবি বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ব্যবহারে নয়)
(This is a memorable text, not used for commercial purposes by children's pictures)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন