ক্রান্তিকালের সময় মহামারি। অশনির বার্তা সর্বত্র। কিন্ত আমাদের বাংলাদেশ এই বার্তা কি শুনতে পাচ্ছেনা, নাকি উপলব্ধি করতে পারছেনা তাতে আমি সন্দিহান, অপ্রফুল্ল এবং সংশয়ে ভরপুর৷ শেষ দুই দিনে বাংলাদেশে কোভিড ১৯ বা করোনা আক্রান্ত রোগী দুই একজন করে বেড়েই চলছে। সংখ্যাটা গুণিতক হারে বাড়লে কি পরিস্থিতি বাংলাদেশে দাঁড়াবে তা ভাবলেই শরীর শিউরে উঠে। ইতালি বা স্পেন বা ফ্রান্সে যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে এমন অবস্থা যদি বাংলাদেশে দাঁড়ায় তবে রাস্তায় ডেড বডি পড়ে থাকবে কেউ হাত দেবেনা। আমি কখনোই চাইনা বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি কিন্তু যদি হয় তবে কি হবে! কথাগুলো লিখার সময় কেন যেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের সেই দুর্ভিক্ষ ছবিটি চোখের সামনে ভাসছে বারবার।
আসলে করোনা ভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশের বাজার অবস্থা এবং দ্রব্যমূল্যে দাম নিয়ে বলতে চাচ্ছিলাম। গতকাল যে পেঁয়াজ ছাপান্ন টাকা দিয়ে বিক্রি হয়েছিল একদিন ঘুরতেই সে পেঁয়াজের দাম ৭৫। চালের দামও কেজি প্রতি চার থেকে ৫ টাকা বেড়ে গেছে। সিন্ডিকেট তৈরি হয়ে গেছে। যখনি কোন ক্রাইসিস মোমেন্ট তৈরি হয় তখনি যেন আমাদের ব্যবসায়ীদের উৎসব শুরু হয়ে যায়। কিছু দিন আগে পেঁয়াজ আর লবণ নিয়ে কি পরিস্থিতি না তৈরি হলো৷ আসলে আমাদের বিবেক বুদ্ধি কোথায় গিয়ে ঠেঁকেছে ভাবতেই অবাক লাগে! খেয়াল করে দেখবেন যখন নতুন বাজেটের সময় আসে, ঈদ পূজা পহেলা বৈশাখ বা কোন ধরণের উৎসব আছে হু হু করে দাম বেড়ে যায়। এখানে ব্যবসায়ীদের নগ্ন মানসিকতা ত বটেই আমাদের দোষ ও এড়াতে পারিনা। কিছু হলেই আমরা সবকিছু গৃহ জব্দ করে রাখার চিন্তা করি। আর মুখে সুষম বন্টনের কথা বলতে থাকি।
এই মহামারির সময়ে সবাই মিলে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করা উচিৎ আমাদের। কোন প্রতিষ্ঠান যদি উচ্চ দামে জিনিস পত্র বিক্রি করে সামাজিক ভাবে সেই প্রতিষ্ঠান বয়কট করা উচিৎ। আরেকটি কথা হচ্ছে, সরকার এবং প্রশাসনের লোকজনকে বাজার মনিটরিং করতে হবে সতর্ক এবং শক্ত ভাবে। বেশি না এলাকা ভিত্তিক ৮ বা ৯ টা প্রতিষ্ঠানকে যদি কড়াকড়ি ভাবে উচ্চ দামে অবৈধ ভাবে পণ্য বিক্রির জন্য সিলগালা করে দেওয়া হয়, বেশি না আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এক সপ্তাহের মধ্যে এসব মুনাফালোভীরা ঠিক ঠিক ভাবে পণ্য বিক্রি করবে। কিন্তু তার আগে আমাদেরকেও সচেতন হতে হবে। নিজের কথা চিন্তা করে সবকিছু বাসা বা বাড়িতে স্টক করে না রেখে যদি আমরা সুষম ভাবে পুরো বাংলাদেশের কথা চিন্তা করি তবে কোন ভাবেই দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়বে না বা বাড়লে কয়দিনই বা উচ্চদামে বিক্রি সম্ভব।
এই মাস্ক এর কথাই ধরি। ধূলা বালুর মেগা শহর গুলোতে আমরা কয়জন মাস্ক ব্যবহার করতাম। হুট করে মাস্ক কিনার ধুম পড়ে গেলো, ৩০ টাকার মাস্ক ২৩০ টাকায় বিক্রি হলো৷ যে কয়েকদিন রেড দেওয়া হলো ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আজ বা গত কালের খবর নিয়ে দেখুন মুটামুটি সহনীয় মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে। এখানে যেমন জনসাধারণ সচেতন ছিল তেমনি প্রশাসনের পদক্ষেপ ও ছিল জরুরি৷ আবার অন্য দিকে লক্ষ্য করুন, হাসপাতালের ব্যবহৃত মাস্কগুলো আমাদের চোখের সামনেই নদীর পাশে বা রোডের পাশে ফেলে দেওয়া হয়, আমরা দেখেও দেখতাম না। উদাহরণ স্বরূপ আমি বুড়িগঙ্গা নদীর তীর বা শীতলক্ষ্যা নদীর পাশের কথা বলি। কত মেডিক্যাল বর্জ্য চারপাশে ফেলা হয়, কিন্তু মেডিক্যাল সেক্টরের ব্যবহৃত এসব দ্রব্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিৎ কিন্তু আমরা সচেতন নেই বলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা কিভাবে সেগুলোকে পুনরায় শ্যাম্পু সাবান দিয়ে বাজার জাত করে ফেলেছে ভাবতেই অবাক লাগে৷ এখানে প্রশাসন যেমন খামখেয়ালি তেমনি আমরাও অসচেতন। আর এই দুর্বলতায় বিষাক্ত জিনিসগুলো আমাদের হাতে'ই আসছে।
বাস্তব জীবনে প্রত্যেকটি জিনিসই একই রকম৷ ক্রাইসিস মোমেন্টে আমাদের যেমন সচেতন হওয়া উচিৎ ঠিক তেমনি দিকপাল করা প্রশাসনের ও। বাজার দর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দেশে মহামারি শুরু হবে। অশনি সংকেত বিশ্বব্যাপী।
লিখেছেন - চৌধুরী মারূফ, সাংবাদিক, অনলাইন এক্টিভিস্ট।
আসলে করোনা ভাইরাস নিয়ে বাংলাদেশের বাজার অবস্থা এবং দ্রব্যমূল্যে দাম নিয়ে বলতে চাচ্ছিলাম। গতকাল যে পেঁয়াজ ছাপান্ন টাকা দিয়ে বিক্রি হয়েছিল একদিন ঘুরতেই সে পেঁয়াজের দাম ৭৫। চালের দামও কেজি প্রতি চার থেকে ৫ টাকা বেড়ে গেছে। সিন্ডিকেট তৈরি হয়ে গেছে। যখনি কোন ক্রাইসিস মোমেন্ট তৈরি হয় তখনি যেন আমাদের ব্যবসায়ীদের উৎসব শুরু হয়ে যায়। কিছু দিন আগে পেঁয়াজ আর লবণ নিয়ে কি পরিস্থিতি না তৈরি হলো৷ আসলে আমাদের বিবেক বুদ্ধি কোথায় গিয়ে ঠেঁকেছে ভাবতেই অবাক লাগে! খেয়াল করে দেখবেন যখন নতুন বাজেটের সময় আসে, ঈদ পূজা পহেলা বৈশাখ বা কোন ধরণের উৎসব আছে হু হু করে দাম বেড়ে যায়। এখানে ব্যবসায়ীদের নগ্ন মানসিকতা ত বটেই আমাদের দোষ ও এড়াতে পারিনা। কিছু হলেই আমরা সবকিছু গৃহ জব্দ করে রাখার চিন্তা করি। আর মুখে সুষম বন্টনের কথা বলতে থাকি।
এই মহামারির সময়ে সবাই মিলে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের প্রতিহত করা উচিৎ আমাদের। কোন প্রতিষ্ঠান যদি উচ্চ দামে জিনিস পত্র বিক্রি করে সামাজিক ভাবে সেই প্রতিষ্ঠান বয়কট করা উচিৎ। আরেকটি কথা হচ্ছে, সরকার এবং প্রশাসনের লোকজনকে বাজার মনিটরিং করতে হবে সতর্ক এবং শক্ত ভাবে। বেশি না এলাকা ভিত্তিক ৮ বা ৯ টা প্রতিষ্ঠানকে যদি কড়াকড়ি ভাবে উচ্চ দামে অবৈধ ভাবে পণ্য বিক্রির জন্য সিলগালা করে দেওয়া হয়, বেশি না আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি এক সপ্তাহের মধ্যে এসব মুনাফালোভীরা ঠিক ঠিক ভাবে পণ্য বিক্রি করবে। কিন্তু তার আগে আমাদেরকেও সচেতন হতে হবে। নিজের কথা চিন্তা করে সবকিছু বাসা বা বাড়িতে স্টক করে না রেখে যদি আমরা সুষম ভাবে পুরো বাংলাদেশের কথা চিন্তা করি তবে কোন ভাবেই দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়বে না বা বাড়লে কয়দিনই বা উচ্চদামে বিক্রি সম্ভব।
এই মাস্ক এর কথাই ধরি। ধূলা বালুর মেগা শহর গুলোতে আমরা কয়জন মাস্ক ব্যবহার করতাম। হুট করে মাস্ক কিনার ধুম পড়ে গেলো, ৩০ টাকার মাস্ক ২৩০ টাকায় বিক্রি হলো৷ যে কয়েকদিন রেড দেওয়া হলো ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আজ বা গত কালের খবর নিয়ে দেখুন মুটামুটি সহনীয় মূল্যেই বিক্রি হচ্ছে। এখানে যেমন জনসাধারণ সচেতন ছিল তেমনি প্রশাসনের পদক্ষেপ ও ছিল জরুরি৷ আবার অন্য দিকে লক্ষ্য করুন, হাসপাতালের ব্যবহৃত মাস্কগুলো আমাদের চোখের সামনেই নদীর পাশে বা রোডের পাশে ফেলে দেওয়া হয়, আমরা দেখেও দেখতাম না। উদাহরণ স্বরূপ আমি বুড়িগঙ্গা নদীর তীর বা শীতলক্ষ্যা নদীর পাশের কথা বলি। কত মেডিক্যাল বর্জ্য চারপাশে ফেলা হয়, কিন্তু মেডিক্যাল সেক্টরের ব্যবহৃত এসব দ্রব্য নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিৎ কিন্তু আমরা সচেতন নেই বলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা কিভাবে সেগুলোকে পুনরায় শ্যাম্পু সাবান দিয়ে বাজার জাত করে ফেলেছে ভাবতেই অবাক লাগে৷ এখানে প্রশাসন যেমন খামখেয়ালি তেমনি আমরাও অসচেতন। আর এই দুর্বলতায় বিষাক্ত জিনিসগুলো আমাদের হাতে'ই আসছে।
বাস্তব জীবনে প্রত্যেকটি জিনিসই একই রকম৷ ক্রাইসিস মোমেন্টে আমাদের যেমন সচেতন হওয়া উচিৎ ঠিক তেমনি দিকপাল করা প্রশাসনের ও। বাজার দর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দেশে মহামারি শুরু হবে। অশনি সংকেত বিশ্বব্যাপী।
লিখেছেন - চৌধুরী মারূফ, সাংবাদিক, অনলাইন এক্টিভিস্ট।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন