সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

Featured Post

প্যারিসে 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সড়ক'

  নিরিবিলি গলি, বিকেলের পড়ন্ত সূর্যের আলোয় বয়ে যায় সোনালী বর্ণের আভা। একটি পার্ক, কয়েকটি আবাসিক ভবন এবং একটি সরকারী অফিস জুড়ে আছে গলির ডানে এবং বামে। খুব একটা জনসমাগম নেই গলির ভেতরে। শেষ বিকেলে ক্লান্ত শরীরে অফিস ত্যাগ করছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। শান্ত বিকেলে কচিকাঁচায় মুখোরিত পার্ক।  প্যারিস শহরে ৭৫০১৩ পোস্টাল কোড এলাকায় অবস্থান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সড়কের। স্থানীয় ফরাসী ভাষায় বলা হয়ে থাকে 'রু'ই টেগর'। ১২৬ মিটার দৈর্ঘ এবং ১২ মিটার প্রস্থের সড়কটি যুক্ত হয়েছে আঞ্চলিক সড়ক এভিনিউ ডি ইটালি'র সাথে। এই সড়কের মধ্যে অবস্থিত স্থানীয় জোয়ান-মিরো পার্ক। ফ্রান্সের প্রশাসনিক এলাকা প্যারিস প্রিফিকচার জোনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী এই সড়কের আদি নাম ছিল রেমন্ড প্যাসেজ। ফরাসী বিপ্লবের আগে এই রাস্তাটি ছিলো মাটির বা কাঁচা রাস্তা, তখন এখানে পার্ক বা কোন ভবন ছিলো না। ১৯১৩ সালে এখানে একটি ছোট সন্ত্রাসী হামলা ঘটেছিলো এবং যেখানে একজন মানুষ নিহত হয়েছিলেন বন্দুকধারীর গুলিতে। ১৯ জুন, ১৯১৩, সন্ধ্যা পাঁচটায় এই সড়কের সম্মুখ বারে এই ঘটনা ঘটে। তখন থেকে এর নাম ছিল রেমন্ড প্যাসেজ। পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে এটি প্...
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

মুক্তিযোদ্ধা আরফান আলীর নামে সড়ক দাবী দৌহিত্র নাজিমুলের

আজ ১০ রমজান আমার দাদার ৪১তম মৃত্যু বার্ষিকী। মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি  মরহুম মো:আরফান আলী (চেয়ারম্যান)৪১ তম মৃত্যু বার্ষিকী এই  রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের জন্ম ১৯০২সালে ঘিলাছড়ার যুধিষ্ঠিরপুর  গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে,উনার বাবার নাম আহমদ উল্লাহ মাতার নাম তৈমুছা বিবি। মরহুম আরফান আলী ছোট বেলা থেকেই খুব মেধাবী ছিলেন আর ছিলেন খুব বিচক্ষণ। উনি উনার শৈশবের বেশিরভাগ সময় কাটিয়েছেন উনার নানার বাড়িতে উনি ভাদেশ্বর কোন এক প্রতিষ্ঠান থেকে এন্ট্রান্স পাস করেন ( প্রতিষ্ঠান এর নাম জানা সম্ভব হয় নি) । এর পরে তিনি কর্ম জীবনে প্রথমে কলকাতায় জাহাজ কোম্পানিতে দীর্ঘ দিন চাকুরী করেন এবং রাজনীতির সাথে নিজেকে জড়িত রাখেন। তখন প্রথমে মুসলিম লীগ এবং পরে আওয়ামী মুসলিম লীগ করেন। এর পরে যখন আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা হয় তখন তিনি জাতির জনকের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে উনার নেতাকর্মী দের নিয়ে আওয়ামীলীগ এ যোগদান করেন এবং ফেঞ্চুগঞ্জ এ আওয়ামীলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। উনি তখন প্রতিষ্টা আওয়ামীলীগ কমিটির সভাপতি এবং উনার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহচর উনার অনুজ মরহুম আব্দুল লতিফ সাহেব সাধারণ ...

সিলেটের বন্যা পরিস্থিতি এবং কিছু আলোচনা

 আমরা সবসময়'ই বলি পুণ্যভূমি সিলেট। আসলে কতখানি পুণ্যের কাজ করি। অনেকেই হয়তো ভাবছেন নামাজ রোজা পূজা পালন ইত্যাদি। না, আমি এসব ধর্মীয় রীতি পালনের কথা বলছিনা। আমি বলছি আমরা আমাদের মাটির জন্য কতখানি ভালো এবং সুফলদায়ক কাজ করি যেটা মঙ্গলজনক। সিলেটে নদীগুলো আজ বিপন্ন। শুধু বিপন্ন নয় মহা বিপন্ন নাব্যতা নেই। আমাদের চলমান জীবনের যত ময়লা আছে, পলিথিন আছে সবই নদীতে। সুরমা নদীর তীরে আমার ঠিকানারে এই কথাটি শুনে আমরা সুরের তালে গানের মাতমে শুনে হাত তালি দেই কিন্তু নেইনা সেই নদীর খোঁজ। নদীতে নাব্যতা নেই, অবৈধ ড্রেজারে বালু তোলা ঠিকাদারদের একধরনের আফিমের নেশা বলা বলা যায়। পান চিবিয়ে মুখের লাল রস গুলো দিয়ে ক্যানভাস করে ফেলি নগরের স্কুলের দেয়াল, মার্কেটের দেয়ালে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ত নেই'ই, এর মধ্যে লোক দেখানো বা যা মনে হলো সেটা ভেবেই এখানে সেখানে খুঁড়াখুঁড়ি ।  সিলেট শহরের কালীঘাট থেকে টুকের বাজার, কালীঘাট থেকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই এলাকা পর্যন্ত সর্বত্রই আবর্জনার ভাগাড়। একইভাবে সুনামগঞ্জ শহর এলাকায় সুরমা নদীর তীর এখন ময়লার ভাগাড়, আবর্জনার স্তূপ। সুনামগঞ্জ পৌর শহরের সাহেববাড়ি সেলুঘাট, উত্তর আর...

সরকার এবং গনপ্রজাতন্ত্র

 ১৭ এপ্রিল, ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। কিছু মনের কথা বলছি, তাঁর আগে একটু বলে নেই, ১৯৭১ সালের এই দিনে তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথ তলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ গ্রহণ করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দীন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে মুজিবনগর সরকার গঠন করা হয়। এম এ জি ওসমানীকে সরকারের প্রধান সেনাপতি নিযুক্ত করা হয়। শপথ গ্রহণের স্থান বৈদ্যনাথতলাকে মুজিবনগর নামকরণ কর হয়। ১০ এপ্রিল, ১৯৭১, রাতে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে বেতারে বক্তব্য রাখেন তাজউদ্দীন আহমদ। পরদিন আকাশবাণী থেকে আবার এই বক্তৃতা প্রচারিত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার গঠনের ভিত্তি ছিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, যা ১০ এপ্রিল ১৯৭১-এ গৃহীত হয়। এই সরকারের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। এই সরকারকে দায়িত্ব পালন করতে হয় বিশ্ব কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক আবহকে প্রতি মুহূর্তের বিশ্নেষণ ও বিবেচনায় রেখে। সংগঠিত করতে হয় মুক্তিযুদ্ধের সব বিষয়কে। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের ...

চা বাগানের সন্ধ্যাঃ পর্ব ১

অগ্রহায়ণের শেষে মিঠা বিকেল অনেক আগেই পশ্চিম আকাশে হেলে পড়েছে। চিরোচেনা চা বাগান শান্ত, হালকা কুয়াশার হাতছানি পড়ছে এপাশ ওপাশে। দূরের পাহাড়গুলো কুয়াশার চাদরে মুড়িয়ে নিয়েছে নিজেকে। প্রায় দুই শতাব্দী আগে ভারতের আসাম উড়িষ্যা বিহার থেকে নিয়ে আসা শ্রমিকদের দিয়ে ইংরেজরা লর্ডরা এই চা বাগান গড়ে তুলে ছিলেন আমার পূর্ব পুরুষের মাটিতে। চা বাগানের কোলে বেড়ে ওঠা আমার জীবন অনেকটা চা পাতার মতই বলা যায়। কখনো সবুজ সফেদ,  কখনো বৃষ্টির অপেক্ষায় ফুল দিতে, আবার পানি জমতে দেবেনা গোঁড়ায়।  ঘুম থেকে উঠে দেখি দুপুর শেষের পথে বিকেলের শুরু। মা এখনো ফিরেননি স্কুল থেকে। কাজ রাজনীতি শেষে খানেক বিশ্রাম নেওয়া বাবা বাহিরের ঘরে কার সাথে যেনো টেলিফোনের রাজনীতির আলাপ করছেন। উঠে সোজা সাপ্টা নিয়মের ব্রাশিং শেষে গোসল করে কোনমতে খেতে খেতেই মা চলে এলেন বাসায়, স্কুল শেষ। মায়ের মুখ দর্শন দেখেই বন্ধু মুহিতকে ফোন।  তারা আসা অব্দি আমাদের সারকারখানার পুরাতন মেডিক্যালের কোণায় এপাশ ওপাশ করতেই সে এসে হাজির। তার মোটর সাইকেলের পেছনে বসে সোজা আমাদের সারকারখানা বাজারের ঐতিহ্যবাহী গার্ড ব্যারাক মসজিদের সামনের বন্ধু তুরাব ভূইয়ার দ...

নির্বাচন সামনে, সক্রিয় হচ্ছে জামায়াত শিবির?

 রগকাটা বাহিনী, পায়ের রগ কেটে দেয় এই রকম বহু ঘটনার স্বীকার বাংলাদেশের হাজারো মানুষ। একটি বর্বর নির্মম ঘটনার উদাহরণ দেই। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাস। রংপুর কারমাইকেল কলেজের ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেনের বর্বর হামলা চালায় ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধীতাকারী জামায়াত ইসলামের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা। ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মোশাররফ হোসেনের হাত এবং পায়ের রগ কেটে দেয় ছাত্রশিবিরের সন্ত্রাসীরা। সিলেট সরকারী ছাত্রলীগ নেতা অসীম কান্তি করের কথা মনে আছে আমাদের সবার। অসীম কান্তি কর এর সাথে আমার বেশ কয়েকবার আলোচনা হয়েছে এ নিয়ে। সিলেটের বালুচরে তার বাসায় কিভাবে হামলা চালিয়ে পায়ের রগ কেটে, কুপিয়ে জখম করেছিলো স্থানীয় জামায়াত শিবিরের কর্মীরা। আর আমি ত নির্মম ঘটনার সরাসরি স্বাক্ষী আমার বাংলা বিভাগের শিক্ষক অহী আলম রেজার উপর শিবির কর্মীদের নির্মম দেশীয় অস্ত্রের হামলা। সেদিন আমি স্যারের সাথেই ছিলাম। বিকেলে ফেরার পর স্যারের উপর এমন নেক্কারজনক হামলা। সেই দিনের বীভৎস ঘটনা আমি মনে করতে চাই না, কিন্তু মনে হলে আমি শিউরে উঠ...

স্থানীয় রাজনীতি

 শিরোনামে নিবন্ধের স্থানীয় রাজনীতি বলতে বাংলাদেশের মফস্বল অঞ্চলের রাজনৈতিক ধারাকে বোঝানো হয়েছে। এটা মূলত জাতীয় রাজনীতিরই সম্প্রসারিত রূপ। বলতে গেলে তৃণমূলের রাজনৈতিক পরিস্থিতিই নিবন্ধের মূল আলোচ্য বিষয়। এর বিস্তার গ্রাম, ইউনিয়ন ও উপজেলা। সুসংগঠিত রাজনৈতিক দলগুলোর থানা (যা বর্তমানে উপজেলা) পর্যায়ে শাখা, স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই ছিল। এমনকি ৭০-এর জাতীয় নির্বাচনে তখনকার সর্বাধিক জনসমর্থিত দল আওয়ামী লীগের কিছু শাখা ছিল ইউনিয়ন পর্যায়েও। তবে গ্রাম পর্যায়ে কর্মী-সমর্থক থাকলেও সেখানে কোনো দলের সাংগঠনিক কাঠামো আছে এমনটা জানা যায় না। এমনকি ইউনিয়ন বা উপজেলা পর্যায়েও অনেক রাজনৈতিক দলের কাঠামোগত অবস্থান নেই। তার জন্যে এটা ধরে নেয়া চলে না যে একটা রাজনৈতিক শূন্যতার মাঝে আমাদের গ্রাম, ইউনিয়ন বা উপজেলাগুলো আছে। আমাদের দেশের লোক বরাবর রাজনীতি সচেতন। তাদের অনেকেই জাতীয় রাজনীতির গতি-প্রকৃতির খবরাদি রাখেন। অংশীদার হয়ে যান অনেক আন্দোলন সংগ্রামের। যেমনটা হয়েছিলেন ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে। প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধপরবর্তী সময়ে গ্রামীণ ক্ষমতা কাঠামোয় স্বাভাবিকভাবে পরিবর্তন আসে বড় ধরনের। এর আগে ইউনিয়ন কাউন্সিল পরিষদ...

কেমন কাটলো বছর!

 বছর বিদায় নিলো। মনে হয় ঐ দিন'ই ত শুরু হয়েছিলো দুই হাজার একুশ সাল। কিন্তু গুণে গুণে ৩৬৫ দিন শেষ, আজ রাত পোহালে যে আলো ফুটবে সেই দিনের সূর্যের বিদায়ে বছরের বিদায়। কথাগুলো একটি রবীন্দ্রময় হচ্ছে, প্রমথ বাংলায় বললে আজকেই বছরের শেষ দিন। বছরের প্রথম দিন মা'কে বলেছিলাম একটু দোয়া কর বছরটা যেন ভালো যায়। বাবাকে বললাম তোমার জায়নামাজের হাতে আমার নামটা মনে রেখো। শুরু হয়ে গেলো বছর।  এক দু মাস করে করে সময় গেলো। কাজের মধ্যে, করোনা মহামারির সঙ্কট পেছনে ফেলে চলছিলো দিন। হঠাৎ ডাক পড়লো মিনিস্ট্রি থেকে, পেপার্স রেসিড্যান্স পারমিট পাবার অপেক্ষায়। মানসিক ভাবে শক্ত ছিলাম। একের পর এক বন্ধুদের সাথে আলোচনা। বিন্দু পরিমান জায়গা বাদ রাখিনি, গুণে গুণে, দেখে দেখ, বোঝে শুনে প্রত্যেকটি ডকুমেন্টস রেডি করলাম। তুলোধুনো করলেন ইন্টারভিউতে অফিসার । সাড়ে তিন ঘন্টার উপর প্রায় ৩ ঘন্টা ৪০ মিনিট সুদীর্ঘ বিরতিহীন ইন্টারভিউ। শক্ত করে যুক্তিগত ভাবে প্রতিটি প্রশ্নর উত্তর দিয়ে যাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিলো কখনো ইয়োরকার, কখনো লেগ সুইং বা কখনো অফ সুইং। থেমে যাইনি। সুন্দর করে সব টেকেল দিলাম। ফুলটস পেয়েছি বেশ কয়েকটা, ছাড় দেইনি ইমিগ্রেশ...

রাজনৈতিক ডিগবাজিঃ উপজেলা 'রাজনগর'

আলাপচারিতায় ছিলেন সেলিম ওয়াদা শেলু, শহীদ তারা মিয়ার ভাগিনা। ইউনিয়নঃ উত্তরভাগ, উপজেলা- রাজনগর, জেলা - মৌলভীবাজার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজনগর উপজেলার ০২নং উত্তরভাগ ইউনিয়নে একটা রাজাকার পরিবার, এমনকি বিএনপি/জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত একটি পরিবারের হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেয়া হয়েছে, এমনটা জানালেন একজন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা।  তিনি জানালেন, "এলাকাবাসী স্বাক্ষী আছে, রাজনগর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্বাক্ষী আছেন  ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই পরিবারের কি ভূমিকা ছিল। আলোচনা প্রসঙ্গে শহীদ তারা মিয়ার ভাগিনা জানালেন, ঐ গ্রামের একজন যুবক ছিলেন উনার নাম ছিল তারা মিয়া। মহান মুক্তিযুদ্ধে তারা মিয়ার অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য।  শহীদ তারা মিয়া কে স্থানীয় রাজাকার পরিবারের সদস্য গুলো নির্মম ভাই অত্যাচার নির্যাতন করে, গরু বাঁধার দড়ি দিয়ে বেঁধে ৮ই ডিসেম্বর ১৯৭১ ইং পাক-সেনাদের হাতে তুলে দিয়েছিল, ১৩ই ডিসেম্বর তারা মিয়া কে হত্যা করানো হয়। তার দাবী ঐ রাজাকারের নাতী নাকি আজ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী।  আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি জানালেন ,"এই হত্যা এবং হত্যা পরবর্তী চিত্র ছিল আরও ভয়াবহ, শহীদ তা...

শেখ হাসিনার সফরে ফ্রান্সের প্রবাসীরা কি পেলাম ?

 দুই যুগের কাছাকাছি সময়ে রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং সরকার প্রধান ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় সফরে এলেন। আসলে আমরা কি পেলাম প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রীর সফরে এমন প্রশ্ন থেকেই যায়। আমাদের যারা আওয়ামীলীগ মতাদর্শ বা সরকারপন্থী রাজনীতি বা যেকোন ধরনের বিজনেস রিলেশনের সাথে জড়িত তারা বলবেন অনেক কিছুই পেয়েছি। আবার যারা সরকার বিরোধী রাজনীতির সাথে জড়িত বিশেষ করে যারা জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সাথেও জড়িত তারা বলবেন কিছুই পাননি। আর প্রবাসে কষ্ট করে দু'পয়সা আয় করা ছাঁপোষা বাংলাদেশিদের একমাত্র প্রশ্ন এসে কি দিয়ে গেলেন অথবা কি নিয়ে গেলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা !  ফ্রান্সে বসবাস করা বাংলাদেশীদের মনে দীর্ঘদিন থেকে একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিল, যে বাংলাদেশ এবং ফ্রান্স সম্পর্ক দীর্ঘদিন থেকে মাইনাসের পথে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে ইসলাম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন কর্মসূচি  মোটাদাগে বলতে গেলে বাংলাদেশে অবস্থিত ফ্রান্স হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে অনেকে আতঙ্কিত ছিলেন। ফ্রান্সে অবথান করা প্রবাসী বাংলাদেশীদের মনে একটাই প্রশ্ন ছিল অভিবাসী, ইমিগ্র্যান্ট (সেলারি কার্ড) এ...

আমার ঈমান জায়নামাজের সেজদায়, মূর্তি ভাঙ্গায় নয়

ফ্রান্সে বসবাস করছি প্রায় তিন বছরের উপরে৷ এখানের পার্মানেন্ট রেসিডেন্স প্রাপ্ত মানুষ আমি। ফ্রান্সে যেসব ধর্মগোষ্ঠীর লোকজন বসবাস করেন তাদের মধ্যে কেথলিক, মুসলমান এবং ইহুদি উল্লেখযোগ্য৷ এখানে ধর্মীয় মাইনোরিটি হচ্ছে মুসলমান এবং ইহুদি। এখানে ধর্মীয় এবং বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর বসবাস৷ মুসলমান এবং ইহুদিদের অধিকার আদায়ে এখানে আমি সর্বদা সোচ্চার। সাংবাধিক ভাবে ফ্রান্স ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র৷ এখানে রাষ্ট্র ধর্মীয় আচার ব্যবহার পালন করে না। যেমন আপনি এখানে অফিস আদালতে ধর্মীয় কার্যক্রম পালন করতে পারবেন না। এমনকি পোষাকেও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় কোন ধর্মের সাইন লগো পোষাক ব্যবহার করতে পারবেন না।  তবে এখানে যে সব ঠিকঠাক তা নয়। বিশেষ করে ধর্মীয় উৎসব গুলোর ছুটি নিয়ে৷ এখানে নয়েলে (ক্রিসমাসে) বন্ধ থাকলেও মুসলমানদের ঈদ, হিন্দুদের পূজা বা ইহুদিদের লাগ বি'ওম উৎসবে ছুটি দেয়া হয়না সরকারী ভাবে। মোটা দাগে এই অংশে আমার ধর্মনিরপেক্ষতার প্রমাণ পাইনা ফ্রান্সে।  যাই হোক যা বলতে চাচ্ছিলাম, আমার ঈমান এত দুর্বল নয় যে আরেকজনের মূর্তি ভেংগে প্রমাণ করতে হবে আমি আমার ধর্ম বিশ্বাসে পাকাপোক্ত।  বারবার একট...

আজকের তালাবানের উদাহরণ, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট

 দুটি ঘটনা'ই সামঞ্জস্যপূর্ণ । আফগানিস্তানের নাজুক অবস্থা আমরা সবাই জানি। এখানে৷ বেশি আর ব্যাখা করতে হবেনা। গত দুই আগে আফগান শরনার্থী প্রায় ২১ হাজার মানুষকে কানাডা সরকার আশ্রয় দেবেন বলেছেন। ফ্রান্স সরকারও আফগানিদের আশ্রয় দানে বেশ নমনীয় এবং আমেরিকাও দিচ্ছে। উগ্র সন্ত্রাসী কথিত জিহাদের নামে বিশ্বব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করা তালেবানদের হাতে একপ্রকার পুরো জিম্মি আফগানের বাসিন্দারা। গতকাল প্যারিসে সার্দেগুল এয়ারপোর্টে ১২৮ জন ফরাসী নাগরিক সহ ২৫০০ জন আফগানিস্তানের নাগরিক চলে এসেছেন সরাসরি।  যাই হোক আফগানিস্তানের অবস্থা ব্যাপক হারে এখানে আলোচনা না করলাম।  কিন্তু উদ্ভট এবং দুর্বিষহ একটা সংকেত আমরা বাংলাদেশিরা পেলাম, কতিপয় কিছু বাংলাদেশি শিক্ষিত তালেবানি মানসিকতার লোকজনের মনের লিখিত রূপের অবস্থা এবং ক্যামেরার সামনে তাদের স্টেটমেন্ট দেখে।  ঢাকা ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আসিফ নজরুল তিনি যেই কথা লিখিছেন, আমি মনে করি উনি সোজাসাপটা তালেবানি মানসিকতা পোষণ করেন। অতি ব্যাখায় না দিয়ে, সহজ কথায় উনি যদি কোন ব্যাপারে এই তালেবানের অবস্থা দিয়ে বা আফগানের অবস্থা দিয়ে উদাহরণ টানেন তাহলে বোঝা যায় বাংলা...

আমার অভিজ্ঞতায় আফগানিস্তানের জনসাধারণ

 আফগান জনসাধারণের সাথে পরিচয় ফ্রান্সে এসেই। ফ্রান্সে ইমিগ্রেশন, প্রোটেকশন এবং ন্যাশনাল কোর্ট অব এজাইলাম সবচেয়ে বেশি আশ্রয় প্রদান করে আফগানদের। ফ্রান্সে অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা পদ্ধতিতে সবচেয়ে বেশি সুরক্ষায় পায় আফগান জনগোষ্ঠীরা। এজাইলাম ইউরোপ সংস্থার তথ্য থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান থেকে আশ্রয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ আফগানিস্তান জনসাধারণ পেয়ে থাকেন ফ্রান্সে৷ ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সালে তা ১.৭ গড়ে বেড়েছে। শুধু মাত্র ২০২০ সালে ৮ হাজার ৮ শ ৮৬ জন সরাসরি আশ্রয় আবেদন করেছেন। এছাড়া কাজের মাধ্যমে সরকারকে ট্যাক্স পেমেন্ট,  পারিবারিক পুনর্মিলনী এবং শিশুদের স্কুল ব্যবস্থার মাধ্যমে নিয়মিত পেপার্স হোল্ডার আফগানি ত আছেন'ই।  মূলত এসব নয়, বাস্তব অভিজ্ঞতায় আফগানিরা কেমন সেটি বলতে চাচ্ছি।  এটা আমার একদম বাস্তব অভিজ্ঞতা। সরাসরি বলতে গেলে এখন পর্যন্ত যতজন আফগানিস্তানের মানুষ দেখেছি শতকার ৮৯ ভাগই ভালো লাগেনি। আসলে ভালো না লাগার কারণ কি ইচ্ছাকৃত। না, একদম নয়। সাধারণ ভাবে আফগানিস্তানের মানুষের এসব জনসাধারণের ব্যবহার একদম ভালো নয়৷ বেশির ভাগ, সবাই নন। মেট্রোপলিটন ফ্রান্স অঞ্চলে যারা বাস করেন, মোটা দাগে যদি ...

'বাবা বঙ্গবন্ধুকে চিনিয়েছেন'

 ছোট বেলা থেকেই বাবার মুখে মুজিববাদ শব্দটি শুনে আসছি। ছোট  বেলা বাবার সাথে কোথাও গেলেই বাবা আমাকে আদর করে জিজ্ঞেস করতেন - "বাবা বলোতো আমাদের মার্কা কি? আমি কুটুস কুটুস করে বলতাম নৌকা।" তখন আমার বয়স তিন বা চার হবে। আমার বাবার মুখ থেকে শেখা নৌকা শব্দটা কোন রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি নয়। এটা আমাকে দেশের অস্তিত্ব শিক্ষা দেবার একটি প্রয়োগ মাত্র। বাবা সেটাই করেছেন। আমাদের বসার ঘরে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিটা আজ থেকে নয়। সেটা সেই অনেক কাল থেকেই। তবে আগে পুরোনো একটি ছবি ছিলো। অনেক আগে থেকেই। এই ছবিটি ঘরে রাখার বাবার দুটি উদ্দেশ্য।  একটি উদ্দেশ্য বাবা এই ছবিটাকে এবং বঙ্গবন্ধুকে অনেক অনেক ভালোবাসেন। বাবার একটাই কথা - 'চলমান রাজনীতি ত অনেক দূরের ব্যাপার, এই লোকটা (বঙ্গবন্ধু) আমাদেরকে দেশ উপহার দিয়েছেন। নিজের জীবনকে জেলে বিসর্জন দিয়ে দেশ দিয়েছেন, এই লোকের ছবি থাকবে না'ত কার থাকবে'। বাবার এমন সহজ কথা অনেক কঠিন বিশ্লেষণে আমাকে ভাবিয়েছে, এখনো ভাবায়। এই ভাবনা আমাকে এই মহান মানুষ (বঙ্গবন্ধু) এর প্রতি এতো ভালোবাসা জন্মিয়েছে৷ দ্বিতীয় উদ্দেশ্য ছিল, আমি যেন কোন ভাবে আদর্শচ্যুত না হই শিশু বে...

জীবন একটা'ই, বেঁচে থাকুন

 শাট ডাউন লক ডাউন মানবেন কিনা আপনার ব্যাপার। কিন্তু মনে রাখবেন, এই জীবন একবার। দ্বিতীয় কোন সুযোগ নেই। ধর্মের বিশ্বাসে নেই, বৈজ্ঞানের বিশ্বাসে ত নেই'ই, এমনিতেও নাই। সুতরাং বাঁচুন, বাঁচার চেষ্টা করুন।  শাট ডাউন। ২০০৩ সাল থেকে তখনকার মডেলের পেন্টিয়াম ফোর কম্পিউটারের সাথে সখ্যতা থাকার কারণে এই সাট ডাউন শব্দটা যেনে আসছি। এতোদিন আমরা যন্ত্রের সাথে এসব যান্ত্রিক শব্দ শুনে এসেছি এখন বাস্তব জীবনে প্রয়োগ দেখা হচ্ছে৷ ইউরোপের দেশ গুলো যেখানে করোনা মোকাবেলায় মুটামুটি সক্ষম, এশিয়া এমনকি সাউথ এশিয়ার আমাদের প্রতিবেশি দেশ নেপাল এবং ভুটান মুটামুটি করোনা প্রভাব কাটিয়ে উঠেছে সেখানে আমাদের বারবার করোনার থাবা সহ্য করতে হচ্ছে।  কথা হচ্ছে, রাষ্ট্র যদি মহা কোন প্রজ্ঞাপন দিয়ে থাকে আর আমরা যদি সেটা না মানি তবে কখনোই আমরা মহামারি থেকে রক্ষা পাবো না। জীবন আমাদের, সুতরাং অনুধাবন করতে হবে আমাদের। আমরা কেন বাসায় থাকব, জনসমাগম এভৈড করব সেটা আমাদের জন্য, আমাদের জীবনের জন্য। সামাজিক দূরত্ব সহ সবগুলো নিয়ম আমাদের মেনে চলে চলতে হবে। জীবন আমাদের, একটা জীবন বেঁচে থাকার রাস্তা আমাদের বের করতে হবে। বের হয়েই আছে শ...

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগঃ গ্রুপিং এবং ঐক্য দুটোই চর্চা

ভূমিকা না বলে মূল বিষয় শুরু করে দেই, আওয়ামীলীগ একটি বড় দল। মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী এই দল ২০০৮ সালের শেষ থেকে টানা ক্ষমতায়। এই দলের সহযোগী এবং অঙ্গসংগঠন মিলে অসংখ্য নেতা কর্মী সমর্থকদের পদচারণায় মুখর থাকে সংগঠনের কার্যালয় গুলো। ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্র এখানে গ্রুপিং বলয় যেমন বেশি, তেমনি ঐক্য'ও বেশি।  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, আগামী ২৩শে জুনে বাহাত্তর বছরের লম্বা সময়ে পা রাখছে গণমানুষের এই দলটি। অনেক চড়াও উতরাও পেরিয়ে দলটি আজ এই জায়গায়। মওলানা ভাসানী শামসুল হক, সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহনান, জাতীয় চারনেতা এবং পরবর্তীতে শেখ হাসিনা এবং জাতীয় চার নেতার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশ বৃহত্তম এই রাজনৈতিক প্লাটফর্ম আজ এই জায়গায়। এখানে হাজার হাজার বলয় এবং নেতা কর্মীদের গ্রুপিং রয়েছে৷ গ্রুপিং থাকার এইখানে নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত,এখানের তৃণমূল কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে রাজনৈতিক চর্চা করে থাকেন। বছর সাত আঁট যাবার পর তাদের হাতেগড়া পরবর্তী কর্মীরা সৃষ্টি হয়। স্বভাবতই একটি বলয় এখানে গড়ে ওঠে৷  গ্রুপিং হওয়ার দ্বিতীয় কারণ হলো, এখানে রাজনৈতিক চর্চা উর্ধ্বমুখী।...

ছয়টি বোতামে ৬ দফা

 ৬ বোতামে ছয়টি দফা রয়েছে। হ্যাঁ আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিধান করা কোটের সাথে তারই ঘোষণা করে সেই মুক্তির দাবী ঐতিহাসিক ৬ দফার কথা বলছি।  মুজিব কোটের ছয়টি বোতাম নিয়ে এবং মুজিব কোট নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন রকম বক্তব্য রয়েছে। ইতিহাসবিদরা অনেকেই জানিয়েছিলেন, ভারতের নেহেরু এমন ধরনের কোট আগে পরিধান করতেন,  সেই আদলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন ধরনের কোট ব্যবহার করতেন। তবে ড. কামাল হোসেন একবার বলেছিলেন, ঊনসত্তরে আগড়তলা মামলায় গ্রেফতারের সময় এই কোট বঙ্গবন্ধুর গায়ে পরিধান করা ছিল বলে এটি জনপ্রিয় হয়েছিল।  কোটটি পরবর্তী সময়ে ‘মুজিব কোট’ নামে বেশি পরিচিতি পায়। শেখ মুজিব এ কোটটি কবে থেকে পরতে শুরু করেছিলেন, তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি; তবে বলা হয় ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি এ কোটটি পরতে শুরু করেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর আইনজীবী কামাল হোসেন বলেন, ১৯৬৮ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু এ কোটটি পরতেন। মওলানা ভাসানী এবং শামসুল হক যখন আওয়ামী মুসলীম লীগ করলেন, তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছি...