সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2021 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কেমন কাটলো বছর!

 বছর বিদায় নিলো। মনে হয় ঐ দিন'ই ত শুরু হয়েছিলো দুই হাজার একুশ সাল। কিন্তু গুণে গুণে ৩৬৫ দিন শেষ, আজ রাত পোহালে যে আলো ফুটবে সেই দিনের সূর্যের বিদায়ে বছরের বিদায়। কথাগুলো একটি রবীন্দ্রময় হচ্ছে, প্রমথ বাংলায় বললে আজকেই বছরের শেষ দিন। বছরের প্রথম দিন মা'কে বলেছিলাম একটু দোয়া কর বছরটা যেন ভালো যায়। বাবাকে বললাম তোমার জায়নামাজের হাতে আমার নামটা মনে রেখো। শুরু হয়ে গেলো বছর।  এক দু মাস করে করে সময় গেলো। কাজের মধ্যে, করোনা মহামারির সঙ্কট পেছনে ফেলে চলছিলো দিন। হঠাৎ ডাক পড়লো মিনিস্ট্রি থেকে, পেপার্স রেসিড্যান্স পারমিট পাবার অপেক্ষায়। মানসিক ভাবে শক্ত ছিলাম। একের পর এক বন্ধুদের সাথে আলোচনা। বিন্দু পরিমান জায়গা বাদ রাখিনি, গুণে গুণে, দেখে দেখ, বোঝে শুনে প্রত্যেকটি ডকুমেন্টস রেডি করলাম। তুলোধুনো করলেন ইন্টারভিউতে অফিসার । সাড়ে তিন ঘন্টার উপর প্রায় ৩ ঘন্টা ৪০ মিনিট সুদীর্ঘ বিরতিহীন ইন্টারভিউ। শক্ত করে যুক্তিগত ভাবে প্রতিটি প্রশ্নর উত্তর দিয়ে যাচ্ছিলাম। মনে হচ্ছিলো কখনো ইয়োরকার, কখনো লেগ সুইং বা কখনো অফ সুইং। থেমে যাইনি। সুন্দর করে সব টেকেল দিলাম। ফুলটস পেয়েছি বেশ কয়েকটা, ছাড় দেইনি ইমিগ্রেশ...

রাজনৈতিক ডিগবাজিঃ উপজেলা 'রাজনগর'

আলাপচারিতায় ছিলেন সেলিম ওয়াদা শেলু, শহীদ তারা মিয়ার ভাগিনা। ইউনিয়নঃ উত্তরভাগ, উপজেলা- রাজনগর, জেলা - মৌলভীবাজার আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজনগর উপজেলার ০২নং উত্তরভাগ ইউনিয়নে একটা রাজাকার পরিবার, এমনকি বিএনপি/জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত একটি পরিবারের হাতে নৌকা প্রতীক তুলে দেয়া হয়েছে, এমনটা জানালেন একজন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা।  তিনি জানালেন, "এলাকাবাসী স্বাক্ষী আছে, রাজনগর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্বাক্ষী আছেন  ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই পরিবারের কি ভূমিকা ছিল। আলোচনা প্রসঙ্গে শহীদ তারা মিয়ার ভাগিনা জানালেন, ঐ গ্রামের একজন যুবক ছিলেন উনার নাম ছিল তারা মিয়া। মহান মুক্তিযুদ্ধে তারা মিয়ার অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য।  শহীদ তারা মিয়া কে স্থানীয় রাজাকার পরিবারের সদস্য গুলো নির্মম ভাই অত্যাচার নির্যাতন করে, গরু বাঁধার দড়ি দিয়ে বেঁধে ৮ই ডিসেম্বর ১৯৭১ ইং পাক-সেনাদের হাতে তুলে দিয়েছিল, ১৩ই ডিসেম্বর তারা মিয়া কে হত্যা করানো হয়। তার দাবী ঐ রাজাকারের নাতী নাকি আজ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী।  আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি জানালেন ,"এই হত্যা এবং হত্যা পরবর্তী চিত্র ছিল আরও ভয়াবহ, শহীদ তা...

শেখ হাসিনার সফরে ফ্রান্সের প্রবাসীরা কি পেলাম ?

 দুই যুগের কাছাকাছি সময়ে রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং সরকার প্রধান ফ্রান্সে রাষ্ট্রীয় সফরে এলেন। আসলে আমরা কি পেলাম প্রবাসীরা প্রধানমন্ত্রীর সফরে এমন প্রশ্ন থেকেই যায়। আমাদের যারা আওয়ামীলীগ মতাদর্শ বা সরকারপন্থী রাজনীতি বা যেকোন ধরনের বিজনেস রিলেশনের সাথে জড়িত তারা বলবেন অনেক কিছুই পেয়েছি। আবার যারা সরকার বিরোধী রাজনীতির সাথে জড়িত বিশেষ করে যারা জাতীয়তাবাদী রাজনীতির সাথেও জড়িত তারা বলবেন কিছুই পাননি। আর প্রবাসে কষ্ট করে দু'পয়সা আয় করা ছাঁপোষা বাংলাদেশিদের একমাত্র প্রশ্ন এসে কি দিয়ে গেলেন অথবা কি নিয়ে গেলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা !  ফ্রান্সে বসবাস করা বাংলাদেশীদের মনে দীর্ঘদিন থেকে একটি প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছিল, যে বাংলাদেশ এবং ফ্রান্স সম্পর্ক দীর্ঘদিন থেকে মাইনাসের পথে। বিশেষ করে বিভিন্ন ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে ইসলাম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর বিভিন্ন কর্মসূচি  মোটাদাগে বলতে গেলে বাংলাদেশে অবস্থিত ফ্রান্স হাইকমিশন ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে অনেকে আতঙ্কিত ছিলেন। ফ্রান্সে অবথান করা প্রবাসী বাংলাদেশীদের মনে একটাই প্রশ্ন ছিল অভিবাসী, ইমিগ্র্যান্ট (সেলারি কার্ড) এ...

আমার ঈমান জায়নামাজের সেজদায়, মূর্তি ভাঙ্গায় নয়

ফ্রান্সে বসবাস করছি প্রায় তিন বছরের উপরে৷ এখানের পার্মানেন্ট রেসিডেন্স প্রাপ্ত মানুষ আমি। ফ্রান্সে যেসব ধর্মগোষ্ঠীর লোকজন বসবাস করেন তাদের মধ্যে কেথলিক, মুসলমান এবং ইহুদি উল্লেখযোগ্য৷ এখানে ধর্মীয় মাইনোরিটি হচ্ছে মুসলমান এবং ইহুদি। এখানে ধর্মীয় এবং বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর বসবাস৷ মুসলমান এবং ইহুদিদের অধিকার আদায়ে এখানে আমি সর্বদা সোচ্চার। সাংবাধিক ভাবে ফ্রান্স ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র৷ এখানে রাষ্ট্র ধর্মীয় আচার ব্যবহার পালন করে না। যেমন আপনি এখানে অফিস আদালতে ধর্মীয় কার্যক্রম পালন করতে পারবেন না। এমনকি পোষাকেও রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় কোন ধর্মের সাইন লগো পোষাক ব্যবহার করতে পারবেন না।  তবে এখানে যে সব ঠিকঠাক তা নয়। বিশেষ করে ধর্মীয় উৎসব গুলোর ছুটি নিয়ে৷ এখানে নয়েলে (ক্রিসমাসে) বন্ধ থাকলেও মুসলমানদের ঈদ, হিন্দুদের পূজা বা ইহুদিদের লাগ বি'ওম উৎসবে ছুটি দেয়া হয়না সরকারী ভাবে। মোটা দাগে এই অংশে আমার ধর্মনিরপেক্ষতার প্রমাণ পাইনা ফ্রান্সে।  যাই হোক যা বলতে চাচ্ছিলাম, আমার ঈমান এত দুর্বল নয় যে আরেকজনের মূর্তি ভেংগে প্রমাণ করতে হবে আমি আমার ধর্ম বিশ্বাসে পাকাপোক্ত।  বারবার একট...

আজকের তালাবানের উদাহরণ, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট

 দুটি ঘটনা'ই সামঞ্জস্যপূর্ণ । আফগানিস্তানের নাজুক অবস্থা আমরা সবাই জানি। এখানে৷ বেশি আর ব্যাখা করতে হবেনা। গত দুই আগে আফগান শরনার্থী প্রায় ২১ হাজার মানুষকে কানাডা সরকার আশ্রয় দেবেন বলেছেন। ফ্রান্স সরকারও আফগানিদের আশ্রয় দানে বেশ নমনীয় এবং আমেরিকাও দিচ্ছে। উগ্র সন্ত্রাসী কথিত জিহাদের নামে বিশ্বব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি করা তালেবানদের হাতে একপ্রকার পুরো জিম্মি আফগানের বাসিন্দারা। গতকাল প্যারিসে সার্দেগুল এয়ারপোর্টে ১২৮ জন ফরাসী নাগরিক সহ ২৫০০ জন আফগানিস্তানের নাগরিক চলে এসেছেন সরাসরি।  যাই হোক আফগানিস্তানের অবস্থা ব্যাপক হারে এখানে আলোচনা না করলাম।  কিন্তু উদ্ভট এবং দুর্বিষহ একটা সংকেত আমরা বাংলাদেশিরা পেলাম, কতিপয় কিছু বাংলাদেশি শিক্ষিত তালেবানি মানসিকতার লোকজনের মনের লিখিত রূপের অবস্থা এবং ক্যামেরার সামনে তাদের স্টেটমেন্ট দেখে।  ঢাকা ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আসিফ নজরুল তিনি যেই কথা লিখিছেন, আমি মনে করি উনি সোজাসাপটা তালেবানি মানসিকতা পোষণ করেন। অতি ব্যাখায় না দিয়ে, সহজ কথায় উনি যদি কোন ব্যাপারে এই তালেবানের অবস্থা দিয়ে বা আফগানের অবস্থা দিয়ে উদাহরণ টানেন তাহলে বোঝা যায় বাংলা...

আমার অভিজ্ঞতায় আফগানিস্তানের জনসাধারণ

 আফগান জনসাধারণের সাথে পরিচয় ফ্রান্সে এসেই। ফ্রান্সে ইমিগ্রেশন, প্রোটেকশন এবং ন্যাশনাল কোর্ট অব এজাইলাম সবচেয়ে বেশি আশ্রয় প্রদান করে আফগানদের। ফ্রান্সে অতিরিক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা পদ্ধতিতে সবচেয়ে বেশি সুরক্ষায় পায় আফগান জনগোষ্ঠীরা। এজাইলাম ইউরোপ সংস্থার তথ্য থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান থেকে আশ্রয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ আফগানিস্তান জনসাধারণ পেয়ে থাকেন ফ্রান্সে৷ ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সালে তা ১.৭ গড়ে বেড়েছে। শুধু মাত্র ২০২০ সালে ৮ হাজার ৮ শ ৮৬ জন সরাসরি আশ্রয় আবেদন করেছেন। এছাড়া কাজের মাধ্যমে সরকারকে ট্যাক্স পেমেন্ট,  পারিবারিক পুনর্মিলনী এবং শিশুদের স্কুল ব্যবস্থার মাধ্যমে নিয়মিত পেপার্স হোল্ডার আফগানি ত আছেন'ই।  মূলত এসব নয়, বাস্তব অভিজ্ঞতায় আফগানিরা কেমন সেটি বলতে চাচ্ছি।  এটা আমার একদম বাস্তব অভিজ্ঞতা। সরাসরি বলতে গেলে এখন পর্যন্ত যতজন আফগানিস্তানের মানুষ দেখেছি শতকার ৮৯ ভাগই ভালো লাগেনি। আসলে ভালো না লাগার কারণ কি ইচ্ছাকৃত। না, একদম নয়। সাধারণ ভাবে আফগানিস্তানের মানুষের এসব জনসাধারণের ব্যবহার একদম ভালো নয়৷ বেশির ভাগ, সবাই নন। মেট্রোপলিটন ফ্রান্স অঞ্চলে যারা বাস করেন, মোটা দাগে যদি ...

'বাবা বঙ্গবন্ধুকে চিনিয়েছেন'

 ছোট বেলা থেকেই বাবার মুখে মুজিববাদ শব্দটি শুনে আসছি। ছোট  বেলা বাবার সাথে কোথাও গেলেই বাবা আমাকে আদর করে জিজ্ঞেস করতেন - "বাবা বলোতো আমাদের মার্কা কি? আমি কুটুস কুটুস করে বলতাম নৌকা।" তখন আমার বয়স তিন বা চার হবে। আমার বাবার মুখ থেকে শেখা নৌকা শব্দটা কোন রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি নয়। এটা আমাকে দেশের অস্তিত্ব শিক্ষা দেবার একটি প্রয়োগ মাত্র। বাবা সেটাই করেছেন। আমাদের বসার ঘরে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিটা আজ থেকে নয়। সেটা সেই অনেক কাল থেকেই। তবে আগে পুরোনো একটি ছবি ছিলো। অনেক আগে থেকেই। এই ছবিটি ঘরে রাখার বাবার দুটি উদ্দেশ্য।  একটি উদ্দেশ্য বাবা এই ছবিটাকে এবং বঙ্গবন্ধুকে অনেক অনেক ভালোবাসেন। বাবার একটাই কথা - 'চলমান রাজনীতি ত অনেক দূরের ব্যাপার, এই লোকটা (বঙ্গবন্ধু) আমাদেরকে দেশ উপহার দিয়েছেন। নিজের জীবনকে জেলে বিসর্জন দিয়ে দেশ দিয়েছেন, এই লোকের ছবি থাকবে না'ত কার থাকবে'। বাবার এমন সহজ কথা অনেক কঠিন বিশ্লেষণে আমাকে ভাবিয়েছে, এখনো ভাবায়। এই ভাবনা আমাকে এই মহান মানুষ (বঙ্গবন্ধু) এর প্রতি এতো ভালোবাসা জন্মিয়েছে৷ দ্বিতীয় উদ্দেশ্য ছিল, আমি যেন কোন ভাবে আদর্শচ্যুত না হই শিশু বে...

প্যারিসে 'রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সড়ক'

  নিরিবিলি গলি, বিকেলের পড়ন্ত সূর্যের আলোয় বয়ে যায় সোনালী বর্ণের আভা। একটি পার্ক, কয়েকটি আবাসিক ভবন এবং একটি সরকারী অফিস জুড়ে আছে গলির ডানে এবং বামে। খুব একটা জনসমাগম নেই গলির ভেতরে। শেষ বিকেলে ক্লান্ত শরীরে অফিস ত্যাগ করছেন কর্মকর্তা কর্মচারীরা। শান্ত বিকেলে কচিকাঁচায় মুখোরিত পার্ক।  প্যারিস শহরে ৭৫০১৩ পোস্টাল কোড এলাকায় অবস্থান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সড়কের। স্থানীয় ফরাসী ভাষায় বলা হয়ে থাকে 'রু'ই টেগর'। ১২৬ মিটার দৈর্ঘ এবং ১২ মিটার প্রস্থের সড়কটি যুক্ত হয়েছে আঞ্চলিক সড়ক এভিনিউ ডি ইটালি'র সাথে। এই সড়কের মধ্যে অবস্থিত স্থানীয় জোয়ান-মিরো পার্ক। ফ্রান্সের প্রশাসনিক এলাকা প্যারিস প্রিফিকচার জোনের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী এই সড়কের আদি নাম ছিল রেমন্ড প্যাসেজ। ফরাসী বিপ্লবের আগে এই রাস্তাটি ছিলো মাটির বা কাঁচা রাস্তা, তখন এখানে পার্ক বা কোন ভবন ছিলো না। ১৯১৩ সালে এখানে একটি ছোট সন্ত্রাসী হামলা ঘটেছিলো এবং যেখানে একজন মানুষ নিহত হয়েছিলেন বন্দুকধারীর গুলিতে। ১৯ জুন, ১৯১৩, সন্ধ্যা পাঁচটায় এই সড়কের সম্মুখ বারে এই ঘটনা ঘটে। তখন থেকে এর নাম ছিল রেমন্ড প্যাসেজ। পরবর্তীতে ১৯৩৮ সালে এটি প্...

জীবন একটা'ই, বেঁচে থাকুন

 শাট ডাউন লক ডাউন মানবেন কিনা আপনার ব্যাপার। কিন্তু মনে রাখবেন, এই জীবন একবার। দ্বিতীয় কোন সুযোগ নেই। ধর্মের বিশ্বাসে নেই, বৈজ্ঞানের বিশ্বাসে ত নেই'ই, এমনিতেও নাই। সুতরাং বাঁচুন, বাঁচার চেষ্টা করুন।  শাট ডাউন। ২০০৩ সাল থেকে তখনকার মডেলের পেন্টিয়াম ফোর কম্পিউটারের সাথে সখ্যতা থাকার কারণে এই সাট ডাউন শব্দটা যেনে আসছি। এতোদিন আমরা যন্ত্রের সাথে এসব যান্ত্রিক শব্দ শুনে এসেছি এখন বাস্তব জীবনে প্রয়োগ দেখা হচ্ছে৷ ইউরোপের দেশ গুলো যেখানে করোনা মোকাবেলায় মুটামুটি সক্ষম, এশিয়া এমনকি সাউথ এশিয়ার আমাদের প্রতিবেশি দেশ নেপাল এবং ভুটান মুটামুটি করোনা প্রভাব কাটিয়ে উঠেছে সেখানে আমাদের বারবার করোনার থাবা সহ্য করতে হচ্ছে।  কথা হচ্ছে, রাষ্ট্র যদি মহা কোন প্রজ্ঞাপন দিয়ে থাকে আর আমরা যদি সেটা না মানি তবে কখনোই আমরা মহামারি থেকে রক্ষা পাবো না। জীবন আমাদের, সুতরাং অনুধাবন করতে হবে আমাদের। আমরা কেন বাসায় থাকব, জনসমাগম এভৈড করব সেটা আমাদের জন্য, আমাদের জীবনের জন্য। সামাজিক দূরত্ব সহ সবগুলো নিয়ম আমাদের মেনে চলে চলতে হবে। জীবন আমাদের, একটা জীবন বেঁচে থাকার রাস্তা আমাদের বের করতে হবে। বের হয়েই আছে শ...

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগঃ গ্রুপিং এবং ঐক্য দুটোই চর্চা

ভূমিকা না বলে মূল বিষয় শুরু করে দেই, আওয়ামীলীগ একটি বড় দল। মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী এই দল ২০০৮ সালের শেষ থেকে টানা ক্ষমতায়। এই দলের সহযোগী এবং অঙ্গসংগঠন মিলে অসংখ্য নেতা কর্মী সমর্থকদের পদচারণায় মুখর থাকে সংগঠনের কার্যালয় গুলো। ওয়ার্ড থেকে কেন্দ্র এখানে গ্রুপিং বলয় যেমন বেশি, তেমনি ঐক্য'ও বেশি।  বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, আগামী ২৩শে জুনে বাহাত্তর বছরের লম্বা সময়ে পা রাখছে গণমানুষের এই দলটি। অনেক চড়াও উতরাও পেরিয়ে দলটি আজ এই জায়গায়। মওলানা ভাসানী শামসুল হক, সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহনান, জাতীয় চারনেতা এবং পরবর্তীতে শেখ হাসিনা এবং জাতীয় চার নেতার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা অক্লান্ত পরিশ্রমে বাংলাদেশ বৃহত্তম এই রাজনৈতিক প্লাটফর্ম আজ এই জায়গায়। এখানে হাজার হাজার বলয় এবং নেতা কর্মীদের গ্রুপিং রয়েছে৷ গ্রুপিং থাকার এইখানে নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে। প্রথমত,এখানের তৃণমূল কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে রাজনৈতিক চর্চা করে থাকেন। বছর সাত আঁট যাবার পর তাদের হাতেগড়া পরবর্তী কর্মীরা সৃষ্টি হয়। স্বভাবতই একটি বলয় এখানে গড়ে ওঠে৷  গ্রুপিং হওয়ার দ্বিতীয় কারণ হলো, এখানে রাজনৈতিক চর্চা উর্ধ্বমুখী।...

ছয়টি বোতামে ৬ দফা

 ৬ বোতামে ছয়টি দফা রয়েছে। হ্যাঁ আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিধান করা কোটের সাথে তারই ঘোষণা করে সেই মুক্তির দাবী ঐতিহাসিক ৬ দফার কথা বলছি।  মুজিব কোটের ছয়টি বোতাম নিয়ে এবং মুজিব কোট নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নিয়ে বিভিন্ন রকম বক্তব্য রয়েছে। ইতিহাসবিদরা অনেকেই জানিয়েছিলেন, ভারতের নেহেরু এমন ধরনের কোট আগে পরিধান করতেন,  সেই আদলেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন ধরনের কোট ব্যবহার করতেন। তবে ড. কামাল হোসেন একবার বলেছিলেন, ঊনসত্তরে আগড়তলা মামলায় গ্রেফতারের সময় এই কোট বঙ্গবন্ধুর গায়ে পরিধান করা ছিল বলে এটি জনপ্রিয় হয়েছিল।  কোটটি পরবর্তী সময়ে ‘মুজিব কোট’ নামে বেশি পরিচিতি পায়। শেখ মুজিব এ কোটটি কবে থেকে পরতে শুরু করেছিলেন, তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি; তবে বলা হয় ১৯৪৯ সালে আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিনি এ কোটটি পরতে শুরু করেন। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর আইনজীবী কামাল হোসেন বলেন, ১৯৬৮ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু এ কোটটি পরতেন। মওলানা ভাসানী এবং শামসুল হক যখন আওয়ামী মুসলীম লীগ করলেন, তখন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছি...

সিলেট-৩, কে আসছেন, কেন আসবেন?

 সিলেট ৩ আসন। আমার সংসদীয় আসন, এই আসনের একজন ভোটার আমি। ফেঞ্চুগঞ্জ -বালাগঞ্জ-দক্ষিণ সুরমা এই তিন উপজেলা নিয়ে ৩ লক্ষ ২২ হাজার ২৯৩ জন ভোটারের এই আসন নিয়ে আগামীতে হবে উপ নির্বাচন।  প্র‍য়াত সাংসদ মাহমুদ সামাদের মৃত্যুর পর আগামী জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে উপ নির্বাচন। মাহমুদ সামাদের মৃত্যুর পর পরই প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ শুরু নির্বাচন নিয়ে। বিএনপি জামায়াত সমর্থিত বিরোধী দলীয় জোট এ নির্বাঁচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে মূলত আলোচনায় সরকার দলীয় জোটের নেতারা এবং তাদের শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও।  সিলেট ৩ আসনকে বলা হয় রিভেঞ্জেবল আসন। এখানে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয়পার্টি, বামপন্থি (ন্যাপ) সব দল থেকেই সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বিভিন্ন সময়ে। সুতরাং এখানে বলা মুশকিল কে বা কোন দল বা জোট পাশ করবে৷ আবার এখানে জোট মহাজোট মেনেও অনেক সময় নির্বাচন হয়নি৷ এই আসনে মহাজোটে শরিক থাকা সত্ত্বেও জাতীয় পার্টি এবং আওয়ামীলীগের দুই দলেরই প্রার্থী ছিলেন ২০০৮ সালের নির্বাচনে।  মাহমুদ উস সামাদের মৃত্যুর পর এখানে রাজনীতির ঘোল পাল্টেছে বেশ জোরেসোরেই। এখানে যেমন অনেকে দীর্ঘদিন থেকে লেগে থাকার পর একটি সুযোগ পেয়েছেন ...

নারী সাংবাদিক এবং স্যালুট

 সাংবাদিকতা শুধু পেশা নয় এটি একটি আমার মুক্ত আকাশ। পেশাগত, দায়িত্বগত, বন্ধুত্বগত কারণে সাংবাদিক বন্ধু বান্ধবী আমার বেশি। আমার খুব কাছের বন্ধুরা অনেকেই সাংবাদিক। ২০১৫ সালের ঘটনা, ব্লগিং এর পাশাপাশি যখন প্রোফেশনাল সাংবাদিকতা শুরু করি তখন একটি এসাইনমেন্টের কাজে একজন বান্ধবী সাংবাদিকের সাথে যাচ্ছিলাম সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায়। বাসে করেই যাবও আমাদের সিধান্ত। যেতে যেতে অনেক গল্প হলো, পেশাগত কথাও হলো। আমার বান্ধবী বলেছিলো পেশাগত দায়িত্ব পালনে কতটুকু নাজেহাল হতে হয় নারী সাংবাদিকের। যেমন, ফুটেজ নেওতার জন্য ভীড়ে যেতে হয়, সেখানে ইচ্ছাকৃত ভাবে অনেকেই শারিরিক ভাবে তাদের লাঞ্চিত করেন। আমার কোন কারণে কোন নিউজ বিটের সংশ্লিষ্ট বক্তব্য দিতে গিয়ে যদি মহিলা কণ্ঠ শুনেন,  তখন দেখা যায় হাস্যরস করে বিনোদন পাতার রিপোর্টার বলে রম্য করেন। আমার প্রশ্ন হচ্ছে বিনোদন বিট কি নিউজ বিটের বাহিরে, নাকি কোন নারী অন্য বিটের প্রতিবেদক হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না? নাকি বিনোদন বিট মানেই নারী সাংবাদিক?  এই প্রশ্ন গুলো আমাকে অনেক ভাবায়! যাই হোক যা বলেছিলাম, ঐ বান্ধবীর কথা বলার সময় তিনি জানিয়েছিলেন, হবিগঞ্জের দৈনিক পত্র...

ঈদের একাল সেকাল

 মধ্য পরিবারের ঈদ আমাদের অন্যরকম কিন্তু গতানুগতিক।  অন্যরকম এই কারণেই বললাম আমাদের যারা বাঙ্গালি মুসলমান পরিবারে জন্ম,  বেড়ে ওঠা আমরা সারাজীবন'ই দেখেছি পুরো রোজা মাস আমাদের পরিবারগুলোতে একরকম উৎসবের আমেজ থাকে যার মূল কেন্দ্র বিন্দু হচ্ছে ঈদ। সাধ্যমত আনন্দ ভাগাভাগি করাটা একধরনের সুখ৷ এই কারণেই সেটা অন্যান্য সময়ের তুলনায় অন্যরকম। আবার গতানুগতিক এই কারণেই বললাম আমাদের মধ্যবিত্ত পরিবার গুলোতে আয় সীমিত,  সারা বছর যা আয় হয় সেটা রোজা মাসেও হয়, সুতরাং সেই আয় থেকে উৎসবের যোগান দিতে হয়।   মধ্যবিত্ত পরিবারে আমার জন্ম বেড়ে উঠা হলেও কখনো অভাব দেখিনি। এটা হয়ত প্রকৃতির দয়া, দোয়া বা আশীর্বাদ।  আবার পূর্বপুরুষের কর্মফসল হতে পারে। বাবা মা দুজন চাকরির সুবাদে বেশ ভালো ভাবেই বড় হয়েছে। দুজনের একজনও কখনো আমাদের দুইভাইকে অভাব দেখতে দেন নি। আয় ইনকামে বেশ ভালো ভাবেই চলেছে। বাবা সত্তর দশক থেকেই ছাত্র রাজনীতি মা আশির দশকে টুকটাক করেছেন। দাদা বা নানাও সরকারী চাকুরীজীবী ছিলেন, যুদ্ধ করেছেন অনেকেই ভাবেন যে হয়তো রাজনীতির কারণে অনেক ব্যবসা আছে,  তা মোটেও নয়। পারিবারিক সূত্রে মুটা...

‘নিঃশর্ত মুক্তি চাই’ প্রসঙ্গে আইনি ভাবনা

 ‘নিঃশর্ত মুক্তি চাই’। বাক্যটির সঙ্গে দেশের সকল মানুষ কমবেশি পরিচিত। কোনও রাজনৈতিক কর্মী থেকে শীর্ষ নেতা কিংবা কোনও সামাজিক ব্যক্তি গ্রেপ্তার হলে স্থানে স্থানে সাঁটানো হয় নানা রঙের পোস্টার। তাতে বড় হরফে লেখা থাকে ‘নিঃশর্ত মুক্তি চাই’। বন্দী ব্যক্তির কাংখিত মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত অলিগলি রাজপথে শ্লোগান সমাবেশে বারবার উচ্চারিত হয় ‘নিঃশর্ত মুক্তি চাই’। এ বাক্যটিকে নিয়ে লেখার শুরুতে প্রাসঙ্গিক কিছু বিষয় উপস্থাপন যুক্তিযুক্ত মনে করছি। কোনও ফৌজদারি মামলায় আসামির জামিনের প্রয়োজন হলে প্রথম সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আবেদনটি করতে হয়। ম্যাজিস্ট্রেট ফৌজদারি কার্যবিধির ১৮৯৮-এর (৫ নম্বর আইন) ৪৯৬ ও ৪৯৭ ধারার বিধান থেকেই জামিন মঞ্জুরের ক্ষমতা পেয়ে থাকেন। এজাহার, প্রাথমিক তথ্যবিবরণী, পুলিশ ডায়েরি, তদন্ত প্রতিবেদন, আলামত উদ্ধার, ১৬১ ধারামতে গৃহীত সাক্ষ্য ও ১৬৪ ধারার বিবৃতি ইত্যাদি পর্যালোচনা করে উত্থাপিত অভিযোগের ধরন ও প্রকৃতি এবং জামিনযোগ্য অযোগ্য এর উপর ভিত্তি করে আদালতের বিচারক জামিন দেয়া না দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। দেশের ফৌজদারি আদালত গুলোতে জামিন শব্দটি বহুল প্রচলিত হলেও জামিনের ...

শাল্লায় সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রসঙ্গে

বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ আমলে সাম্প্রদায়িক অশান্তি? কথাটা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। তথাপি রামুসহ বিভিন্ন এলাকায় হিন্দু, বৌদ্ধ বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন ঘটছে। এজন্যে সরকারি প্রশাসনের গাফলতিকে দোষ দেওয়া যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষকে দোষ দেওয়া যায় না। ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে অশুভ সাম্প্রদায়িক শক্তি। শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর যে নির্মম অত্যাচার চলেছে, তাতে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর প্ররোচনা ছিল। অভিযোগ দেখে মনে হয়, এর সঙ্গে প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দল এবং তার যুব সংস্থারও হয়তো যোগসাজস ছিল। এই সংখ্যালঘু নির্যাতনের কারণে যুবলীগের এক কর্মী অথবা নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ফলে বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলামের পক্ষে এ কথা বলা সহজ হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বাড়ে।’ শাল্লার ঘটনাটি হেফাজতি নেতাদের উসকানিতে হয়েছে, এ কথা সত্য হওয়া সত্ত্বেও কথাটা লেখার সময় একটু ভাবতে হয়। বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার সময় হেফাজতিদের দায়ী করে লিখতে বসেছিলাম, তারপর দেখা গেল এই ভাস্কর্য ভেঙেছে যুবলীগের স্থানীয় নেতারা। শাল্লার হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হেফাজতিদের উ...

প্রসঙ্গঃ উদীয়মান দেশের নারী কর্মজীবী (দ্বিতীয় পর্ব)

 আমার একজন সম্মানিত সহকর্মী আমার পাশে বসে পূর্ববর্তী পর্ব পড়ার এক পর্যায়ে বললেন, চোখে জল এসে গেল- এতটাই চরম বাস্তবতা!! বাস্তবিকই বাড়ি ফিরে কাপড় না ছেড়ে গৃহকর্মে ঝাঁপিয়ে পড়ার উদাহরণ প্রচুর।  বাড়ি ফিরে ঘণ্টাখানেক বিশ্রাম প্রয়োজন। সন্তান ছোট হলে বদলানোর কাপড় এগিয়ে দিক, বড় হলে এর পাশাপাশি ঠান্ডা বা গরম সতেজ পানীয় মাকে দিক। সন্তানকে বুঝতে দিন আপনি ক্লান্ত।  চাকরির সুবাদে বাইরে থাকার কারণে এক মূহুর্ত নিজের শিথিলতার জন্য দিতে কর্মজীবী নারীর চরম অনীহা। আমার কর্মজীবী মা সম্বন্ধে একটা কথা প্রচলিত ছিল,  তিনি কেউ অসুস্থ হলে দেখতে যান নয়তো তাকে কর্মক্ষেত্রের বাইরে বেড়াতে দেখা যায় না।  মানসিক প্রশান্তির বড় সহায়ক প্রকৃতির কাছাকাছি বা নিজের পছন্দসই কিছু সময় ব্যয় করা।  ফিজিওথেরাপি সেন্টার বা হাড়ের ডাক্তারের কাছে হাড় ক্ষয়  আর বাতের ব্যাথার প্রায় সমস্ত রোগীই নারী। মনে রাখা দরকার,  নিয়মিত ব্যায়াম  ও সময়মতো খাদ্যাভ্যাস সুস্থ জীবনযাপনের পূর্বশর্ত। কর্মজীবী নারীর প্রথম গুরুত্বপূর্ণ ধাক্কা আসে সন্তান লালন-পালনে। এদেশে ডে-কেয়ার সেন্টার নেই বললেই চলে।সরকারি ও বেসরকারি...

উদীয়মান দেশের নারী কর্মজীবী (প্রথম পর্ব)

 যে কর্মের বিনিময়ে রমনীর অর্থ প্রাপ্তি ঘটে কর্মজীবী রমনী তার সাথে সম্পর্কযুক্ত,  না ভিন্নার্থে এর ব্যবহার -এটাই আমার কাছে এখনো এক বিরাট প্রশ্নবোধক চিহ্ন!! কর্মের বিনিময়ে বাস্তবিকই কী অর্থ প্রাপ্তি ঘটে ; না এই অর্থের দায় বাড়ে।  জীবনের রঙ্গমঞ্চে  সবচে' বড় অভিনয় শিল্পী মহিলা; এঁরা আবার অভিনয় করেন নিজের জন্য নয়, কেবল অন্যের তুষ্টির জন্য -- এটা আরও দুঃখজনক। আর কর্মজীবী হলে অভিনয় শিল্পীর পাশাপাশি আরেক কাঠি সত্ত্বায় যোগ হয় যা হলো হীনমন্যতা।  হীনমন্যতার বিষয়টা পরিষ্কার করি। কর্মজীবী নারীরা এমন ভান করেন বাড়িতে ফিরে যেন সারাদিন বাইরে  ছিলেন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অন্যায়টা করার জন্যে। তাই নিজের ক্লান্ত তনুর দিকে দৃকপাত না করে ঝাঁপিয়ে পড়েন তার অনুপস্থিতিতে ঘর-গেরস্থালির যা ক্ষতি হলো তা পূরণে। পাশাপাশি ঘরের সবার মন রক্ষা করে হুড়মুড় করে যখন অফিসে ঢুকেন তখনও অপরাধীর দৃষ্টি নিয়ে সবার দিকে তাকান। অথচ এই পরিস্থিতির জন্যে মহিলাটি নিজে কিন্তু দায়ী নন্ যা তিনি ভুলে যান। এই হীনমন্যতা থেকে বেরুনো জরুরি। এখন অবশ্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিস্থিতির পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়, যা যথেষ্ট নয়। আমাদের ...

কালো সুন্দর ধলো সুন্দরঃ সুন্দর পৃথিবীর রঙ

 প্রসঙ্গ হচ্ছে কালো না সফেদ, নারীর গায়ের রঙ না পুরুষের গায়ের রঙ, সুন্দর নাকি অসুন্দর? আমি যদি আমাকে এই প্রশ্ন করি তবে উত্তর আমি নিজেই দেবো পৃথিবীর রঙটাই সুন্দর।  মানুষের গায়ের চামড়া বা রঙ নিয়ে বৈষম্য সেই আদিকাল থেকেই। এখানে কে লম্বা কে বেটে, কার রঙ কেমন, কে কোন জাতের ইত্যাদি প্রথা বিভিন্ন সময়, যুগ এবং কালে মানুষের মধ্যে ছিল৷ যুগে যুগে কাঠামো উন্নত হয়েছে সমাজের কিন্তু দৃষ্টিভঙ্গি অনেক ক্ষেত্রেই আমরা সেই দেড় হাজার বা তার আগের যুগের মতই রয়ে গেছে৷ উইকিপিডিয়া থেকে সরাসরি যদি প্রাচীন ভারতের বর্ণপ্রথার ইতিহাস তুলে ধরি, তবে বলতে হবে,  ভারতে বর্ণপ্রথা হলো জাতি এর উপমূর্তিগত উদাহরণ। প্রাচীন ভারতে এর উৎস রয়েছে এবং মধ্যযুগীয়, আদি-আধুনিক, এবং আধুনিক ভারতে বিশেষত মোগল সাম্রাজ্য এবং ব্রিটিশ রাজের বিভিন্ন শাসকগোষ্ঠী দ্বারা এটি রূপান্তরিত হয়েছিল। এটি আজ ভারতে শিক্ষাগত এবং চাকরি সংরক্ষণ এর একটি ভিত্তি হিসেবে রয়ে গেছে। বর্ণপ্রথা দুটি পৃথক ধারণা নিয়ে গঠিত, এগুলি হলোবর্ণ এবং জাতি যা এই পদ্ধতির বিশ্লেষণের বিভিন্ন স্তরের দিক হিসাবে বিবেচিত হতে পারে। গান্ধী ১৯৩৩ সালে দলিত (তিনি হরিজনকে ব্যব...